আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রুচিশীল নোংরা ছবির নাম উঠলেই ফারুকীর নামটা চলে আসতে পারে. . “আজব ঢাকা’র” প্রশ্নের উত্তর এবং পাল্টা প্রশ্ন. . . আপনার সৎসাহস থাকলে উত্তরগুলো আশাকরি পাবো. .

একমুখাপেক্ষি না হয়ে যা কিছু ভাল তা গ্রহন করা উচিৎ...

প্রিয় আজব ঢাকা, শুরুতেই বলে নেই আপনার নামটা অনেক সুন্দর এবং আমার পোষ্টটা থার্ড পার্সন এর রিভিউ ছিলো না। থার্ড পার্সনের রিভিউ পড়তে চাইলে নিচের লিংকের পোষ্টগুলো পড়েন, ভালো রিভিউ পাবেন। তারা ছবিটা দেখেই রিভিউ দিয়েছিলেন। আর আগ্রহ থাকলে সেখানের মন্তব্যগুলোও পড়তে পারেন। ------------------------------------------------- ------------------------------------------------- মুভি রিভিউ: থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার 3rd পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার- ভিতর-বাহির যেখানে বিন্দু হারিয়ে লুকিয়ে থাকে অদৃশ্য বিন্দুতে... "থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার" এর মত ছবি সেন্সর থেকে ছাড়া পাইলো কেমন?(১৮+) এটা আমার পোষ্টের লিংক এটা আজব ঢাকার পোষ্টের লিংক আপনার পোষ্টের উত্তরে বলিঃ এইম? কাউকে এইম করা আমার টার্গেট ছিলো না।

আর পিস্তল নিয়ে খেলা করার ইচ্ছে নেই, তাই গুলি নষ্ট হওয়ারও আশংকা কম। আমার লেখাটাই আপনি বুঝতে পারেন নি! আমার লেখার এতোগুলো প্যারা রেখে আপনি থার্ড পার্সনের প্যারাটাকে টার্গেট করলেন কেনো? তাও আবার প্রশ্ন করেছেন যে আমি কি রিভিও ছবিটা দেখে দিয়েছি নাকি না দেখে? ঐ পোষ্টটা কি থার্ড পার্সনের রিভিউ ছিলো? গুলি সব কানের পাশ দিয়ে গেলো কেনো? দেখেন দু'একটা বুকে লাগে কিনা!ঃ আমার পোষ্টের প্রথম প্যারার মূলকথাঃ বাংলাদেশে যারা নিজ নিজ সেক্টরে ক্ষমতায় থাকেন তাদেরকে কোনো কাজের জন্য জবাবদিহিতা করতে হয় না! সেটা রাজনৈতিক সেক্টরই হোক অথবা সাংস্কৃতিক সেক্টরই হোক, প্রায় সব সেক্টরেই এই একই অবস্থা। দ্বিতীয় প্যারাঃ আমরা আমাদের সেইসব ক্ষমতাবান ব্যাক্তিদের করা কুকর্ম ভুলে যাই এবং তা তুলে ধরি না, ফলে তাদের শাস্তিও হয় না। তৃতীয় প্যারাঃ দেশীয় চলচিত্রের অবন্নয়ন এবং চলচিত্র অঙ্গনে ত্বত্তাবধায়ক সরকারের প্রশংসা। ৪র্থ প্যারাঃ ফারুকীর নাটক নিয়ে সমালোচনা।

৫ম প্যারাঃ স্পার্টাকাস ৭১ নিয়ে ছোটো পরিসরে সমালোচনা। ৬ষ্ঠ প্যারাঃ থার্ড পার্সন নিয়ে কিছু কথা এবং ফারুকী ভাইকে একটু সতর্ক হতে বলা। বিঃ দ্রঃ অবশ্যই খেয়াল করবেন এই প্যারাটা একটা ছবির রিভিউ হতে পারে না। ৭ম প্যারাঃ পাশ্চাত্যের নোংরা ছবির নোংরা কমেডি এবং আশঙ্কা যে আমাদের দেশীয় ছবিতেও কি সেরকমটা ঘটতে পারে কিনা। ৮ম প্যারাঃ দীর্ঘশ্বাস।

