স্থান: সূচনা কমিউনিটি সেন্টার, মোহাম্মদপুর, সময়: গত মাসের শেষ সপ্তাহ, রাত আনুমানিক ৯টা। বৈশাখী টি,ভি'র এক সাংবাদিকের বিয়ের অনুষ্ঠানে মাননীয় মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের পাশের টেবিলে খেতে বসেছি। অন্য পাশের টেবিলে চোখ পড়তেই দেখি কয়েকজন শিবির নেতাও খাওয়া-দাওয়া করছে একই অনুষ্ঠানে। তাদের বেশ খোশ মেজাজ এবং হাসি মুখ দেখে খাবার শেষে এগিয়ে গেলাম তাদের দিকে।
কী ব্যপার এত খুশী কেন? পুলিশ তোমাদের পায় না?
নেতা গোছের একজন সহাস্যে বলল: জ্বি দাদা,পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছিল, ১ মাস ৪ দিন ছিলাম।
জেল থেকে মুক্তি পেয়ে এসেছি গত সপ্তাহে। তার সঙ্গীরাও এগিয়ে এলো এবং জানালো তারা প্রায় সবাই কম-বেশী দিন গ্রেফতার হয়ে জেলে গিয়েছিলো। তাদের প্রতি সমবেদনা জানাতে একটু বসলাম কথা শুনতে, কিন্তু কথার ছলে জা জানলাম বা শুনলাম তাতে আমি কিছুটা বিস্মিত! তথ্যগুলো ঠিক এরকম:
# শিবিরের ছেলেরা ব্যাপক হারে গ্রেফতার হওয়ায় তাদের ভয়ভীতি কমে যাচ্ছে এবং এটাকে নাকি বিনা খরছে তাদের একটি গঠনমূলক ট্রেনিং হিসেবে তারা বিবেচনা করছে।
# একসময় দলে জেলখাটা লোক কম ছিল, এখন ১০ জনের মধ্যে ৭-৮ জনই জেলখাটা কর্মী পাওয়া যাচ্ছে।
# জামাত-শিবির সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ঘটনার পর যাদের গ্রেফতার করা হয় তাদের মাঝে জামাত-শিবিরের সাথে সাধারণ কিছু মানুষ কেও গ্রেফতার করা হয় যারা জেলে গিয়ে নির্যাতিত হবার কারণে জামাত-শিবিরের সংস্পর্ষে আসার সুযোগ পায় এবং জামাত এ সুযোগে বহু লোক এবং পরিবার কে তাদের দলে ভিড়ানোর সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে।
# রিমান্ডে তাদের ওপর কেমন নির্যাতন হয়েছে জানতে চাইলে তারা বলে, রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ জানতে চায় জামাত-শিবির নেতাদের নাম ও ঠিকানা। তখন নাকি তারা অনায়াসে বর্তমান কঠিন পরিস্থিতিতে যেসব জামাত বা সাবেক নেতা-কর্মীরা নিস্ক্রিয়, আর্থিক সহযোগিতা প্রদান থেকে বিরত আছেন, তাদের নাম-ঠিকানা জানিয়ে দেয়। ব্যাস পুলিশ খুশী হয়, নির্যাতন থেকে বেচে যায় আর এসব নিস্ক্রিয় নেতা-কর্মীরা তখন গ্রেফতার হয়ে পটাপট চলে আসে জেলে। হয়ে যান বেশ নামাজী-কালামী এবং সক্রিয়। আমি তাদের হাসি হাসি মুখে এসব শুনে যারপর নেই বিস্মিত।
বিষয়টি পরে শেয়ার করতে চাইলাম নানক ভাইয়ের সাথে কিন্তু ততক্ষণে তিনি বেরিয়ে গেলেন কমিউনিটি সেন্টার থেকে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।