আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কাব্যচিন্তন : আবু মকসুদ - এর একটি কবিতা



এই কদিন থেকে মনটা নানা কারণে বেশ হতবাক। বিভিন্ন কারণে মানসিক চাপ বেড়ে গেলে , কফি খাই আর তাকিয়ে থাকি আকাশের দিকে। আমার একটা গল্পের বই বের হবে এবারের বইমেলায়। প্রুফ দেখার কাজটা করতে হচ্ছে। তার উপর লেখালেখির ভাবনা তো আছেই ।

সম্প্রতি আমরা একজন সৃজনশীল তরুণকে হারিয়েছি । তার নাম রাজীব দেব মান্না । তিনি একজন অভিনেতা, চিত্রনির্মাতা ছিলেন। থাকতেন বিলাতে। চ্যানেল এস - ছিল তার কর্মস্থল।

মাত্র ক'দিন আগে তিনি ৩৪ বছর বয়সে পরলোক গমন করেছেন হার্ট এ্যটাকে। খবর টা শোনে মনটা খারাপ হয়ে যায় খুব। পত্রিকান্তরে জেনে যাই , তার গ্রামের বাড়ী ছিল - মৌলভীবাজার জেলার ঢেউপাশা গ্রামে। এই ঢেউপাশা শব্দটি পড়েছি মাত্র ক'দিন আগে । আবু মকসুদ এর কবিতায়।

এই কবি ও বিলাতে থাকেন। তিনি ও কী ঢেউপাশা গ্রামের প্রতিবেশী ? না, আমি জানি না । তবে তার কবিতা টি আমাদেরকে জানান দিয়ে যায় শিকড়ের ঘ্রাণ । পড়ুন ......... Click This Link ভরাট আবাদ -আবু মকসুদ ফিরে গেলাম ঢেউপাশায়, আশায় উজ্জীবনের স্রোতে ফের কদম্বগাছের জটিল গন্ধ সঞ্চারিনী নীল আঁচল, বৃন্তফুল ফিরে গেলে বাঁশঝাড়ে শীত জমে, রঙ্গালয়ে গ্রহন নিদ্রাহীন ফিরে গেলে জ্যোৎস্না ডাকে, সোনালী ফসলে জমে বিস্মরণ ঢেউপাশার জননীমেঘ কোমলবাহু জলকণাবাহী স্বপ্নের প্রান্ত সবিতার খোলাচুল আর কালোমেঘ, ঢেউপাশার অমর ইশারা বহু আগেকার ঢেউপাশা গাছের পায়ের কাছে জমানো ধূলো এমন নজরকাড়া রাঙ্গাপরীদের ঝাক, অদূরে ভোরের রোদ্দুর এখানকার এই আবরণহীন অবুঝ উষ্ণতা বুকে জগদ্দল পাথর ঢেউপাশার ঘোরলাগা সেই পরমতৃপ্তি, পরমান্ন, ভরাট আবাদ আকাশের শুয়ে থাকা দিগন্তনীলে প্রজাপতি চোখের শিশির ঢেউপাশা কুঞ্ঝটিকা, আবরণহীন উদাস দুপুরে স্মৃতির মধুমাছি এই খস্‌খসে রোদে স্মৃতিতে ঢেউপাশা আর চন্দ্রবোড়া সাপ স্মৃতির মধুমাছি রোদ্দুরে হেঁটে যায়, ছুঁয়ে দেখে বিগতের পাপ। ---------------------------------------------------------------- সঞ্চারিনীর নীল আঁচল খুঁজে কবি ফিরে গিয়েছিলেন ঢেউপাশা য় ।

বৃন্তফুল ফিরে গেলে বাঁশঝাড়ে শীত জমে, ..... আর এই ফিরে যাওয়ার দৃশ্য দেখে তন্ময় হয়ে থাকে কে ? সে কী প্রেমিক - না কি প্রতিভূ ! আগেই বলেছি এই কবিতাটি পুরোটাই স্মৃতি জাগানিয়া। এখানে ঢেউপাশা - জননীর কোমলবাহু কিংবা সবিতার কালোচুল । এখানে ঢেউপাশা , বহু অভিধায় সিক্ত হয়েছে কবির কাছে , না না নান্দনিক উপমায়। এটাকে আমি বলতে পারি একটি উপমা প্রধান কবিতা । যার চিত্রকল্পের পরতে পরতে লেগে আছে শিশরের সিক্ত কুসুম।

যে আবাদ আমাদের চারপাশ ভরাট করে অথবা যে ভরাট মাটি আমরা লালন করি মনের আবাদে - তা ই হতে পারে ভরাট আবাদ । বহুমাত্রিক কল্পনায় একটি গ্রাম , একখন্ড মাটি হয়েছে কবির কাছে আরাধ্য বিষয় । কবি আবু মকসুদ কী , রাজীব দেব মান্নার সেই গ্রাম ঢেউপাশা নিয়েই এই কবিতাটি লিখেছেন ? এর উত্তর টি আমি আবু মকসুদ এর কাছেই জানতে চাইবো । ধন্যবাদ কবি আবু মকসুদ । ছবি- জর্জেস চারবেনউ


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।