যারা মেধাবী তারাও টাকার কাছে নিজের সফলতাকে বিক্রি করে। এবং পরিশেষে শিরোনামের কথা বলি, শিরোনামটা একটা শতর্ক বাণী মাত্র. . - - - - - - - - - - - -- - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - -- - - - - - - - - - - আপনাকে একটা কথা বলি, আমাকে যদি কেউ খারাপ বলে আমি কিন্তু তা কখনই বিশ্বাস করবো না। কেনোনা, খারাপ বৈশিষ্ট আমার থাকতে পারে তবে আমার এই আত্ববিশ্বাসটা আছে যে আমি টোটালি খারাপ না। সুতরাং ফারুকী যদি মনে করে যে সে খারাপ কিছু করে নি এবং তার যদি সেই আত্ববিশ্বাসটা থাকে তবে কে কি বললো তাতে তার কান না দেয়াই ভালো। তবে আমার মনে হয় তার সেরকম আত্ববিশ্বাসটা নেই এবং তাকে বলে দিবেন যে যদি তিনি খারাপ কিছু করেই থাকেন তবে তিনি হয়তো এর শাস্তি একদিন না একদিন পাবেন।

উপস্থাপনা ব্যাপারটা কি আপনার কাছে পরিস্কার? আপনি কি জানেন যে ভালো উপস্থাপনার মাধ্যমে একটা খারাপ কিছুও ভালোভাবে তুলে ধরা সম্ভব, যা দেখে মানুষ মুগ্ধ হতে পারে। ভালোভাবে উপস্থাপনা করার জন্য সময় দিতে হয়, হুট করেই কোনোরকম চালিয়ে দিলে উপস্থাপনাটা কখনই ভালো হয় না। একই জিনিস ভিন্ন উপস্থাপনার কারনে ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করতে পারে। একটা জোকস বলি আপনাকে, আমি তখন ক্লাস টেন এ। আমি আর আমার বন্ধু রিয়াদ ক্লাসে বসে ছিলাম।

হঠাৎ রিয়াদ দাঁত কাচুমাচু করে বললো “মেডামের বাচ্চা আইসক্রিম খাচ্ছে”। আমিতো ওর দিকে তাকি ভাবলাম ও মনে হয় মেডামের উপর রাগ করে কথাটা বললো, এবং বুঝালো যে মেডাম নিজেই আইসক্রিম খাচ্ছে। পরে বাইরে তাকিয়ে দেখি মেডামের ফুটফুটে বাচ্চাটা আইসক্রিম খাচ্ছে। কিছু বুঝতে পারলেন? নাকি গুলি সব কানের পাশ দিয়ে গেলো? ঐসময় রিয়াদ যদি না রেগে সুন্দর করে বলতো ”মেডামের বাচ্চাটা আইসক্রিম খাচ্ছে” তাহলে কিন্তু আমি ভুলেও মনে করতাম না যে মেডামের উপর রাগ করে কথাটা বলা হয়েছে এবং আইসক্রিমটা মেডাম খাচ্ছে। প্রকাশভঙ্গিটা অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ন।

