ছাত্ররাজনীতির সর্বশেষ শিকার আবু বকর সিদ্দিক। ঢাবির ইসলামের ইতিহাস বিভাগের মেধাবী ছাত্র তিনি। বিভাগে তার রেজাল্ট ছিল প্রথম শ্রেনীতে দ্বিতীয়। ইচ্ছা ছিল প্রথম শ্রেনীতে প্রথম হবার। মা বাবার স্বপ্ন ছিল পড়ালেখা শেষ করে আবু বকর সংসারের হাল ধরবে।
টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর থানার গোলাবাড়ী গ্রামের এক দারিদ্র পরিবারে জম্ম তার। গ্রামের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র সে। তার মৃত্যুতে পরিবার একজন স্বাপ্নিক যুবক হারালো। যে তার পরিবার কে স্বপ্ন দেখাতো। শিক্ষকরা তাদের প্রিয় ছাত্রকে হারালো।
আবু বকরের মৃত্যু নিয়ে মানববন্ধন হয়েছে। তদন্ত কমিটি হয়েছে। হয়ত তার পরিবারের হাতে কিছু টাকা ও তুলে দেয়া হবে। কিন্তু আবু বকর আর ফিরে আসবে না।
এভাবে আর কত?এরপর কে ?
দিন বদলের ডিজিটাল সরকার আসার পর থেকে দিন বদলের যোদ্ধাদের হাতে নিহতের সংখ্যা ৫ জন।
গত ৭ ই জানুয়ারী রাজশাহী পলিটেকনিকে ছাত্রলীগের হামলায় নিহত হন ছাত্রমৈত্রীর শাখা সহ সভাপতি রেজানুর চৌধুরী সানি।
গত বছর এপ্রিল মাসে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে নিহত হন ঢাকা মেডিকেল কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আবুল আসাদ রাজীব।
১৩ ই মার্চ রাবিতে ছাত্রলীগের হামলায় নিহত হন রাবি শাখা শিবিরের সেক্রেটারী শরীফুজ্জামান নোমানী।
৯ ই মার্চ জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ছাত্রলীগের হামলায় নিহত হন থানা শিবির সভাপতি হাফেজ রমজান আলী।
এ ধরনের হত্যাকান্ড আর কত?ছাত্ররাজনীতির নামে এ ধরনের খুন, হত্যা,চাদাবাজি, টেন্ডারবাজি আর কতদিন চলতে থাকবে?
লেখা শেষ করবো কলামিস্ট আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর লেখা দিয়ে।
তিনি ০৫.০২.২০১০ ইত্তেফাকে লিখেছেন-সন্ত্রাসী অপশক্তি হিসাবে আজ ছাত্রলীগের অভ্যুত্থান ঘটেছে। এই অভ্যূত্থান ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের সন্ত্রাসকে ও অতিক্রম করে চলেছে। এই সন্ত্রাসের মুখে দেশের মানুষ অসহায়। আওয়ামীলীগ নেতৃত্ব ও অসহায়। আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক শরীরে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস এখন ক্যান্সারের মত ছড়াচ্ছে।
আওয়ামীলীগের বড় শত্রু এখন আর বিএনপি জামায়াত ছাত্রদল ছাত্রশিবির নয়,সবচাইতে বড় শত্রু ছাত্রলীগ। আওয়ামীলীগ কি এতই অসহায় যে তাদের শক্ত হাতে দমন করতে পারছে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।