৪০ বছর আগে টেনিস-বিশ্বকে ব্যতিক্রমী এক ম্যাচ উপহার দিয়েছিলেন আমেরিকার সাবেক শীর্ষ তারকা ববি রিগস ও মার্গারেট কোর্ট। টেনিসে প্রথমবারে মতো দেখা গিয়েছিল পুরুষ ও নারীর দ্বৈরথ। তবে একই বছর ববি রিগসের বিপক্ষে বিলি জিন কিংয়ের লড়াইটাই আলোচিত হয়েছিল সবচেয়ে বেশি। ‘ব্যাটল অব সেক্সেস’ নামে পরিচিত এই লড়াইয়ে সবাইকে স্তম্ভিত করে দিয়েছিলেন জিন কিং। টেনিস র্যাকেট দিয়েই নারীর সমানাধিকারের লড়াইটা চালিয়েছিলেন সে সময়ের উইম্বলডন-জয়ী এই তারকা।
মেয়েদের টেনিসকে সব সময়ই অবজ্ঞা করা রিগস সরাসরি সেটে হেরে গিয়েছিলেন কিংয়ের কাছে। তবে এত দিন পর এসে জানা যাচ্ছে, রিগস-কিংয়ের ‘ব্যাটল অব সেক্সেস’ ম্যাচটি নাকি পাতানো ছিল। মাফিয়া চক্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে রিগস নাকি ইচ্ছে করেই ছেড়ে দিয়েছিলেন ম্যাচটা।
১৯৭৩ সালে রিগস আর কিংয়ের ‘ব্যাটল অব সেক্সেস’ নিয়ে উঠেছিল বিপুল শোরগোল। বিশাল অঙ্কের টাকা বাজিও ধরা হয়েছিল ম্যাচটি ঘিরে।
বলাই বাহুল্য, বেশির ভাগই বাজি ধরেছিলেন রিগসের পক্ষে। কারণ, কয়েক মাস আগেই তিনি হারের স্বাদ দিয়েছেন সে সময়ের মেয়েদের টেনিসের শীর্ষ তারকা মার্গারেটকে। র্যাঙ্কিংয়ের দ্বিতীয় স্থানে থাকা কিংয়ের পরিণতিও যে তেমনটাই হবে, সে ব্যাপারে সন্দেহ ছিল না কারও। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে ৬-৪, ৬-৩, ৬-৩ সেটে হেরে যান রিগস।
টেনিস-বিশ্বের বহুল আলোচিত ওই ম্যাচের পেছনের আখ্যানটি দীর্ঘ ৪০ বছর পর সবার সামনে এনেছেন হ্যাল শ’ নামের এক পেশাদার গলফার।
সে সময়ের দুর্ধর্ষ মাফিয়া সদস্য সান্তো ট্রাফিসান্তে জুনিয়র ও কার্লোস মার্সেলোর একটি কথোপকথন শুনে ফেলেছিলেন তিনি। এক লাখ ডলারের বেশি দেনা পরিশোধের জন্য রিগস ম্যাচটা ইচ্ছা করেই হেরে যাবেন, এমন আলোচনা করেছিলেন দুই মাফিয়া সদস্য। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।