একই কথা দুইভাবে প্রকাশ করলে দু’রকম অর্থ প্রকাশ পাবে। নাটকে বা ছবিতে ফারুকীর প্রকাশের ইঙ্গিতগুলো খুব খারাপ থাকে অথবা সে কিভাবে উপস্থাপন করতে হয় তাই জানেননা! যে প্রশ্নের উত্তর আপনি দিতে বাধ্য নন, তবে সৎ সাহস থাকলে উত্তর দিনঃ আপনার পোষ্টে ’আমি তোমাকে ভালোবাসি‘ এ লাইনটা দিয়ে একটা উদাহরণ দিয়েছেন। কিন্তু আপনি কি উদাহরণ দিলেন ঠিক বুঝতে পারলাম না!! “আমি তোমাকে ভালোবাসি” এই কথাটা দ্বারা কোনো মেয়ের অঙ্গের প্রশংসা করা হয় নাকি? আশ্চর্য!!! আপনি কি বলতে চাচ্ছেন আমি তোমাকে ভালোবাসি লাইনটা আমি তোমার শরীরকে ভালোবাসি বোঝায়? অদ্ভুদ!! আপনার পোষ্টের পরের প্যারাটা, লিভ টুগ্যেদার নিয়ে ছিলো। আচ্ছা. . . থার্ড পার্সন ছবিটাতে লিভ টুগেদারের কোনো ছিন দেয়নি, তাইনা? তো দিতো কয়েকটা ছিন!! যাদের ছবিটা ভালো লেগেছে তাদের হয়তো আরও ভালো লাগতো। তপুকে দিয়ে যখন কনডম কেনালো তখন একটা কড়া দৃশ্যও ওকে দিয়ে করাতো।

অন্তত তপু সন্তুষ্ট থাকতো। আর আমার মনে হয় এরকম দু-একটা দৃশ্য করতে তিশারও আপত্তি থাকতো না। ইঙ্গিতে তপু তিশাকে কি করতে চেয়েছিলো তাতো স্পষ্টই। দু-একটা কড়া ছিন থাকলে গায়ক তপুর অথবা নায়ক তপুর শরীরে হয়তো আরও একটু সুড়সুড়ি ভর করতো। এখনতো শীতকাল, মাঝে মাঝে দৃশ্যটা মনে করে যদি একটু তাপ পাওয়া যায়!!! হা হা হা. . . তপুর জন্যতো লিভটুগেদারের রগরগে একটা দৃশ্য মেঘ না চাইতেই বৃষ্টির মতো হতো।

৮/৯ বছর আগের একটা নাটকে রগরগে লিভটুগেদারের দৃশ্য দেখেছিলেন, সুতরাং ফারুকীর নাটকে বা ছবিতে লিভ টুগেদার দেখাতে আপত্তি কোথায়? ব্যাপারটা তাইতো? প্রতিদিনতো পত্রিকায় কতো ধর্ষনের খবর আসে, তো ধর্ষন করে ধর্ষক বলবে প্রতিদিনই তো কতো ধর্ষন হয়, তো সমস্যা কি? তাইনা? কত জায়গায় তো কতকিছুই হয়, কতমানুষ কতো কিছু করে, কিন্তু সবাই ফারুকী হতে পারে না। আর থার্ডপার্সন নিয়ে ওনার অনেক ভক্তরাই ওনার বিপক্ষে গিয়েছেন । আপনি আপনার পোষ্টের শেষে প্রশ্ন করেছেন থার্ড পার্সন এর মতো ঘটনা যদি আমার মা বোনের জীবনে হতো তাহলে আমি কি করতাম? উত্তরঃ আপনি আপনার পোষ্টের একজায়গায় মন্তব্য করেছেন যে আপনার পরিচিতো কয়েকজন নারীভোগে ফিফটি করতে যাইতেছে। সুতরাং বুঝে নিন তিশার মতো মেয়েরা অথবা আমার মা-বোনেরা যখন বিপদে পড়বে তখন আপনার সেই পরিচিতো কয়েকজন তিশার মতো মেয়েকে ভোগ করার আকাঙ্কায় থেকে নারী ভোগে ফিফটি পূরণ করবে। আসেন জোরে একটা হাত তালি দেই. . . ফিফটি. . . আপনাকে একটা প্রশ্ন করি, আপনি কি কোনোদিন তুলে ধরেছেন সেইসব মুখ, যারা কিনা ভদ্রবেশী মুখোশ পড়ে নারীকে ভোগ করছে, যারা আপনার পরিচিতো।

