আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মানুষের লোভের উপর ভিত্তি করে প্রতারণা ব্যবসা

জীবন বুনে স্বপ্ন বানাই মানবজমিনে অনেক চাষ চাই

মানুষের লোভকে পুঁজি করেই চলে প্রতারণা ব্যবসা। লটারির লোভ দেখিয়ে প্রতারণা নতুন নয়। কিন্তু প্রতারিত হলেও মানুষের লোভ কমে নি। নিচের ঘটনাটি তারই প্রমাণ : সিদ্ধিরগঞ্জে কলেজ ছাত্রী মৌসুমী প্রতারণার শিকার হয়েছে। মোবাইল প্রতারক চক্র অর্ধ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আবাসিক এলাকায় বুধবার দুপুরে। প্রতারক চক্র ১৭ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার পুরস্কারের কথা বলে ৫৩ হাজার টাকা কৌশলে হাতিয়ে নিয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতারণার শিকার কলেজ ছাত্রী মৌসুমী আক্তার ও তার বাবার সাথে কথা বলে জানা যায়, তার মোবাইলে ০১৬৭৫৩৬৯৩৬৮ নম্বর থেকে একটি কল আসে। সে নিজেকে ওয়ারিদের কাষ্টমার কেয়ার সেন্টারের তরিকুল ইসলাম নাহিদ পরিচয় দিয়ে প্রথমে ১৫ হাজার ৫শ টাকা পুরস্কার পাওয়ার বিষয়টি জানায়।

এ পুরস্কারের টাকা পেতে তাকে ১০০ টাকা লোড করতে বললে সরল বিশ্বাসে কলেজ ছাত্রী ১শ টাকা লোড করে। পরে প্রতারক চক্র এক ম্যাসেজের মাধ্যমে ছাত্রী মৌসুমীর মোবাইলে ১৫ হাজার ৫শ টাকার পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে। এরপর মেয়েকে ওয়ারিদের দ্বিতীয় পুরস্কার একটি প্রাইভেট কার পাওয়ার কথা বলে যার মূল্য ১৭ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা। উক্ত টাকা পেতে হলে অফিসের বিভিন্ন খরচ বাবদ মোবাইলে ৫০ হাজার টাকা পাঠাতে হবে বলে জানায়। এরপর সরল বিশ্বাসে ছাত্রীটি একটি ফ্লাক্সি লোডের দোকানে গিয়ে প্রতারক চক্রের দেয়া গ্রামীন নম্বরের প্রতিটিতে ১ হাজার টাকা করে লোড দিতে থাকে।

এক পর্যায়ে ফাক্সি লোডের সেলারের ব্যালেন্স শেষ হয়ে গেলে লোড দিতে না পারায় প্রতারক চক্রের মোবাইল ফোনগুলি বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় ফাক্সিলোডের দোকানে হিসাব করে দেখা যায় ৫৩টি গ্রামীন নম্বরে ৫৩ হাজার টাকা লোড দেয়া হয়েছে। পরে ছাত্রী ও তার পরিবারবর্গ বুঝতে পারে তারা প্রতারণার শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সে সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সিকিউরিটি সুপারভাইজার মাকসুদুর রহমানের মেয়ে।

এই ঘটনাটি শুনে আমি হতবাক। এই মেয়ের বাবা আবার সিকিউরিটি সুপারভাইজার । এই রকম লোভী ও বোকা মানুষ কী সিকিউরিটি দিবে ? মানুষের লোভকে পুঁজি করেই প্রতারকরা সব সময় ফাঁদ পাতে। ঘটনাটির আরেকটি মজার দিক হল, প্রতারকচক্র তার কাছ থেকে চেয়েছিল ৫০ হাজার টাকা। কিন্তু তাদের মাথা এত গরম হয়ে গিয়েছিল যে, ভুলে তারা ৫৩ হাজার টাকা পাঠিয়ে দিয়েছে।

আরও পাঠাত, কিন্তু দোকানদারের ব্যালেন্স শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা পাঠাতে পারে নি। এটাকে কি লোভের একটা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বলা যায় না ?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.