ইসলামিক ল এবং জেনারেল ল এর পঞম বর্ষের ছাএ ২০০৯ সালে
চিন্তা-ফিকির কর ও শুকরিয়া আদায় কর,
অর্থাৎ তোমার উপর তোমার স্রস্টার নেয়ামতরাজীর কথা স্মরন কর। যেগুলো তোমাকে উপর নিচ ও সব দিক দিয়ে নিমজ্জিত করে রেখেছে। যদি তোমরা আল্লাহর নিয়ামত গননা কর তা কোনদিন গুনে শেষ করতে পারবে না। শরীরের সুস্থতা,দেশের নিরাপত্তা,খানা-দানা,পরিধান,পানি,বাতাস তথা গোটা পৃথিবীটা তোমার নিকট অথচ তুমি তা অনুধাবন করছনা। তুমি একটা পূর্নাঙ্গ জীবন ধারন করছ কিন্তু তা তুমি বুজতে চাচ্ছনা।
তিনি তার অগনিত অনুগ্রহরাজি দিয়ে পূ্র্ন করে দিয়েছেন তোমাকে। তোমার নিকট রয়েছে দুটি চোখ ,দুটি হাত,দুটি পা,জীহ্বা ও দুটি ওষ্ঠ। "হে মানব এবং জীনজ্বাতি তোমরা তোমাদের পালনকর্তার কোন্ কোন্ নিয়ামত অস্বীকার করবে"?এ বিষয়টা কি খুব সহজ,যে তুমি পা দিয়ে চলছ অথচ কত পা কর্তীত রয়েছে!তুমি তোমার নলাদ্বয়ের ঊপর ভর করতে পারছ,যখন কতশত নলা কর্তীত রয়েছে!তুমি নয়ণ ভরে ঘুমাচ্ছ অথচ যন্ত্রনা কত শত লোকের ঘুম কেড়ে নিয়েছে!তুমি পেট পু্রে সু্স্বাধু খানা খাচ্ছ,ঠান্ডা-সুশীতল পানীয় চুমুক দিয়ে পান করছ,ওদিকে রোগ-ব্যধি কত লোকের খানা-দানা ঘোলাটে করে দিয়েছে,পানীয় পানকে বিঘ্নত করে দিয়েছে। লক্ষ কর তোমার শ্রবনশক্তির দিকে যেটাকে বধিরতা থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। লক্ষ করে দেখ তোমার দৃষ্টি শক্তির দিকে,যেটাকে অন্ধত্ব থেকে নিরাপদে রাখা হয়েছে।
এবং তোমার চামড়ার দিকে যেটাকে কুষ্ঠরোগ থেকে দূরে রাখা হয়েছে। তাকাও তোমার আকলের দিকে যাকে সুস্থ বিবেক-বিবেচনার নেয়ামত দেয়া হয়েছে,উম্মক্ততা ও হতবুদ্ধিতা থেকে রক্ষা করা হয়েছে। তুমি কি তোমার শুধু একটা চক্ষুর বিনিময়ে ওহুদ পাহাড় সম স্বর্ন গ্রহন করবে? তুমি কি তোমার শ্রবন শক্তি উহা দ্বারা বিক্রি করবে? তুমি কি তোমার কথা বলার শক্তি বিকিয়ে দিয়ে অনেকগুলো উজ্জল মণোহর অট্রালিকা ক্রয় করতে রাজি হবে যে,তুমি বোবা হয়ে যাবে? অনুরুপ তোমার হস্তদ্বয়কে অসংখ মনি-মুক্তা ও ইয়াকুত পাথরের গহনা দিয়ে বদল করবে কি? নিশ্চয়ই বলবে "না"। তাইলে নিশ্চয়ই তুমি আপরিমেয় কল্যান ও সার্বিক নেয়ামতের ভিতর রয়েছ। কিন্তু তা তুমি অনূধাবন করছনা।
তুমি জীবন যাপন করছ শোকাহত,দূশ্চিন্তাগ্রস্ত ও দূঃখপূর্ন অবস্থায় অথচ তোমার নিকট রয়েছে গরম রুটি,ঠান্ডা পানি,আরামদায়ক ঘুম, ও বর্ধনশীল সুস্বাস্থ্য। তুমি ভাবছ শুধু হারানো বা অস্তিত্বহীন বিষয়গুলো নিয়ে,এদিকে তোমার নিকট মওজুদ বিষয়গুলোর শুকর করছনা। তুমি আর্থিক লোকসানে মনে কস্ট পাচ্ছ এমতাবস্থায় যে,তোমার নিকট রয়েছে সফলতার চাবিকাঠী,অগনিত দান ও কল্যান,অফূরন্ত নেয়ামতরাজী,আরো হাজারো কত বিষয়! এগুলো নিয়ে তুমি চিন্তা করে দেখ এবং শুকুরগুজারি কর।
তোমার নিজের মধ্যেও রয়েছে অসংখ নেয়ামত ও নিদর্শনাবলী। চেয়ে দেখ তোমার নিজের দিকে,তোমার পরিবার,তোমার ঘর,তোমার কাজ,তোমার সুস্থতা,তোমার বন্দু-বান্দব এবং তোমার পার্শ্ববর্তী দুনিয়াবী আরোসব বিষয়ের দিকে।
তুমি তাদের মতো হিইওনা যাদের সন্মন্ধে বলা হয়েছে। ''তারা আল্লাহর নিয়ামত চিনে কিন্তু তারা তা অস্বীকার করে। ''
পৃথীবির চিরাচরিত প্রথানুযায়ী যখন কোন জিনিসই আপনা-আপনি তৈরী হয়না তখন তুমি,আমি,আগুন-পানি,আলো-বাতাস, চন্দ্র-সূর্য,গ্রহ-নক্ষত্র,আসমান- জমিন,এ বিশ্ব-চরাচর তথা সকল নেয়ামতরাজি আপনা-আপনি সৃস্টি হয়নি। কেহ না কেহ সৃস্টি করেছেন নিশ্চয়ই। আর তিনিই হলেন ইহকাল ও পরকাল তথা উভয়জাহানের স্রস্টা এবং এককভাবে ঐসবের একমাত্র মালিক আল্লাহ তা'লা।
তাইতো শুধু তারি জন্যই সমস্ত প্রশংসা ও সকল শুকরিয়া। এজন্যই সর্বাধিক জ্ঞানী হলো সে ব্যাক্তি যে তার স্রস্টাকে সর্বদা স্বরন করে এবং তার সৃস্টিজীব নিয়ে গবেষনা করে। যেমন আল্লাহপাক বলেনঃ"নিশ্চিয়ই আসমান ও জমিন সৃস্টিতে এবং রাত্রি ও দিনের আবর্তনে নিদর্শন রয়েছে বোধসম্পন্ন লোকদের জন্যে। যারা দাড়িয়ে,বসে,ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্বরন করে এবং চিন্তা-গবেষনা করে আসমান ও জমিন সৃস্টির বিষয়ে। (তারা বলে-)হে আমাদের প্রতিপালক!এসব তুমি অনর্থক সৃস্টি করনি।
সকল পবিত্রতা তোমারই,আমাদেরকে তুমি দোযখের শাস্তি থেকে বাচাও"। ...... (ধারাবাহিক) ............চলবে........................
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।