কবিতায় আধ্যাত্মিকতা একটি বিনয়ী বিষয় । যে রাত আমাদেরকে মাঝে
মাঝে ভীত করে , সেই রাতেই আমরা করি জোসনাভ্রমণ। এই যে একাকী
কিংবা দ্বৈত জেগে থাকা তার নাম - সাধনা , আরাধনা।
আহমদ ময়েজ কবিতা লিখেন না । তিনি কবিতার সাধনা করেন।
তার
উপলব্ধির ব্যাপৃতি , পাঠককে তন্ময় করে রাখে আলোর আকরে।
পড়ুন এই কবিতাটি .........
Click This Link
মলিন পিরান
---------------
আমি তো শূন্য নই - এই বোধে খোলে যায় বন্ধদোয়ার
অচিন-গহনে দেখি, সারিবদ্ধ শিশুদের গ্রাম
তাদের কোমল হাতে রোদ ও বৃষ্টিরা গলে পড়ে
সংহার শেষে :
শালিক নৃত্য করে বাসনার ডালে
হাওয়ায় কম্পন তুলে উড়ে যায় সোনামুখী দিন;
আরো কিছু মায়ামুখ কুরি-দেয় বেতগুটা বনে
অতঃপর ঠোঁট ও পালকভরা দুঃখরা জেগে রয়।
আমাকে উজাড় করে সময় হাঁটে - প্রান্ত ছাড়িয়ে বহুদূর।
মরমবাসনা শেষে :
হিসেবের তসবিদানায়
দিন ও রাত্রির ব্যবধান খুঁজি -
আমার শরীর থেকে খুলে ফেলি মলিন পিরান।
---------------------------------------------------------------------
মানবাত্মা শূন্য নয় কখনওই ।
একটা ভরা কলস এখানে খলখল করে।
অথবা একটা পাখি ডাবা ঝাপটায় প্রতিনিয়ত।
কবি তা বলেই শুরু করেছেন কবিতাটি।
যে বোধের গহিনে শিশুদের গ্রাম , সেটাই মানবের কোমল শৈশব। যেখানে ঝরে বৃষ্টি , হাসে রোদ।
কিন্তু তা , যখন সংহার হয়ে যায় তখনই বাড়ে দুঃখ । সময় ধারণ করে
আমাদের পাপের কিংবা ভুলের রেখাবিরহ।
মানুষ যখন আত্মদর্শনে মগ্ন হয় , তখন তার খুব কাছে আসে উপাসনার
ক্ষণ । এই উপাসনা হতে পারে কবিতার মাঝে প্রার্থনায় অবনত হওয়া ।
মরমবাসনা নিয়ে তাই কবিও গোনেন তসবিহদানা।
পরখ করেন,
দিন রাত্রির ব্যবধান। পিরান তখন তার কাছে আর আরাধ্য থাকে না।
এই কবিতাটি আমাদের সত্তার সংস্কৃতিকে ধারণ করেছে নান্দনিকভাবে।
ধন্যবাদ কবি আহমদ ময়েজ।
ছবি- জন স্টুয়ার্ট ওয়েবস্টক
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।