অলসদের দিয়ে কী আর হয়। আলসেমি ছাড়া!
আজকে বই মেলার কাছাকাছি গিয়ে জানতে পারলাম আমাদের আয়ুবের (মুহম্মদ আইয়ুব সরকার) সম্পাদিত একটি বই প্রকাশিত হবে। আনিস ভাই (আনিসুল হক) সেটির মোড়ক উন্মোচন করবেন। তবে সেটি হবে সাড়ে ছয়টার সময়। আয়ুবের বই প্রকাশিত হবে আর আমরা সেখানে থাকবো না এটি তো হতে পারে না।
তাই সে পর্যন্ত সেখানে থাকার সিদ্ধান্ত নিলাম।
আজকে অবশ্য মেলা ঘুরে দেখি নি। নজরুল মঞ্চের সামনে দাড়িয়ে দাড়িয়ে আড্ডা দিয়েছি। একটি ছোট মিটিংও করে ফেলেছি জুমলা একাডেমি বাংলাদেশের ডায়মন্ড ভলান্টিয়ার টিসার সঙ্গে। ম্যাক (মাহে আলম খান) ও জামিলও (জামিল আহমেদ) সেখানে ছিল।
তা কথা বলতে বলতে সময় হয়ে গেল মোড়ক উন্মোচনের। জানলাম পা ভাঙ্গা চড়ুই কবিতা গ্রন্থটি সম্পাদনা করেছে আমাদের রওশন ভাই (সাইদুজ্জামান রওশন) ও আইয়ুব সরকার। সোয়া শ'এর বেশি কবিতা সেখানে সংকলিত হয়েছে যেগুলো লিখেছেন প্রথম আলো বন্ধুসভার বন্ধুরা। বেশ কয়েকটা পড়ে ফেলেছি, যদিও কবিতা বোঝার জ্ঞানগম্যি আমার কোনকালে ছিল না (কবিতা বলতে আমার জ্ঞান- এতক্ষণে অরিন্দম কহিলা বিষাদে, জানিনু আসি...)। মোড়ক উন্মোচনের শুরুতে রওশনভাই বললেন এই কবিতাগুলো ছাপা হয়েছে প্রথম আলোর বন্ধু সভা পাতায়।
তার মানে, ব্যপক সংখ্যক কবিতা থেকে সেগুলো বাছাই করতে হয়েছে। দেশে এতো সু কবি আছে জেনে ভাল লাগলো। যারা কবিতা লেখে তারা নিশ্চয় কবিতা শুনে। আর যারা কবিতা শুনে তারা নিশ্চয়ই মিথ্যাবাদী, প্রপঞ্চক কিংবা জঙ্গি হয় না। তারা নিশ্চয় মাদক থেকে দূরে থাকে।
আর যারা 'কবিতা শুনতে জানে না তারা নদীতে সাঁতার কাটতে জানে না, যে কবিতা শুনতে জানে না, সে আজন্ম ক্রীতদাস থেকে যাবে। ' আমাদের যাঁরা পূর্বপুরুষ 'যাঁদের পিঠে রক্তজবার মতো ক্ষত ছিল, কারণ তারা ক্রীতদাস ছিলেন' এবং তারাই তাদের জীবন বাজি রেখে আমাদের একটি পতাকা এনে দিয়েছেন। তাদের উত্তরসূরিরা সবাই বাংলায় কথা বলে, তাদের কাছেই কিন্তু আমাদের বারবার ফিরে যেতে হবে।
১৯৬২ সালে পাকিস্তানী জেনারেলরা আমাদের রোমান হরফে বাংলা লেখার উপদেশ দিয়েছিল। আমরা রেগে মেগে ছায়ানট, বর্ষবরণ আর রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলনী সংস্থা করেছি।
আজ কিন্তু কেহ আমাদের রোমান হরফে বাংলা লিখতে বলে নি, কিন্তু আমরা লিখি। আমরা এসএমএস করি, ফেসবুকে স্ট্যাটাস লিখি কিংবা চ্যাট করার সময় রোমান হরফেই বাংলা লেখার চেষ্টা করি। করি, কারণ প্রযুক্তি জেনারেলদের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। তার কোন বাছবিছার নাই, সে কোন নিয়ম কানুন মানে না। তাকে বশে রাখতে হলে তার হাল ধরতে হয়, অন্যের হাতে হাল ছেড়ে দেওয়ার সুযোগ নেই।
মোবাইলে বাংলা লেখার একটি প্রমিতকরণের চেষ্টা হচ্ছে। একটি প্রস্তাবও হয়েছে। যদি সেটি গৃহীত হয় তাহলে আমাদের কিছু ইনপুট সিস্টেম বানাতে হবে যাতে কমদামী, চাইনীজ মোবাইলেও বাংলা লেখা যায় সহজে। আমি জানি অনেকে এই কাজগুলো করছেন এখন। এবং আমি জানি আগামী বছর (২০১১) একুশে ফেব্রুয়ারির আগে এই কাজগুলো আমরা করে ফেলতে পারবো।
আগামী বছর আমার বইমেলার নোটগুলো আমি মেলায় বসে আমার মোবাইলে সেরে ফেলতে পারবো!
সবার সেকেন্ড ডিফারেন্সিয়াল নেগেটিভ হোক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।