প্রতি বছর ১৪ফেব্রুয়ারি,কিছু মুসলিম নর-নারী 'সিঙ্গেল কিংবা বিবাহিত' নিজেদের মধ্যে বিশেষ কার্ড,চকলেট,উপহার বা ফুল বিনিময় করে থাকে তাদের "ভ্যালেন্টাইন" র সঙ্গে। কিন্তু ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’তে পিছনে রয়েছে বাণিজ্যিক স্বার্থের জয়গান। সেই সাথে তরুণ-তরুণীদের সস্তা যৌন আবেগকে কাজে লাগিয়ে অশ্লীলতা,বেহায়াপনাকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রয়াস। তাই এর জন্য উপলক্ষ দরকার। শুধু কি ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে'তে আপনি যাকে বেশি ভালোবাসেন থাকেন;তাকে ভালোবাসার দেখানো একমাত্র পন্থা? আসুন জেনে নেই 'ভ্যালেন্টাইন্স ডে' কি ভালোবাসার প্রকাশের উপলক্ষ মাত্র কিনা।
সেন্ট ভ্যালেন্টাইন্স ডের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনী শিকড় রয়েছে যাহা উৎসবের বিভিন্ন ধারাবাহিকতার মধ্যে দিয়ে প্রকাশ পেয়েছে :
1.১৯৪২ সালে ইসলামের বিরুদ্ধে ক্রুসেড সময় পেড্রো সেন্ট ভ্যালেন্টিয়ো ১৪ ফেব্রুয়ারীকে 'ভালোবাসা' দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন,স্পেন এবং ইউরোপের ইসলামী শাসন অবসান হওয়ার পর।
2. সম্প্রতিকালেড়'ভ্যালেন্টাইন্স ডে'র জনপ্রিয় চিহ্ন (symbols) হচ্ছে কামদেব কিংবা রোমানদের প্রণয়দেবতা(Cupid)। এই ভালোবাসার রোমান দেবতার ইমেজ প্রতিনিধিত্ব করেন একটি অল্প বয়স্ক ছেলের সাথে রয়েছে তির ধনুক।
3. খৃষ্টাব্দে ৩00 সালে রোমান সম্রাট এই মর্মে তার সাম্রাজ্য এই বলে ঘোষণা দেন যে,এখন থেকে সবাইকে রোমান দেবতা বিশ্বাস করতে হবে। তৎকালীন সময়'ভ্যালেন্টাইন' নামে একজন খ্রিষ্টান পুরোহিত ছিলেন,তাকে কারাগারে নিক্ষিপ্ত করা হয়েছিল ১৪ফেব্রুয়ারিতে।
এবং সেই তার শিরশ্ছেদ(beheaded) করা হয়। তিনি শিরশ্ছেদ(beheaded) কার্যকর হওয়ার আগে,জেলারে মেয়ের প্রতি ফেয়ারওয়েল চিঠি লিখেন এবং এই মর্মে সাক্ষর করেন 'তোমার ভ্যালেন্টাইন'।
4.এই 'ভ্যালেন্টাইন্স ডে' তে রোমানরা লোপারক্যালি(Lupercalia)নামে ভোজোত্সব আয়োজন করতো। এবং এই ভোজোত্সব রোমান দেবতা ফ'নাস(Faunus ),যিনি কৃষি দেবতা নামে পরিচিত ছিলেন,তাকে উদ্দেশ্য করে নিবেদন করতো। এবং এই দিনে রোমান পুরোহিতরা একটি পবিত্র গুহায়ে একত্রিত হয়ে উৎসব পালন করতেন।
বিশেষ করে এই দিনে পুরুষরা মহিলাদের চড় দেওয়ার রীতি প্রচলিত ছিল। যাতে করে মহিলা কাছে এক ফালি কাপড় দিয়ে লুকায়িত একটি ছাগল যাতে বেরিয়ে আসে। এবং সেই ছাগলটি রক্ত পাত্র মধ্যে চুবানো হয়। যাতে করে মহিলার সুস্বাস্থ্য অধিকারী।
এই উৎস অদ্ভুত মিশ্রণের দ্বারা সংমিশ্রণ হোক না কেনেও কিন্তু বর্তমানে এই উৎসবটি সেন্ট ভ্যালেন্টাইন্স ডে এর সত্য বার্তাকে বাণিজ্যিক শিল্প তার ফুল,চকলেট এবং গহনা বিক্রয় দ্বারা পুরাপুরি বাণিজ্যিক পথে টেনে নেওয়া হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।