নেশার লাটিম ঝিম ধরেছে চোখের তারায় রঙ জমেছে এখন কোন দুঃখ নেই নেই কোন ভাবনা এমনি করেই দিন যদি যায়, যাকনা.
যে খাবার তৈরিতে এবং বিপণনে অন্য কোন নিম্মমানের খাদ্যদ্রব্য কিম্বা অখাদ্য মিশ্রণে পণ্যের নির্ধারিত মান থেকে বিচ্যুত থাকে এবং গ্রহণে তা ভোক্তার আর্থিক ক্ষতিসহ স্বাস্থ্যহানি ঘটাতে পারে তাই ভেজাল খাবার।
জাতিসংঘ ক্রেতা-ভোক্তাদের ৮ টি অধিকার চিহ্নিত করেছেঃ
১। অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা চিকিৎসা ও বাসস্থানের মৌলিক চাহিদা পূরণের অধিকার ;
২। নিরাপদ পণ্য ও সেবা পাবার অধিকার ;
৩। পণ্যের উপাদান, ব্যবহারবিধি, পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি তথ্য জানার অধিকার ;
৪।
যাচাই-বাছাই করে ন্যায্য মূল্যে সঠিক পণ্য ও সেবা পাবার অধিকার ৫। অভিযোগ করার ও প্রতিনিধিত্বের অধিকার ;
৬। কারও পণ্য বা সেবা ব্যবহারে ক্ষতিগ্রস্ত হলে ক্ষতিপূরণ পাবার অধিকার ;
৭। ক্রেতা-ভোক্তা হিসেবে অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে শিক্ষালাভের অধিকার ;
৮। স্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ ও বসবাস করার অধিকার।
আমাদের যা করতে হবেঃ
১। পণ্য বা সেবার মান ও গুণাগুণ সম্পর্কে সচেতন ও জিজ্ঞাসু হোন
২। দরদাম করে সঠিক পণ্য বাছাই করুন ;
৩। আপনার আচরণে অন্য ক্রেতা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন সে ব্যাপারে সচেতন থাকুন ;
৪। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সচেতন ও সক্রিয় হোন ;
৫।
ক্রেতা-ভোক্তা হিসেবে অধিকার সংরক্ষণে সোচ্চার ও সংগঠিত হোন ।
ভজাল খাবার বিক্রি করা যাবে না। কেউ বিক্রি করলে তা বন্ধ করার ব্যবস্থা নিতে হবে। ভেজাল খাবার মানুষের, বিশেষ করে শিশুদের মারাত্মক ক্ষতি করে। দেশব্যাপী ভেজাল খাদ্য বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
খাবারে এমনকি মাছ, মাংস, ফলমূল ও শাকসব্জিতে কাপড়ের রঙ ব্যবহার করা যাবে না। রঙ দেয়া খাবার (অুড়-ফুব) শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। মাছ, মাংস, দুধ, কিম্বা যে কোন খাবারে ফরমালিন ব্যবহার করা যাবে না। ফরমালিন মানুষের শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।
ফাস্টফুড / জাঙ্কফুডকে না বলুন।
এ সকল খাদ্য মানুষের নীরব ঘাতক। এটা স্থূলতা বৃদ্ধি, বহুমূত্র এবং হৃদরোগসহ নানান ধরনের অসুখের সৃষ্টি করে। জাঙ্কফুডে প্রয়োজনের তুলনায় কম পরিমাণে থাকে - প্রোটিন , ভিটামিন ও আঁশ জ্াতীয় খাদ্য কিম্বা নাও থাকতে পারে। বরং যেটা থাকে তাহলো অতিরিক্ত লবণ, চিনি ও চর্বি যা শরীরে মেদবৃদ্ধি সহ হৃদরোগ , ব্লাডপ্রেসার ও ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
ঘন চিনি (সোডিয়াম সাইক্লামেট) বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ।
ঘনচিনি বিক্রেতাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। খাদ্যদ্রব্যে কোন সংরক্ষক দ্রব্য (প্রিজারভেটিভ) ব্যবহৃত হলে তা অবশ্যই নিরাপদ হতে হবে এবং স্বীকৃত নির্দিষ্ট মাত্রার বেশী হবে না। পণ্যের মোড়কে পণ্যের নাম, কোম্পানির নাম, পূর্ণ ঠিকানা, ফোন নম্বর, উৎপাদনের তারিখ , মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ ও ব্যবহার বিধি, ব্যাচ নম্বর, মূল্য ও ওজন লেখা থাকতে হবে । পলিথিন ও প্লাস্টিক প্যাকেটে তৈলাক্ত কোন খাবার রাখা যাবে না। পলিথিন বা প্লাস্টিকজাত দ্রব্যে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ (প্লাস্টিসাইজার) মানুষের শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।
রেস্টুরেন্টে খবরের কাগজ ব্যবহার করে পরটার তেল মোছা যাবে না। খবরের কাগজের কালিতে বিষাক্ত পদার্থ (হেভি মেটাল) থাকে যা ভোক্তার স্বাস্থ্যহানি ঘটাতে পারে।
মায়ের দুধের বিকল্প নেই। অনেক বিকল্প শিশুখাদ্য শিশুর জীবনহানি কিম্বা শারীরিক ও মানসিক পঙ্গুত্ব সৃষ্টি করতে পারে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।