আমি এখন সেফ। । মাদক ব্যবসার সঙ্গে শিবির জড়িত রয়েছে এমন তথ্য পেয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী! দেশের একমি কোম্পানির কাশির সিরাপ ফেনাড্রিলকে তারা ফেনসিডিলের বিকল্প হিসেবে বিক্রি করছে।
তবে সরাসরি তারা ফেনাড্রিল বিক্রি করছে না। নতুন ফেনাড্রিলের সঙ্গে সিভিট ও নেশা জাতীয় ট্যাবলেট মিশিয়ে এগুলো বাজারজাত করছে।
কী ধরনের নেশার ট্যাবলেট মেশানো হচ্ছে এ বিষয়ে তথ্য উদঘাটনে মাঠে নেমেছে র্যাব।
র্যাবের ধারণা, শিবিরের খরচ যোগাতে তারা মাদক ব্যবসায় নেমে পড়েছে। তবে সারাদেশে শিবির এই তৎপরতায় যুক্ত রয়েছে কিনা, সেটিও খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে তারা।
গাজীপুরের টঙ্গীতে শিবিরের গোপন আস্তানায় অভিযান চালিয়ে ফেনাড্রিল উদ্ধার করার পর র্যাব এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে তৎপরতা চালাচ্ছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এর আগে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা ও মাদক সেবনের অভিযোগ পাওয়া গেলেও শিবিরের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ নতুন।
তাদের গোপন আস্তানা থেকে এ জাতীয় মাদক উদ্ধার হওয়ার পর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয় সামনে নিয়েও কাজ করবে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, ফেনাড্রিল এক ধরনের কাশির সিরাপ। বিভিন্ন ফার্মেসি থেকে শিবির কর্মীরা এই সিরাপের বোতল কিনে নিয়ে আসে। পরে এ সিরাপের সঙ্গে সিভিটের গুঁড়া ও নেশাজাতীয় ট্যাবলেট মেশায়। এরপর এটি ফেনসিডিলের বিকল্প হিসেবে নতুন মাদকে পরিণত হয়।
র্যাব-১ এর অপারেশন অফিসার মোর্শেদ বাংলানিউজকে বলেন, “আমরা ধারণা করছি, ফেনাড্রিলকে ফেনসিডিলের বিকল্প মাদক হিসেবে ব্যবহারের উপযোগী করে বাজারজাত করছে শিবির। ফেনসিডিল নিষিদ্ধ ও বহনে ঝুঁকি থাকার কারণে শিবির বাজার থেকে ফেনাড্রিল কিনে তাতে নেশা জাতীয় ট্যাবলেট মিশিয়ে তা মাদকসেবীদের কাছে বিক্রি করছে। ”
খবরের সূত্র : Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।