সত্যেই হোক মোদের লক্ষ্য
যখন মহান আল্লাহ পাক নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণ-এর কাছ থেকে অঙ্গীকার গ্রহণ করলেন যে, “আমি আপনাদেরকে কিতাব ও হিকমত দান করবো, অতঃপর যখন সেই রসূল আগমন করে আপনাদের প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে তা সত্যে প্রতিপাদন করবেন। (আপনারা উনাকে পেলে) অবশ্যই উনার প্রতি ঈমান আনবেন এবং উনার খিদমত করবেন। তিনি (আল্লাহ পাক উনাদেরকে) বললেন, আপনারা কি (হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর রিসালতকে) স্বীকার করে নিলেন এবং আপনাদের প্রতি আমার এ অঙ্গীকার গ্রহণ করলেন? উনারা (নবীগণ) বললেন, আমরা স্বীকার করে নিলাম। তিনি (আল্লাহ পাক) বলেন, “আপনারা সাক্ষী থাকুন এবং আমিও আপনাদের সাথে সাক্ষী রইলাম। ”(সূরা আলে ইমরান : আয়াত ৮১
ছহিবু উসওয়াতিন হাসানা, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মর্যাদা ও ফযীলতের আরেক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় হযরত বায্যার রহমতুল্লাহি আলাইহি বর্ণিত হাদীছ শরীফ থেকে।
তিনি হযরত উমর ফারূক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণনা করেছেন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, আমাকে যখন আকাশে নিয়ে আসা হলো (মি’রাজ রজনীতে) তখন প্রত্যেক আকাশে আমার নাম লিপিবদ্ধ দেখলাম। সর্বত্রই লিখা রয়েছে, “মুহম্মদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। ” সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন-এর তরফ থেকে আখিরী রসূল, নবীদের নবী, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি যত প্রকারের ফযীলত-কামালত, মর্যাদা-মর্তবা ও ইজ্জত সম্মান হাদিয়া করা হয়েছে তার সবকিছু বর্ণনা করা হয়েছে একখানি সমষ্টিভূত বাক্যে। আর তা হলো “(হে আমার মাহবুব!) নিশ্চয়ই আমি আপনাকে কাউছার দান করেছি। ” (সূরা কাউছার : আয়াত ১)
রঈসুল মুফাসসিরীন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, ‘কাউছার’ হচ্ছে দুনিয়া ও পরকালের সমস্ত কল্যাণ ও ভালাই।
এমনিভাবে অসংখ্য অগণিত দলীলের দ্বারা প্রমাণিত যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিরত-ছুরত, ইলম-আমল, আক্বল-সমঝ, চাল-চলন, কথা-বার্তা এক কথায় ইহকালীন, পরকালীন সর্ববিষয়ে সমস্ত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণের চেয়ে লক্ষ-কোটি গুণ বেশী শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদার অধিকারী। সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক যেন আমাদেরকে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, রহমতুল্লিল আলামীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাক্বীক্বী মর্যাদা-মর্তবা, শ্রেষ্ঠত্ব, উপলব্ধি করে উনার যথাযথ হক্ব আদায় করার তাওফীক দান করেন এবং সমস্ত সুন্নত পালন করে আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর খাছ সন'ষ্টি-রেযামন্দি, মুহব্বত-মা’রিফত নছীব করেন। (আমীন)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।