বৃষ্টিতে হাঁটতে ভাল লাগে আমার কারন কেউ দেখেনা দুচোখের জল ধুয়ে যায় বৃষ্টিধারায়
দেলোয়ার সাহেবের গতকাল রাতে ঘুম হয়নি । সারা রাত কেটেছে তার অনিদ্রায় আর ক্ষোভে । তিনি ভেবে কোন কুল কিনারা খুঁজে পাননা কি ভাবে এটা সম্ভব । কিভাবে তারা পারে বাংলাদেশের জনগনকে এভাবে ধোঁকা দিয়ে বোকা বানাতে । এতদিন এই কৌশল তার জানামতে , তার মত দেশভক্ত জনদরদী নেতারই ছিলো ।
অথচ আজ কিনা তাকেই স্রেফ বেকুব বনে যেতে হয়েছে শত সহস্র জনগনের সাথে । এই অপমান কিভাবে সহ্য করা যায় । এখোনো ভাবলেই দেলোয়ার সাহেবের বার্ধ্ক্যর সাদা লোম খাড়া হয়ে যাচ্ছে রাগে ।
এতদিন বেশ ভালই সময় যাচ্ছিলো বয়সী মহিলাদের পিছনে দাঁড় করিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে । আর এমনই সময় কিনা সরকার আপোষহীন নেত্রীকে মামলার হাজিরা দিতে ডাক দিলো।
সাথে তাকেও এখন কিনা এই বুড়া বয়সে আয়েসী এসি ড্রইংরুম এর আরাম হারাম করে উকিলের কালো কোট পরে গরমে ছুটে বেড়াতে হচ্ছে আইন আদালত করে । দেলোয়ার সাহেব ভাবে আর কপাল চাপড়ায় কোন কুলক্ষনে যে ওকালতি পড়তে গিয়েছিলেন । না হলে আজ তাকে এই রোদে আর বর্ষায় এভাবে তার শখের ড্রইং রুম (হারেম খানা) ছেড়ে তাকে ছুটে বেড়াতে হতনা
একদিকে হাসিনার সাথে সরকারের সুবিধাজনক আতাঁত অন্যদিকে তার সাথে সহযোগী হান্নানের ইগো প্রবলেম। দলের ভবিষৎ নিয়ে দেলোয়ার সাহেব শংকিত। দেয়ালে ঝোলানো ঘড়িতে সময় ঘন্টা বেজে উঠতেই দেলোয়ার সাহেবের মনে পড়ে যায় গতকাল রাতের ঘটনা ।
আবার ও ক্ষোভের দানা নতুন করে বাসা বাঁধে তার মনে । অস্ফুস্ট স্বরে তিনি মনে মনে বলে উঠেন কিভাবে এমন পাতানো খেলা তারা এভাবে খেলতে পারলো । এতদিন তিনি বোকা বানিয়ে এসেছেন হাজার হাজার মানুষকে । সরকারের টাকায় তার দুই দুইটা বাসায় বাজার যেত অহরহ। অথচ আজ কিনা ..... তাকেই ।
হাতদুটা এই বুড়া বয়সে শক্ত হয়ে উঠতে চায় কিন্ত বৃদ্ধ বয়সের হৃদপিন্ড সায় দিতে চায়না। দূর্বল ধমনী রক্ত সরবরাহে ঘাটতি পড়ায় নরম হয়ে আসে দেলোয়ার সাহেবের হাতের মুঠি । মনে মনে ভাবেন আজ যদি কাছে তার সুযোগ্য ছেলে পবন আর ডাবলু কাছে থাকতো তবে দেখিয়ে দিতেন HOW MANY PADDY তে HOW MANY RICE হয় । যেভাবে অতীতে ও তিনি তার ছেলেদের মাধ্যমে দেখিয়েছিলেন ।
আহা !সেই দিন কি কখনও আর ফেরত পাওয়া যাবে ।
বুক ফাঁকা করে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে দেলোয়ার সাহেবের ।
মামলা মোকদ্দামা আর মিডিয়ার হাজারো প্রশ্নের বেড়াজাল থেকে মুক্তি পেতে দেলোয়ার সাহেব মনের খুশীতে গতকাল গিয়েছিলেন পাকিস্তান ভারতের খেলা দেখতে । যদিও খেলা দেখার কোন ইচ্ছা তার ছিলোনা কিন্ত এক জামাতী ভাই পাকিস্তানের খেলা বলে একটা ফ্রী টিকিটের ব্যবস্হা করে দিয়েছিলো। কিন্ত কে জানতো এই খেলায় তার প্রিয় দল পাকিস্তানকে এভাবে শোচনীয় পরাজয় মেনে নিতে হবে । এই হার দেখে তার জামাতী ভাইয়ের মত তিনি মর্মান্তিক ব্যথিত ।
তাই নির্বাচনের পরাজয়েয় মত এই পরাজয়কে তিনি কোনভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না।
দেলোয়ার সাহেব তাই পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে আর ক্ষোভ চাপতে না পেরে বলে উঠলেন জোর গলায়
" পাতানো কোন খেলা জনগন মানবেনা "
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।