কখনো ভাবিনি আগে।
ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৭৭ সালে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্তক্ষমতাসীন সরকার, তাদের ছাত্রসংগঠন ও মিডিয়ার প্রচন্ড বিরোধিতা কখনো থেমে থাকেনি। সংবাদ মাধ্যমগুলো সবসময় শিবির কে সন্ত্রসী, রগকাটা হিসাবে প্রচার করে এসেছে। আজও করছে।
শিবির কে এমন ভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে যে শিবির মারাত্মক শক্তিশালী একটি জঙ্গি সংগঠন। যারা শুধু নিজেরাই সরাসরি মানুষ হত্যা করছে না বরং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মধ্যেও ঢুকে তারা সন্ত্রসী কর্মকান্ড চালাচ্ছে।
লক্ষ্য করুন আমাদের দেশে অজ পর্যন্ত যত বড় সন্ত্রসীরাই ধরা পড়েছে। তাদের হত্য ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সংবাদ, তাদের গ্রেফতার অথবা হত্যার পরই সকল মিডিয়া প্রকাশ করেছে। অনেক সময় প্রশাসন কোন তথ্য না প্রকাশ করলেও মিডিয়া অনেক নির্ভর যোগ্য তথ্য প্রকাশ করেছে।
তার অর্থ মিডিয়ার কছে ঐ সন্ত্রাসী সকল কর্মকান্ডের তথ্য পূর্ব থেকেই ছিল কিন্তু তা তারা ঐ সন্তাসীর গ্রেফতার ও হত্যার পূর্বে তা প্রকাশ করেনি।
কারন ঐ ব্যক্তি প্রকৃত পক্ষে একজন বড় সন্ত্রাসী ছিল। এবং তার হয়ত কোন রাজনৈতিক সমর্থন ছিল।
যদিও কোন কোন ক্ষেত্রে দু-এক জন সাহসী সাংবাদিক এ রকম কোন সন্ত্রাসী কর্ম কান্ডের সংবাদ প্রকাশকরেছে। কিন্তু তাদের কে হয় এলাকা ছাড়তে হয়েছে নয়তো ঐ সকল সন্ত্রীদের হামলার স্বীকার হতে হয়েছে।
কারন তারা যাদের ব্যাপারে সংবাদ প্রকাশ করেছে তারা প্রকৃত পক্ষেই একজন সন্ত্রাসী। যেমন আমরা বিগত এক বছরে দেখেছি ছাত্র লীগের চাঁদাবাজী, লুন্ঠন ও ধর্ষণের সংবাদ প্রকাশের পর অনেক প্রভাবশালী পত্রিকার সাংবাতিক কে হত্যর হুমকি দেয়া হয়েছে এবং পটুয়াখালীর প্রথম আলোর সাংবাদিক কে স্ব-পরিবারে ঢাকায় পত্রিকা অফিসে এসে আশ্রয় নিতে হয়েছে। ঢা.বি. তে আজকের কাগজ এর সাংবাদিক কে পিটিয়ে পঙ্গু করে দিয়েছিল ছাত্রলীগ, তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করার কারনে।
কিন্তু ছাত্র শিবিরের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত যত সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে সেটা এই এক বছরে হোক আর গত পাঁচ বছরে হোক, কোন সাংবাদিককে এভাবে এলাকা ছাড়তে হয়নি।
যে সকল সাংবাদিকরাই শিবিরের বিরুদ্ধে মিথ্যা সন্ত্রাসবাদের অপবাদ দিয়েছে তারা সকলেই জানেন যে শিবির কে নিয়ে সে যাই লিখুক তাদের কিছু হবেনা।
যদি তারা সত্যিই শিবির কে সন্ত্রসী হিসাবে চিনতো তাহলে তারা মিথ্যা হোক আর সত্য হোক কোন সংবাদই প্রকাশ করার সাহস পেতনা।
যেমনটি তারা অন্যান্য প্রমানিত,বড় সন্ত্রসীদের বেলায় করে থাকে।
যে কোন এলাকার সবচেয়ে ভদ্র ছেলেরাই শিবির করে। এমনকি আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছেও সে ভদ্র ও শান্ত হিসাবে পরিচিত থাকে ততক্ষন, যতক্ষন তারা না যানে যে এই ছেলেটা শিবির করে।
বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল ও মাদ্রাসার মেধাবী ও চরিত্রবান ছেলেরাই শিবির করে।
এ ধরনের ছেলেরা কখনোই অস্ত্র হাতে নিতে পারে না।
এজন্য অনেক অওয়ামী লীগ নেতাকে অনেক শিবির কর্মীকে দেখে বলতে শুনেছি, তোমার মত ভদ্র ছেলে শিবির করবে কেন, শিবির করবে তো সন্ত্রাসী জঙ্গীরা। শিবিরের সকল নেতা কর্মীকে দেখে এই একই কথাই সকলকে বলতে হবে। তাহলে শিবিরকে কেন জঙ্গী বলা হয়?
আবুজেহেল, অবু লাহাবরা জানতো যে মুহাম্মাদ (স) সত্যিই আল্লাহর রাসূল কিন্তু তারা তাকে পাগল,যাদুকর,গনক বলে প্রচারনা চালাত একারনে যে তারা ছিল সকল অন্যায়ের নেতৃত্ব দানকারী।
কোন অন্যায়কারীই তাদের বিরূদ্ধে কথা বলুক এমন কাউকে সহ্য করতে পারে না।
যারা একথাবলে তারাও জানে যে এরা জঙ্গী নয়। তা না হলে তারা একথা বলার সাহস পেতনা।
যারা শিবিরের বিরুদ্ধে না জেনে তাদের সাথে সুর মেলাচ্ছেন তাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে। না জেনে অবু জেহেল , অবু লাহাবদের অনুসারী হবেন না। তাহলে জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে আমরাও ক্ষতিগ্রস্ত হব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।