কাব্য চিন্তন : প্রথম লেখা -
Click This Link
আমি যখন কবিতা নিয়ে ভাবি তখন আমার সামনে এসে দাঁড়ায় একটি
মূর্ত প্রতীক। এই প্রতীক একান্তই ভালোবাসার। মমত্ব , সেই অক্ষরগুলোর
প্রতি আমাকে আচ্ছন্ন করে রাখে।
আমি আজ যে কবিকে বেছে নিয়েছি তার নাম আশরাফ মাহমুদ। পড়ুন তার কবিতা টি ।
Click This Link
অনেক শুভ্রতা দেখে
=============
বাস থেকে নেমে অনেক শুভ্রতা দেখে
সবুজ খুঁজি যুতসই
হাতের মুঠোয়
তোমার আঙুল ক্ষয়ে সাদা হয়ে গেছে-
শঙ্খের ওষ্ঠরঙা;
এইখানে দেখো তুহিনের পালঙ্ক পাশে
শীত পৌষভাঙা।
আমি তোমার আঙুল হয়ে ঘুমিয়ে
সম্পর্কের ভস্ম হয়েছি নখ লুকিয়ে!
শহর ভুলে গেছে নদীর স্বাক্ষর-
জলের শল্ক; কেবল হিমশিখর সাবওয়ে।
১/৯/২০০৯
---------------------------------------------------------------------
আশরাফ মাহমুদ কবিতা লিখেন চিত্রকল্পের অভিনবত্ব নিয়ে। তিনি কিছু
আবিষ্কার করতে চান। দেখতে চান পৃথিবীকে নতুন করে।
এই কবিতাটিতে শুভ্রতা দেখে সবুজকে খুঁজতে চেয়েছেন তিনি হাতের
মুঠোয়। এখানে হাত ঐক্য কিংবা শক্তির প্রতীক । আর সবুজ , প্রকৃতি
কিংবা রঙের প্রতীক ।
রঙ মানুষ কে আশা দেয়। ভালোবাসা দেয়।
ক্ষয় ধারণ করে বেদনাকে । প্রেমিকার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে এখানে তিনি
ক্ষয়িষ্ণু শঙ্খের ওষ্ঠরঙ অথবা কোনো শীতে, ভাঙাপৌষের প্রতিকৃতি
খুঁজেছেন।
আবার কবিই প্রেমিকার আঙুল হয়ে চেয়েছেন শান্তির ঘুম।
নিজেই হয়েছেন ভস্ম। লুকিয়েছেন নখ , নখের আচড় ।
যে দাগ কখনও হয়ে উঠে প্রেমের , কখনও বিরহের ।
যা দেখে শহরও ভুলে যায় নদীর সাক্ষর ।
অভিবাসী যাপিত জীবনচিত্রে , এই কবিতাটি যে দ্বন্ধরেখা আমাদেরকে
ছুঁয়ে যায় - তা যে কোনো অভিবাসী অনুধাবন করতে পারবেন
সহজেই।
কবি কবিতাটি শেষ করেছেন এভাবে .....
জলের শল্ক; কেবল হিমশিখর সাবওয়ে।
হিমশিখর - সে তো হিমের শিখর অথবা শিখরের হিম ।
আমরা আবৃত হয়ে থাকি যে চূড়ায় , তার নাম ভাবনা । আর পরিশুদ্ধ
ভাবনাই জন্ম দেয় শক্তিমান কবিতা ।
ধন্যবাদ কবি আশরাফ মাহমুদ ।
ছবি - মারিয়া উইলি
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।