শারদশশীর অনন্ত অপেক্ষায় তোর চোখের সবুজ রঙ আকাশনীল হয়ে গেলে ঠিক ধরে নিস আমি হারিয়ে গেছি ঘাসেদের দলে...
বাড়িতে মেহমান আসা স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু মেহমান এলে সবসময় খুশি হওয়া কী সম্ভব? বিশেষ করে মাসের শেষ চলছে, টাকা পয়সা নিয়ে টানাটানি, এমন সময় মেহমান এসে হাজির। তার ওপর সে যদি বেশ কিছুদিন থাকবে বলে আসে, তাহলে তো কথাই নেই। আবার অনেক মানুষ আছেন এমন বিরক্তিকর ব্যক্তিত্বের অধিকারী, যে তার সাথে কথা বলতে গেলেই মেজাজের দফারফা হয়ে যায়! তো, যদি এরকম কারো পাল্লায় পড়েন, তাহলে নিচের আইডিয়া গুলো কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন।
ফর্মুলা একঃ মেহমান আসছে আগে থেকে জানতে পারলে পরিবারের সবাই কাপড়চোপড় পড়ে রেডি হয়ে নিন।
তারপর মেহমান আসার সাথে সাথে তাকে ঘরে ঢোকার সুযোগ না দিয়ে ভীষণ ব্যস্ততা দেখিয়ে বলুন, “ আসলে হঠাৎ করেই প্রোগ্রাম টা হয়ে গেল। আমাদের এখনই জরুরি কাজে ঢাকার বাইরে যেতে হচ্ছে”।
ফর্মুলা দুইঃ যদি মেহমান আপনার স্ত্রীর আত্নীয় হয়, তাহলে ছোট ছোট কারণে স্ত্রীর সঙ্গে দিনে কম করে হলেও বিশ বার ঝগড়া করুন। আর আপনার আত্নীয় হলে আপনার স্ত্রী কে বলুন আপনার সাথে ঝগড়া করতে। আশা করা যায় উপকার পাবেন।
ফর্মুলা তিনঃ মেহমান যে ঘরে আছেন, সেই ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে ওনাকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলুন, “ হায় হায় রে... বরবাদ হয়ে গেলাম রে... আমার টাকা পয়সা ধ্বংস করে ফেলল রে...” আপনার মেহমান কে আগামী দিন হয়ত আর খুজে পাবেন না বাড়িতে!
ফর্মুলা চারঃ আপনার মেহমান যদি নামাজী ব্যাক্তি হন, তাহলে তিনি আসার আগে সব ঘরে আপনার প্রিয় নায়ক-নায়িকার পোষ্টার লাগিয়ে ফেলুন। শোপিস হিসেবে বড় পুতুল ও মুর্তি কিনে আনুন। উনি যে ঘরে থাকবেন সে ঘরেও রাখুন কয়েকটা। মেহমান কে বাধ্য হয়েই অন্য জায়গা খুজতে হবে।
ফর্মুলা পাচঃ মেহমান কী কী খেতে পছন্দ করেন, আগেই জেনে নিন।
তারপ সেই খাবার গুলো বাদে অন্য খাবার রান্না করুন, পারলে একটু বেশি করে তেল-মরিচ-মশলা দিয়ে নেবেন। মেহমান কে পাবেন হয় বাথরুমে অথবা ফেরত বাসের টিকিট কাউন্টারে!
এতকিছুর পরও যদি আপনার মেহমান না যায়, সেক্ষেত্রে বুঝতে হবে তিনিও আপনার চেয়ে কম যান না। যদি এমন হয়, তাহলে ভনিতা ছেড়ে ওনাকে সরাসরি গিয়ে বলুন। আর তা না পারলে? সেক্ষেত্রে মেহমান তাড়ানোর নিত্যনতুন উপায় আবিষ্কারে মন দিন, তাহলে এই রকম একটা পোষ্ট আমরা আপনার কাছ থেকেও পেতে পারি!
মনটা খারাপের পর্যায়ে আছে, তাই নিজের পোষ্ট এ নিজেই হাসার একটা প্ল্যান-প্রোগ্রাম... সবশেষে যারা এতক্ষণ এই লেখাটি পড়তে গিয়ে আমার মস্তিষ্কের সুস্থ্যতা সম্পর্কে সন্দিহান হয়ে পড়েছিলেন, তাদের জন্য বলি, এটা নিতান্তই একটি ফান পোষ্ট। এটা নিয়ে এত হাইপার হওয়ার কিসসু নাই! কারো ভাল না লাগলে সজ্ঞানে মাইনাচ প্রদান করে আমাকে এ জাতীয় পোষ্ট আরো বেশী করে লেখার অনুপ্রেরণা জোগাতে পারেন!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।