করণিক: আখতার২৩৯
দলীয় কোন্দলগুলো পাতানো খেলা
=============================
দলীয় কোন্দলগুলো তো দু’দলের মধ্যে দলোধ্বংসী সহিংসতা নয়, বরং খোলামেলা ওগুলো পাতানো খেলা। আর এ তো দেখলেই বোঝা যায় নিজেরা থামানোর সংকল্পে কোনো দলই কোনো পাতানো খেলা খেলতে শুরু করে না। বিরক্ত দর্শকেরা না-থামালে সাজানো নাটকের নাট্যকর্মীদের উৎসাহের জোয়ারে ভাটা পড়ে না।
(গণপিটুনিদাতা সাধারণ জনগণকে ধোঁয়াশার মধ্যে রাখতে পারলেই দলোগণের লাভ। যেমন দেখা যায় ‘কংক্রিটের বাধরক্ষী বোল্ডার ভেসে গেছে নদীর জলে’ হিসেবে দেখিয়ে বোল্ডার সরবরাহ না-করেও রাষ্ট্রীয় অর্থভাণ্ডার থেকে বরাদ্দ অর্থ তুলে নিয়ে নিজেদের ঝুলিতে ভরানোর প্রতিযোগিতায়।
অমন বেহিসেবি লাভ তো কোনো শান্ত পরিবেশে সম্ভব নয়। শান্ত পরিবেশে কেবল ধরা পড়ার যত ঝুঁকি। )
জয়-পরাজয় নয়, বরং পাতানো খেলাটাকে জিয়ানোই লক্ষ্য। গণপিটুনির আভাস পেলেই দলীয় পরিচয়ের পোশাক খুলে ফেলে দিয়ে খেলুড়েরা জনগণের সাথে মিশে আত্মগোপন করতে বাধ্য হয়।
জনজীবনকে অস্থিরতার মধ্যে রাখতে পারলেই, রাষ্ট্রের সরকারি সম্পদ নষ্ট করাতে কিম্বা নিজেদের দখলে নেওয়ার প্রতিযোগিতায়, সমধিক সুবিধা সংশ্লিষ্ট দলোগণের, যারা প্রত্যক্ষে বা পরোক্ষে অবৈধকর্মে জড়িত।
আইন-আদালত, শাস্তি, মুক্তি, জামিন, সম্পদের হিসেব প্রদর্শন, জবাবদিহিতা ইত্যাদি বিবিধ ধরণের ঝামেলা এড়ানোর জন্যে সংশ্লিষ্টরা যেকোনো অজুহাতে জনজীবনকে অস্থিতিশীল অবস্থার মধ্যে রাখতে বাধ্য। সভ্য ভদ্র সুস্থ পরিবেশ কখনোই কোনো অপরাধীর কাম্য হতে পারে না।
মাঝে মধ্যে দলোগণের মধ্যে প্রকাশমান সংঘর্ষণে কিম্বা লোকচক্ষুর আড়ালে যে দু’একটা হতাহতের ঘটনা ঘটে, তদন্ত করতে গেলেই দেখা যায়, ওগুলো কোনো দলীয় দ্বন্দ্বের কারণে ঘটেনি, ঘটেছে নিতান্তই ব্যক্তিগত কিম্বা পারিবারিক রেষারেষির জেরে।
করণিক : আখতার২৩৯
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।