রাক্ষসপুরীর ধূসর প্রাসাদের কোন এক দেয়ালের কোটরে বাসা বেধেছিল ছোট্ট প্রজাপতি প্রজাপতির ডানাতে ছিল রংধনুর রঙ, আর দুচোখে ছিল স্বর্গীয় ভালবাসার নীলাভ স্বপ্ন। প্রজাপতি যখন রক্তাক্ত রঙ্গনের শাখায় শাখায় উড়ে বেরায় প্রাসাদের বন্দী রাজকন্যার আয়নার প্রতিছবিটির হাসি প্রতিফলিত হয়ে- এ দেয়াল থেকে ও দেয়ালে বাধা পেয়ে প্রজাপতির কাছে পৌছায়। বৈশাখী বাতাসে উড়ে আসা রাজকন্যার রেশমী ওড়নায়- রাজকন্যার শরীরের নোনতা সুবাস আর-প্রতিফলিত হাসির সূতোর মায়াবী জালে, ঘর বাধার মিথ্যা আশ্বাস নিয়ে প্রজাপতি মাদকতাপূর্ণ স্বপ্ন বুনে। সেবার কালবৈশাখের বাতাসে ভেসে আসা,রাজকন্যার শরীরের নোনতা সুবাস আর- ঠোটের সলাজ উষ্ণতার পেয়ালে চুমুক দেবার সাহসী স্বপ্নে, প্রজাপতির বুকের খাঁচাগুলো ছটফট করে। কোন এক অমাবস্যার রাতে,ঘোর লাগা রূপালী নেশায় সহস্র বিনিদ্র প্রহরীর রক্তাক্ত চোখ আর- রাজকন্যার চৌকস শয্যার হাজারো গলিত মোমবাতিকে ফাঁকি দিয়ে, প্রজাপতি,রাজকন্যার ভেজা শরীরের নোনতা সুবাস লুফে নিতে চায়। মোমবাতির নিষ্ঠুর আলোয় পোড়ানো- প্রজাপতির রংধনুময় পাখার গন্ধে রাক্ষসপুরীর প্রহরী,ঘুমন্ত রাজকন্যার শয্যা থেকে- অপরাধী প্রজাপতিকে শেকলের মালা পরায়। আজ প্রজাপতির বিচার। মামুলী এক প্রজাপতি কিনা রাজকন্যার চোখে রংধনুর রঙ ছিটিয়েছে! রাক্ষসপুরীর প্রতিটি দেয়াল চিতকার করে বলছে- ওকে মৃত্যুদন্ড দাও,মৃত্যুদন্ড দাও। রাক্ষসপুরীর যমদুতের হাতে প্রজাপতির নিশ্বাস যখন ছটফট করছে প্রজাপতি তখন, রাজকন্যার রক্তাক্ত ঠোটের উষ্ণতা পান করার রঙ্গিন স্বপ্নে বিভোর !
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।