কবিতা/ গল্প/ উপন্যাস/ প্রবন্ধ/ অন্যান্য

সেন্টমার্টিন থেকে শিবিরের ৬ ক্যাডারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে টেকনাফ থানার এএসআই আমিরুল হকের নেতৃত্বে পুলিশ শিবিরের ৬ জন ক্যাডারকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠিত ফারুক হত্যাকান্ডের পর এরা সেন্টমার্টিনে এসে সন্দেহজনক কর্মকান্ড করছিল। গ্রেফতারকৃত ৬ শিবির ক্যাডার হল: ঠাকুরগাঁও জেলার আব্দুল কাদের এর পুত্র ও শিবিরের কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সাঈদী (২৯), চট্টগ্রাম মহানগর শিবিরের সভাপতি ও কক্সবাজারের ঈদগাঁও’র নুরুল হক এর পুত্র মিজানুর রহমান (২৯), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের নেতা ও মেহেরউদ্দীন এর পুত্র আশরাফুল ইসলাম (২৯), নওগাঁও’র আব্দুর রহমান এর পুত্র সানাউল্লাহ (৩০), কেন্দ্রিয় শিবিরের নেতা ও লক্ষীপুরের সাঈদুল ইসলাম এর পুত্র নুরুন্নবী রায়হান (২৯), কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার আলী আহমদ এর পুত্র ও জেলা শিবিরের প্রকাশনা সম্পাদক শাহজাহান (২৭)। এরা সবাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা ফারুক হত্যা মামলার আসামী বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেন্টমার্টিন জেটি থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা জানান, সন্ধ্যায় আটক ছয়জনকে টেকনাফ থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশকে বলেছেন, সাংগঠনিক কাজে তারা কক্সবাজার এসেছিলেন।

সেখান থেকে সেন্টমার্টিন বেড়াতে যান। এদিকে রাজশাহী পুলিশের বরাত দিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিনিধি জানান, শিবির নেতা সাঈদীর বিরুদ্ধে মতিহার থানায় পুলিশের ওপর হামলার মামলা সহ তিনটি মামলা আছে। এছাড়া রাবি শাখা শিবির সভাপতি শামসুল আলম গোলাপ ও সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেনের বিরুদ্ধে সমপ্রতি ছাত্রলীগকর্মী খুনের মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও শিবিরের সংঘর্ষে ছাত্রলীগকর্মী ফারুক হোসেন খুন হন। পুলিশ বলেছে, শিবিরের হামলায় গণিত বিভাগের ছাত্র ফারুক মারা গেছেন।

এ ঘটনার পর সারা দেশে দুই শতাধিক জামায়াত-শিবির নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বেশকিছু নেতাকর্মী আত্মগোপন করেছেন।
।