ঐযে ঐসব পরিচিতো ব্যাক্তিরা! যারা নারীকে অধিকার দেয়ার কথা বলে রাত বারোটার পর বের করে নিয়ে যায় তাদের ফ্লাটে। আর ফায়দা লুটে নারী স্বাধীনতার! তারা ঢাকঢোল পিটিয়ে বলে নারীকে রাত বারোটার পর বের হতে দেয়া হোক, যদি বের হতে না দেয়া হয় তবে নারীকে তার স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করা হবে। অবুঝ নারীরাও তাদেরকে সমর্থন করে। নারীরা এতই অবুঝ যে তারা ঘুনাক্ষরেও বুঝতে পারে না যে তাকে রাত বারোটার পর ঘর থেকে বের করার স্বাধীনতা কেনো দেয়া হচ্ছে, তাকে বারোটার পর বের করে কোথায় নিয়ে যেতে চায় সেইসব পুরুষ!? আপনার ফিফটি পূরণ করা নারীভোগী পুরুষ!! আরও একটা প্রশ্ন, যারা ফিফটি পূরণ করতে যাচ্ছে তাদের কি বিবাহিত স্ত্রী আছে? যদি বিবাহিত স্ত্রী থাকে তবে তাদের ছেলে-মেয়ে নিশ্চয়ই আছে। তাদের মেয়েকে অন্যদের হাতে ভোগ করতে দিলে কেমন হয়? নিজের মেয়েকে যখন অন্য কেউ ভোগ করবে তখন যদি তার টনক নড়ে! তখন যদি তার উপলব্ধিটা জাগ্রত হয় যে আমি ৫০ জন মেয়ের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করলাম, আর আমার মেয়েকে এখন ৫০ জন ভোগ করবে!! তার নিশ্চয়ই খারাপ লাগবে।

এভাবেই হয়তো তার বোধটাকে জাগ্রত করা যাবে। কিন্তু এই কাজটা মানবিক না হয়ে অমানবিক কাজ হবে। এটা আমরা বুঝি, এটা তারা হয়তো বুঝবেন না! কেনোনা তাদের বোধগুলো হয়তো কাজ করেনা. . .! তাদেরকে চিনিয়ে দিন যাতে করে আমাদের মা-বোনেরা যখন তিশার মতো পরিস্থিতিতে পড়বে তখন যেনো তাদের কাছে আমাদের মা-বোনদেরকে যেতে না হয়। আমিতো আমার চেনাজানা কাউকেই দেখাতে পাচ্ছি না যে কিনা ২-৪ জন নারীর সাথে শারিরিক সম্পর্ক করেছে। অথচ আপনার চেনাজানা অনেকেই নারীভোগে ৫০ করতে যাচ্ছে. . আপনার নামটা কি ভাই? আপনি থাকেন কোথায়? আর আপনার পরিচিতো জন কারা? এদের নাম এই ব্লগে পোষ্ট করুন, সবাই জানুক তাদের নাম, এবং তিশাকে তাদের নামের লিষ্টটাও দেয়া হোক, দেয়া হোক সকল নারীকে, দেয়া হোক প্রতিটা ঘরে ঘরে, সবাই চিনুক তাদেরকে।

তাদেরকে চেনা উচিৎ. . . ------------------------------------------------- ------------------------------------------------- বিঃ দ্রঃ পোষ্টটি মূলত প্রথমআলো ব্লগের জন্য লেখা। আমার বেশীরভাগ পোষ্ট আমি সামহ্যোয়ার ব্লগেই দেই। ইদানিং প্রথম আলোতে কিছু কিছু পোষ্ট দিয়েছি, তবে সব পোষ্ট দেওয়া হয়নি। আমারা সমস্ত পোষ্টগুলোর একটা কপি এই ব্লগে রাখার জন্যই পোষ্টটা এখানে করা। আশাকরি ব্যাপারটা সবাই পজিটিভলি দেখবেন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.