আমি ১নং ফকীর / প্লাস ভীক্ষা দেনগ মাই
স্পিকার আবদুল হামিদ সব সংসদ সদস্যকে উদ্দেশ করে বলেছেন, আল্লাহর ওয়াস্তে সংসদকে কলঙ্কিত না করে কার্যকর করতে সহযোগিতা করুন। সদস্যদের মান-মর্যাদা বজায় রাখুন। সংসদীয় ভাষা প্রয়োগ করুন। আপনারা যদি রেসলিং করতে চান তাহলে পল্টন ময়দান আছে। সংসদ ভবনের সামনেও বড় মাঠ আছে।
সেখানে গিয়ে আপনারা মাঠে নামতে পারেন, কেউ বাধা দেবে না। কিন্তু সংসদে এসব চলবে না, আমি এটা হতে দেব না। আপনারই আমাকে নির্বাচিত করেছেন, তাই আমি আমার মতোই সংসদ পরিচালনা করব। আর আমাকে দিয়ে যদি আপনাদের না চলে বলবেন, আমি চেয়ার ছেড়ে দিতে প্রস্তুত। আই এম রেডি টু গো।
'
গত বুধবার জাতীয় সংসদে সরকারিদল ও বিরোধীদলের মারমুখী আচরণ সংসদে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির কথা বলতে গিয়ে স্পিকার একথা বলেন।
সংসদ সদস্যদের কড়া ভাষায় সতর্ক করে স্পিকার আবদুল হামিদ বলেন, অসংসদীয় আচরণ, অশালীন মন্তব্য, কুরুচিপূর্ণ আচরণ আর কটূক্তি পরিহার করুন। আপনারা অনুগ্রহ করে দেশবাসীর আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য কাজ করুন। সংসদের মান-মর্যাদা রক্ষা করুন। আপনাদের আচরণের ওপরই সংসদের মান-মর্যাদা নির্ভরশীল।
তিনি বলেন, আপনাদের একথাও মনে রাখতে হবে আপনারা সংসদে যে ভাষা ব্যবহার করছেন বা যে অঙ্গভঙ্গি করছেন তা থেকে প্রমাণিত হয় এবং আপনার পরিচয় বহন করে আপনি কোথা থেকে কোন পরিবেশ থেকে এসেছেন। তাই হিসাব-নিকাশ করে আপনাদের কথা বলা উচিত। শিষ্টাচার বজায় রাখা উচিত। কারও বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ থাকলেই তাকে খুনি বলা যায় না।
রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনা শুরুর সময় সরকারদলীয় সদস্য তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, বিরোধীদলের ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও এমকে আনোয়ার পয়েন্ট অফ অর্ডারে ফ্লোর চাইলে স্পিকার তাদের বলেন, রাষ্ট্রপতির ভাষণের আলোচনার পর তাদের ফ্লোর দেবেন।
এরপরও তারা ফ্লোর চাইলে স্পিকার সংসদের পরিবেশ রক্ষার জন্য রুলিং জারি করেন। তিনি বলেন, গত বুধবার সংসদে যে অপ্রীতিকর, অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে তা কারও কাম্য নয়। দেশবাসী তা আশা করে না। জনগণ ভোট দিয়ে আপনাদের সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছেন। তারা আপনাদের কাছ থেকে এমন কটাক্ষপূর্ণ এবং অসংসদীয় বক্তব্য কামনা করেন না।
সংসদের মর্যাদা রক্ষার জন্য সরকারি ও বিরোধীদলের প্রত্যেক সদস্যের দায়িত্ব রয়েছে। তিনি কঠিন ভায়ায় বলেন, কেউ অসংসদীয় ভাষা ব্যবহার করলে সঙ্গে সঙ্গে মাইক বন্ধ করে দেয়া হবে। ভাষা প্রয়োগের মাধ্যমে বোঝা যায়, কে কোথা থেকে এসেছে। কোন মানসিকতার মানুষ। তিনি বলেন, সংসদে কাউকে যেমন খুনি বলা যায় না, তেমনি কাউকে ফেরাউন, নমরুদ বলা ঠিক নয়।
যখন কেউ বক্তব্য রাখেন তখন ভাষা প্রয়োগে সতর্ক হোন। এসব বক্তব্য পরিহার করুন। হাস্যোজ্জ্বলভাবে একজন অন্য জনকে কঠিন বিষয়ে তীর্যকভাবে আক্রমণ করা যায়। কঠিন কথাও সুন্দরভাবে বলা যায়। কিন্তু অসংসদীয় ভাষা প্রয়োগ করবেন না।
তিনি বলেন, আপনারা সবাই মিলে আমাকে নির্বাচিত করছেন। আমি হাউজের শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য আমার মতোই চালাব। কারো কথাও শুনব না। আমি আপস করব না। তাতে কেউ যদি বলেন, আমার এখানে থাকার প্রয়োজন নেই তাহলে আমি চলে যাব।
আই এম রেডি টু গো। রাষ্ট্রপতির ভাষণের আগে কাউকে পয়েন্ট অফ অর্ডার দেব না। এটা আমার সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, আপনারা রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবেন। কিছুদিন যাবৎ কটাক্ষ করে যেসব ভাষা প্রয়োগ করা হচ্ছে তা সংসদীয় রীতিনীতির পরিপন্থী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।