আমি গৌরী সেন। টেকা বিলাইতে বিলাইতে কাহিল হয়া যাইতেসি। কিন্তু আমার ভান্ডার আর শেষ হয় না। কারো টেকা পয়সা লাগলে অতিসত্বর kangalgourisenএটgmail.com এই ঠিকানায় যোগাযোগ করেন।
কোনোদিন যদি এমন পরিস্থিতি হয় যে আমাকে বেছে নিতে হবে আজীবন কারাগার অথবা মৃত্যুদন্ড, আমি নিশ্চিত ভাবে বেছে নেবো মৃত্যুকে।
মৃত্যকে একদিন বরন করতেই হবে। অন্যদিকে শৃংখলিতভাবে ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুর দিকে অগ্রসর হওয়া একটা মর্মান্তিক শাস্তি। সেদিক থেকে বিচার করলে আজ যাদের মৃত্যুদন্ডাদেশ কার্য্যকর করা হল তারা এক অর্থে ভাগ্যবান। ভাগ্যবান তারাও যারা এদের মৃত্যুর ফলে থলের বেড়াল বেড়িয়ে আসার ভয় মুক্ত হল। একবার শুনেছিলাম কোথাও পকেটমার জনতার হাতে ধরা পরলে পকেটমারদের যারা পোষে তারাই নাকি অগ্রগামি হয়ে হতভাগাকে বিপুল উদ্যমে দু'চার ঘা লাগিয়ে ন্যায় প্রতিস্ঠাকারীর বেশে পকেটমারকে জনতার হাত থেকে ছুটিয়ে নিয়ে যায় যেন সে হতভাগা জনতার মারের চোটে তাদের নাম পরিচয় ফাঁস করে না দেয়।
এটাতো পুরানা কৌশল। চাতুর্য্যের বেড়াজালে আটকে পরা আমারা এখন গা এলিয়ে দিয়েছি। এখন আর প্রতারিত হওয়াটাকে আমরা প্রথমে আমাদের নিয়তি এবং পরে নিয়ম হিসেবে মেনেই নিয়েছি। কিন্তু কথামালার ধূম্রজালের আবর্তে আমারা যারা কলংক মোচনের আনন্দে নাচছি তারা কি এবিষয়ে সচেতন আছি যে এ পরিকল্পিত হত্যাও একটা কলংকময় বিষয়?? চোর বাটপার ছিনতাইকারি আর ডাকাত লুটেরাদের ভোট দিয়ে জিতিয়ে আমরা ক্ষমতায় বসাই। কোনটা ঠিক আর কোনটা বেঠিক সেটা নির্ধারন করে আমাদের ক্ষমতাধরদের পোষা বুদ্ধিজিবীর দল।
পাবলিক ওপিনিয়নকে পাইলট করে এরাই। এদের তুলে দেওয়া হুজুগেই আমাদের কাছে সাদা হয়ে যায় কালো আর কালো হয় সাদা। খুনিকে খুন করা কি খুব বীরত্বের কাজ? মনে হয় না। তারপরেও এই খুনী আইন আছে ভাল তবিয়তে। বংগবন্ধু হত্যা ছিল একটা রাজনৈতিক হত্যা।
আর তাই এই হত্যার ব্যাপারটাই আলাদ। কতবার এই হত্যা মামলার ফাইল খুল্লো আর বন্ধ হলো সেটা দেখেই এর আলাদা হওয়ার বিষয়টা পরিস্কার হয়ে যায়। এই খুনি আর জমি নিয়ে রেষারেষির জের হিসেবে পরিকল্পিত হত্যার খুনি কি এক? আমি এটা বলতে চাচ্ছি না যে বংগবন্ধুর খুনিদের আলাদা খাতির পাওয়া উচিৎ ছিল। বরং প্রচলিত আইন অনুযায়ি এর শাস্তিই একান্ত কাম্য। সমস্যাটা হলো এই প্রচলিত আইন।
আমার মতে এর সংশোধন হওয়া উচিৎ। এই খুনিদের মৃত্যুদন্ডের ব্যাপারটা মানুষ যেভাবে উৎসব মুখরভাবে নিচ্ছে সেটা মধ্যযুগীয় বর্বরতার নামান্তর। যে অপরাধ ঐ পাঁচ খুনি করেছে তাতে শাস্তি যদি হয় মৃত্যুদন্ড, তাহলে ভালো। কিন্তু ভেবে দেখতে হবে মৃত্যুদন্ডের উদ্দেশ্য কি এবং কিভাবে এর প্রয়োগ হওয়া উচিৎ। আমার মতে মৃত্যুদন্ডের উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ পরিশোধিত হওয়ার আশা নাই এমন অপরাধীকে চিরতরে সরিয়ে দেয়া।
কিন্তু এই সরিয়ে দেয়ার কাজটাতো আমরা একটু সভ্য উপায়েও করতে পারি। পাশ্চাত্যে কত রকম ব্যাবস্থা আছে যন্ত্রনাহীন মৃত্যুদন্ডাদেশ কার্যকর করার। অথচ তার কোনো একটাকেও বেছে না নিয়ে আমরা চালিয়ে দেই ম্যানিলা রোপ এবং সেই পৈশাচিক বর্বরতা দিয়ে যে বর্বরতার বশে এই খুনিরাও খুন করেছিল। তাহলে আমাদের আর ঐ খুনিদের মাঝে পার্থক্যটা রৈল কি? এমন উচ্ছসিত হয়েছি আমরা যেন আমাদের নিজেদের মাঝে খারাপ কিছুই নেই। অথচ রাত পোহাতেই কাল আমরা ছুটবো নিজের কোনো একটা লাভের আশায় অন্যকে বন্চিত করে নিজের লবিং কাজে লাগিয়ে তদবিরের ধান্ধায়।
যথারিতি ঘুষ খাবো, মিথ্যাচার করবো, লাম্পট্যের জোয়ারে বেশ্যবৃত্যিতে নামাবো কোনো কমজোরি নারীকে ইত্যাদি আরো নানান জঘন্য কর্মযজ্ঞে মেতে উঠবে নস্ট বাংলার নস্ট মানুষেরা। অথচ এই তাদেরই কি বাহবা প্রদান। যেন তারা সবাই ধোয়া তুলসি পাতা আর একমাত্র ক্রিমিনাল ঐ খুনিগুলোই। সাবাশ বাংগালি
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।