আশা নাই তাই মশারির ভেতর মশা ও নাই।
"যোদি কুস্তি করার ইচ্ছা থাকে জান্গিয়া পড়ে পল্টন ময়দানে যান। " কি চমৎকার কথা, সামান্য কৌতুকাবস্থা সৃষ্ঠি করলেও কথাটির মদ্ধে কতটুকু ঘৃণা ও বিরক্তি মেশানো, তা বুঝতে কারো খুব একটা অসুবিধা হবার কথা নয়। কথাটি আমাদের মাননিয় স্পিকার আমাদের মাননিয় সংসদ সদস্যদের বলেছেন। আর আমরা সবাই সেদিনের "সংসদ" দেখে মুখ ভর্তি থু থু নিয়ে ছি ছি করতে করতে ড্রয়িংরুম গরম করছি।
আমাদের বর্তমান সংসদ সদস্যরা তাদের যোগ্যতার প্রমাণ যে শুধু সংসদের মদ্ধে দিচ্ছেন তা কিন্তু না, তারা বিভিন্ন "টক শো" তে ও সমান তালে একে অপরের পেন্ট কিংবা শাড়ি খুলতে ব্যাস্ত। সেদিন একটি চ্যানেলে একটি আওয়ামিলিগিও "টক শো" তে, "বি এন পি" এর জনৈক প্রাক্তন এম, পি, সিলেটের বিস্বনাথের ইলিয়াস আলি একটি চমৎকার উক্তি করেন, উক্তিটি অনেক টা এরকম- আপনারা "নিজের বগলে গন্ধ রেখে আরেক জনের বগল শুকতে যান".... উক্ত কথাটি (যোদিও আমার নয়) ব্লগে লিখতে গিয়ে আমি তিনবার মুছেছি। আমার বিবেক, রক্ত, শিক্ষা আমাকে তা করতে বাধ্য করেছিল। কিন্তু যে ভদ্রলোক এধরণের কথা গণ মাধ্যমে প্রকাশ্যে বলতে পারেন, তিনি যে সে গোত্রের, যারা হাইওয়ে রেস্টুরেন্ট গুলোর বাথরুমে নিজের নাম্বার লিখে পাশে কল মি লিখে আসে, তা বুঝতে কি আমাদের খুব অসুবিধা হওয়ার কথা? এক্ষেত্রে উল্যেখ্য, মৃত শাহ এ, এস এম কিব্রিয়া, সাইফুর রহমান, বর্তমান অর্থমন্ত্রি আ, মা, আ, মুহিতের মত জনপ্রিয় রাজনিতিবিদ সিলেটেরই ছিলেন বা আছেন।
ত ঘটনা হচ্ছে আমাদের মুখে থু থু শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা ছি: ছি: করছি ঠিকই, কিন্তু আমরা কি ভেবে দেখছি এই থু থু আমরা কার গায়ে ফেলছি? জি: আমাদের নিজেদের গায়েই ফেলছি।
এই সব কুলাংগার রা যারা জনপ্রতিনিধীর বেশে সংসদে, টিভি তে সুযোগ পাচ্ছে, তারা আমাদের জন্যই তাদের চাঁদ বদন দেখানোর সুযোগ পাচ্ছে। মানে তারা আমাদের ভোটে নির্বাচিত, আমাদেরই প্রতিনিধি, মানে তারা আমরাই, অর্থাৎ আমরাই কুলাংগার। আমাদের আর কিই বা করার আছে? আমরা যে অসুস্থ হলেও গণতন্ত্র চাই। আমাদের সংবিধানের ধারা ৭০ এ গণতন্ত্র নিহত হয়েছে, সে খবর আমাদের জানার প্রয়োজন ও আমরা বোধ করি না। গণতন্ত্রের নামে এক দল কুমির পুকুরের সব মাছ খেয়ে নিচ্ছে তাতে আমার কি? আমি ত নিরামিষ খাই।
তবু আমার গণতন্ত্র চাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।