মোহাম্মদ আবুল হোসেন: প্রায় ৫০ বছর পর কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি ছেড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন প্রফেসর স্টিফেন হকিং। সরকার বিজ্ঞান গবেষণা থেকে বাজেট কমিয়ে দেয়ার ঘোষণা দেয়ার কারণে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। তিনি কেমব্রিজ ছেড়ে গেলে স্থায়ীভাবে বসবাস করবেন কানাডা। ৩রা মার্চ অনলাইন ডেইলি মেইল এ খবর দিয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, বিশ্বজোড়া খ্যাতি অর্জনকারী এই বিজ্ঞানী কেমব্রিজ ছেড়ে গেলে তা কেমব্রিজের মতো ইউনিভার্সিটির জন্য বড় ধরনের একটি ক্ষতি হবে।
বৃটেনের বিজ্ঞানী মহলের জন্যও তা হবে বড় একটি ধাক্কা। স্টিফেন হকিং ( ৬৮) স্নায়ুতন্ত্রের জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছেন। সে অবস্থায় লিখেছেন বিশ্বের বেস্ট সেলার ‘এ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম’। তিনি ১৯৬৮ সালে কেমিব্রিজে যোগ দেন। সেখানে স্যার আইজাক নিউটনকে সম্মান জানিয়ে গণিত বিভাগের লুকেসিয়ান চেয়ারে বসানো হয়েছিল।
আইজাক নিউটনের পরে ওই চেয়ারে বসানো হয় স্টিফেন হকিংকে। সেই হকিং এখন দুই মাস কাটাবেন কানাডার অন্টারিওতে অবস্থিত পেরিমিটার ইন্সটিটিউটে। যদি সব কিছু পরিকল্পনামতো চলে, তাহলে সেখানেই তিনি স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারেন। তার এক মুখপাত্র বলেছেন, সরকারের বিজ্ঞান গবেষণা নীতিতে তিনি খুবই কষ্ট পেয়েছেন। এর ফলে বৃটেন বিশ্বের সেরা একজন গবেষককে হারাবে।
সরকার তার খরচ বাঁচাতে উচ্চ শিক্ষা থেকে আগামী ৩ বছরের জন্য ১শ’ কোটি পাউন্ড কেটে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এখানেই আপত্তি স্টিফেন হকিংয়ের। তার গ্রাজুয়েট সহকারী স্যাম ব্লাকবার্ন বলেছেন, প্রফেসর হকিং কানাডা চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। কিন্তু তা নির্ভর করে কানাডার ওই ইন্সটিটিউটে তার সফর কতটা সফল হয় তার ওপর। ওই ইন্সটিটিউটে গাণিতিক পদার্থবিদ্যায় অধিষ্ঠিত ছিলেন নিল তুরোক।
তিনি ২০০৮ সালে ওই প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করেন। স্টিফেন হকিং ওই ইন্সটিটিউটে গেলে তাকে ঠিক ওই পদে বসানো হবে। প্রফেসর তুরোক বলেছেন, প্রফেসর স্টিফেন হকিংয়ের জন্য ওই প্রতিষ্ঠানের দরজা খোলা। সেখানে তিনি স্থায়ীভাবে থেকে যেতে পারেন। এটা সেই ইন্সটিটিউট যেখানে চার্লস ডারউন তার যুগান্তকারী বিবর্তনবাদ তত্ত্ব বর্ণনা করেছেন।
এখান থেকেই ফ্রাঁসিস ক্রিক এবং জেমস ওয়াটসন অবমুক্ত করেন ডিএনএ (ডিঅঙি রাইবোনিউক্লিক এসিড)-এর গঠন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।