আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আসুন আমরা ঝর্ণার পাশে দাঁড়াই



ধারণা করি ঝর্ণা হয়তো ইন্টারনেট ব্যবহার করে না। তাই এই লেখা বা ইন্টারনেটে তাকে নিয়ে কোন লেখাই চোখে পড়বে না। সুতরাং তাকে সান্তনা দেওয়া এই লেখার উদ্দেশ্য নয়। যারা আজকের প্রথম আলোতে ঝর্ণাকে নিয়ে লেখা খবরটি পড়েছেন কারা ইতিমধ্যেই জেনেছেন, একটী চাকরির আশ্বাস দিয়ে সরকারের পুলিশ বাহিনী এবং অযোগ্য অপদার্থ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী কিভাবে বিগত ৭ মাস ধরে ঝোর্ণাকে হয়রানি করে চলেছে। যারা খবরটি পড়েননি, তারা পড়ে নিনঃ সাহসী ঝরনার সঙ্গে এমন আচরণ কেন! এখানে নতুন করে কিছু বলার নেই।

আমরা জানি ঝর্না সেদিন জামাতী হায়েনাদের হাতে চরমভাবে আহত পুলিশকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভুলে গিয়েছিলেন। তিনি নিশ্চয় এখনো নিরাপত্তা ঝুঁকিতে আছেন। পুলিশ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমকে যারা আক্রমন করেছিল তারা তাকে হত্যার জন্যই আক্রমন করেছিল। সুতরাং তাকে বাঁচতে সাহায্য করা আক্রমনকারীরা পছন্দ করেনি। কিন্তু ঝর্ণা কি পেলেন? কোন কিছু পাওয়ার জন্য তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেননি।

পুলিশের বড় বড় কর্মকর্তা এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীই অতি উৎসাহে তাকে একটি চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। দরিদ্র ঝর্ণাও একটি চাকরির যৌক্তিক স্বপ্ন দেখতে শুরু করলেন। এরপর শুরু হল হয়রানির কাহিনী। ইতিমধ্যেই ঝর্ণা প্রায় হাজার দশেক টাকা খরচ করে ৮ বার ঢাকা ভ্রমণ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথে দেখা করে গেলেন। আগের সাত বার দেখা করার পর প্রতি বারেই চাকরির আশ্বাস পেয়েছেন, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

ক্লান্ত, বিরক্ত ঝর্ণা বলেই ফেলল, "আমি জানি, এবারও আমার চাকরি হবে না। কেননা আজই পুলিশ কমিশনার বদলি হয়েছেন। চাকরির আশ্বাস দিয়ে এভাবে হয়রানি করা হবে জানলে আমি এ পথে পা বাড়াতাম না"। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের অযোগ্যতা, অপদার্থতা, শঠতা সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই। কিন্তু ঝর্ণাকে একটি চাকরি দিয়ে সাহায্য করতে পারেন আমাদের সমাজে এমন লোক নিশ্চয় আছেন।

তাদের কেউ কি ঝর্ণাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন না? রেশমাকে আপনারা সবাই চেনেন। রেশমা মানব সৃষ্ট দূর্যোগের স্বীকার। তার বিষয়টি খাটো করে দখছি না। কিন্তু এ কথা তো সত্য আর কয়েক হাজার মানুষের সাথে ঐ দুর্যোগের স্বীকার। তার পক্ষে কারুর প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া সম্ভব ছিল না।

সে যেহেতু রানা প্লাজা ধ্বসের ১৭ দিন উদ্ধার হয়েছিল, তাই সে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। অনেকেই চাকরির আশ্বাস দিল এবং সে একটি চাকরি পেয়েও গেল। শুনেছি তার শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকা স্বত্তেও একটী হোটেলে মোটা বেতনের চাকরি পেয়েছে। জানিনা ঝর্নার শিক্ষাগত যোগ্যতা কতটা। রাজশাহীর পুলিশ তআকে পুলিশ লাইন স্কুলে চাকরি দিতে চেয়েছিল।

সে পদটি যদি শিক্ষিকার পদ হয়ে থাকে তাহলে ধারণা করা যায় ঝর্ণা যথেষ্ট শিক্ষিত। ঝর্ণার সাহসীকতার প্রমাণ আমরা পেয়েছি। তিনি যে প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পাবেন, সে প্রতিষ্ঠানকে নিশ্চয় কাংখিত সেবা দিতে পারবেন। সরকারের বাইরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাকে একটি চাকরি দেওয়ার বিষয়টি ইতিবাচকভাবে ভাবতে পারেন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.