আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছাগু চিফ এর জায়গামত চিপা খাওয়ার ঘটনা

চলতাছে আরকি

এবারের বইমেলায় ছাগুদের নিয়ে একটা অসাধারন ছড়ার বই বেরিয়েছে। নামঃ রাজাকার ইস্যুতে/ মানবতা মুছে ফেল টয়লেট টিস্যুতে। ছড়াকারঃ মৃদুল আহমেদ এবং আকতার আহমেদ। ছাগুদের বাঁশ দিয়ে বিভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে বিভিন্ন ছড়া লেখা হয়েছে। এর মধ্যে একটি ছড়া আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।

বাকী ছড়া গুলোও এরকমই মজার। মিস করবেন না। তাহলে উপভোগ করুন কিভাবে ছাগু চিফ জায়াগামত চিপা খেয়েছিলেন, তাও আবার খোদ মগবাজারেই। এই ছড়াটা লিখেছেন মৃদুল আহমেদ। একটু লম্বা কিন্তু ধৈর্য ধরে পড়লে মজা লাগবে।

পিণ্ডি চটকানো ছড়া সারাদিন উসখুস, কী যেন কী চটকাই… কী যে করি, কী যে করি… আঙ্গুল মটকাই! খোকার বেলুন ছিল, দেখি তো তা চটকে… ঠাস করে ফেটে গেল! যেতে হল সটকে! ঘরে এসে ঢুকতেই দেখি আলুসিদ্ধ... ভাবি, মনোবাসনা কি হল তবে সিদ্ধ? আলু নিয়ে চটকেই চেঁচালাম, বাপ রে, কে জানিত আলু ধরে এত উত্তাপ রে! পোড়া হাত সারারাত ধরে শুধু জ্বলল… সক্কালবেলা এসে ডাক্তার বলল, মৃতপ্রায় হাতটার অতৃপ্ত ইচ্ছে… ক্রমশই ওকে শুধু শেষ করে দিচ্ছে! হাতটাকে ছেড়ে দিন চায় যা সে করতে, ইচ্ছেপূরণ হলে নাও পারে মরতে! শৈশব থেকে সাথে বেড়ে ওঠা হাত রে, তাকে নিয়ে স্মৃতি কত, উঠি আমি কাতরে… ডান হাত চলে গেলে আমি পুরো শ্যাষ তো! ঘটনার গুরুত্বে হই শশব্যস্ত! ছুটে যাই তাকে নিয়ে হয়ে উদভ্রান্ত, পার হয়ে একদম শহরের প্রান্ত, হাতটাকে ছাড়লাম টঙ্গির মাজারে, তেড়েফুঁড়ে ছুটে গেল সোজা মগবাজারে, লাফ দেয় ঝাঁপ দেয়, সে কী তার ফূর্তি! তার পিছে আমি এক ভয় খাওয়া মূর্তি… অলিগলি ঘুরে এক অচেনা সে বাড়িতে, শুরু করে দরজায় হাত ঠেলা মারিতে, লজ্জিত আমি, হাত বিশ্বাসে দৃপ্ত… জানে এইখানে হতে পারবে সে তৃপ্ত! খুলে গেল দরজাটা চট করে আপনি, বলল না কেউ এসে, কারে চান আপনি? ঐ ঘরে কারা যেন বসে এক দঙ্গল… উঁকি মেরে দেখি সব দাড়িভরা জঙ্গল! মোটা সরু নানা সুরে মারিতেছে তক্ক, মাঝখানে বুড়ো এক নাড়ে দাড়ি পক্ক… হায় হায়! এ কী দেখি! আজকে তো ফাঁসলাম… ওরে হাত, তোর পিছে কোনখানে আসলাম! দিনশেষে গেছি ফেঁসে জামাতের আখড়ায়, কোন সে দেড়েল এসে কখন যে পাকড়ায়! এরই মাঝে হাত দেখি নেমে পড়ে মাটিতে সে ঘরের দিকে শুরু করিয়াছে হাঁটিতে… সবগুলো মশগুল তর্ক ও শলাতে, হাত নিয়ে গেল সোজা টেবিলের তলাতে, ঠ্যাঙগুলো মেলে দিয়ে সারি সারি চেয়ারে চালাচ্ছে চাপা সব পাকি মন পেয়ারে… বুড়ো রাজাকারটাও আছে—দেখি তাকিয়ে, পাজামার মাঝে ওটা কী রে দলা পাকিয়ে? রাজাকার পিণ্ডিটা ঝুলে আছে সামনেই, ভাবলাম, সুখহীন জীবনের দাম নেই, হাতটাও বেঁচে যাবে, জরুরি ব্যাপার তো, অতৃপ্ত হাত মানে মানবতা আর্ত! পাকাদাড়ি বসে আছে মনটা প্রশান্ত, চুপচাপ তুলে পাঞ্জাবিটার প্রান্ত হাতটা বাড়িয়ে দেই মহাসুখে চটকে! গগনবিদারী রব… (গেল নাকি পটকে?) হইচই, ছোটাছুটি, চিৎকার, কান্না… দৌড়ান বুড়া মিয়া, থামতেই চান না! এই ফাঁকে হাত নিয়ে ফুটলাম আমিও, কেস তোমাদের, মাথা তোমরাই ঘামিও! হাতে সুখ হাসিমুখ ঘরে যাই ফিরিয়া, এক প্রশ্নই শুধু আছে মাথা ঘিরিয়া : মরতে যে প্রস্তুত পাকীয় আদর্শে সইতেই পারল না এটুকু আদর সে?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.