সুখ চাহি নাই মহারাজ—জয়! জয় চেয়েছিনু, জয়ী আমি আজ। ক্ষুদ্র সুখে ভরে নাকো ক্ষত্রিয়ের ক্ষুধা কুরুপতি! দীপ্তজ্বালা অগ্নিঢালা সুধা জয়রস, ঈর্ষাসিন্ধুমন্থনসঞ্জাত,সদ্য করিয়াছি পান—সুখী নহি তাত, অদ্য আমি জয়ী।
যদিও প্রতিটি জন্মদিবস আমায় নিয়ত ঠেলে দেয় মৃত্যুর দিকে
তবু জানি এ বেঁচে থাকাটা আমার উত্থানের একেকটি দিকনির্দেশক
যে সময়টাতে তোমরা নিন্দাপ্রস্তাব জ্ঞাপন করে চলো আমার বিপক্ষে
প্রতিটি জন্মদিনে ততই বলিষ্ঠ ও আয়ুষ্মতি হ’য়ে উঠি আমি
প্রতিটি জন্মদিনের ভোর সূর্য অভিবাদন জানায় আমায় নীলাভ উষ্ণতায়
অভিবাদন জানায় দেবদারুর উঁচু ডালগুলো তাদের ঝাঁকরা মাথা দুলিয়ে
অভিবাদন জানায় এ ক্ষয়িষ্ণু সময়, যার গর্ভ হতে জন্ম নেয় লড়াকু ক্যাকটাস
মৃত্যুকে যত কাছ থেকে দেখি, ততই তীব্র হয়ে উঠে আমার জন্মের ন্যায্যতা তাই।
আমার এ ক্ষণজন্ম অজস্র সুখময় স্বপ্নে গ্রন্থিত হয়ে আছে
আমি আমার প্রতিটি আকাঙ্খার
প্রতিটি স্বপ্নের
প্রতিটি ইন্দ্রিয়গ্রায্যতার
প্রতিটি চাহিদার
এবং প্রতিটি প্রাকৃতিক লাভালাভের ন্যায্য হিস্যা দাবী করি এ জীবদ্দশায়
আমি জানি এ প্রকৃতি বড় কৃপণের মতো ছোট্ট একচিলতে
সময় বরাদ্দ করে দিয়ে গেছে আমার জন্য
এবং এও জানি, উপযাজকের মতো তোমরা এ অনতিক্রম্য সীমাবদ্ধ
আয়ুষ্কালের কথা বিভিন্ন তালে ও লয়ে বারম্বার স্মরণ করিয়ে চলো আমায়।
আর তাই আমি মৃত্যুকে চুলের ভাঁজে ফেলে রেখে ফের তড়িঘড়ি নিজের
সমাগত জন্মোৎসব উৎযাপন পর্ষদের জরুরী সভার আয়োজন করে ফেলি
নিয়ত উত্থাপন করি তাতে একটিই প্রস্তাবঃ
কাল অতিক্রমণ করুক এ দেহজ সত্ত্বা আমার!
(নিশিথের গানঃ ৩০ মাঘ ১৪১৬/ ১২ ফেব্রুয়ারী ২০১০)
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।