চতুর্মাত্রিক.কম (choturmatrik.com)
আজ সারাদিন বইমেলায় ঘুরলাম, ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে একটু আগে ফিরেছি, ফিরেই ব্লগে বসলাম। কী যে দারুন একটা দিন কাটলো! আহাহা!!
এবারের বইমেলায় গিয়ে কেন জানি খুবই ভালো লাগলো। ভেবেছিলাম শুক্রবার অনেক ভীড়-ভাট্টা হবে, ধূলাবালির মধ্যে না যাই। কিন্তু গিয়ে দেখলাম অনেক সুন্দর পরিবেশ। একদম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন চারদিক, স্টল গুলো বেশ সিস্টেম্যাটিকভাবে সাজানো।
ঢুকতেই একটা বড় বোর্ডে সব প্রকাশনাগুলোর নাম আর স্টল নং দেয়া, এতে করে নির্দিষ্ট স্টল খুঁজে পেতে খুবই সুবিধা হচ্ছিলো। এবার আরেকটা জিনিস ভালো লাগলো যা সব স্টলে খালি নিজেদের প্রকাশিত বই গুলিই রাখা। অন্যান্যবার এক স্টলে পাঁচমিশালি বইয়ের স্তুপ ভালো লাগতো না, এইবার সেটা হয়নি দেখে ভালো লাগলো।
আরেকটা জিনিস খুবই ভালো লেগেছে,এইবার অনেক অনেক বই এসেছে আর আসছে যেগুলো বেশ তথ্যসমৃদ্ধ, যেমন মুক্তিযুদ্ধের উপর একটা স্টলই দেখলাম আলাদা যেটাতে শুধুই মুক্তিযুদ্ধের বই! কী দারুন উদ্যোগ!
আমার ব্যক্তিগত পছন্দ অবশ্য শুধু দলিলভিত্তিক মুক্তিযুদ্ধের বই। কোন মানুষের নিজস্ব চোখে দেখা যুদ্ধ স্বভাবতই একপেশে হয়ে মতামত হয়ে যায়।
তারচে বরং আমি ডকুমেন্ট পড়ে নিজের মত করে বুঝে নিই, সেটাই ভালো।
বেশ কিছু কবিতার বই কিনলাম, অনেক দিন শান্ত মনে বসে কবিতা পড়ি না। গল্পের বইও কিনলাম কয়েকটা, যদিও আজকাল গল্প পড়ে কেমন জানি পানসে পানসে লাগে, আমার সমস্যা না বাংলা গল্পের দৈনদশা তা ঠিক ঠাহর করতে পারছি না।
একটা জিনিস খারাপ লাগলো পুরো মেলায়। সেটা হলো এই অতি জনপ্রিয় লেখকদের ( এবং তাদের 'গুণমুগ্ধ' পাঠক-ভক্তদের) আদিখ্যেতা।
কিছু কিছু স্টলের সামনে যেমন উপচে পড়া ভীড় দেখলাম তাতে মনে হচ্ছিলো হয় কোন নাটক সিনেমার শ্যুটিং হচ্ছে অথবা ফ্রীতে কোন মহামূল্যবান বস্তু বিলানো হচ্ছে। বইমেলার এই নির্মল সুবাতাসের মধ্যে এহেন কীর্তি-কলাপ দেখে মনে হলো আসলেই সত্যিকার গুণের কদর নাই এই বঙ্গদেশে!
তবুও সবাই বইমেলায় যান, ঘুরুন ফিরুন বই কিনুন আর পড়ুন, বই পড়তে দিন আপনজনকে। আবার ফিরে আসুক বাংলা ভাষার সুদিন!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।