চিনির মঞ্ছে লবণের অর্কেষ্ট্রা
পিঁপড়ারা সব বেতোভেন, মোৎসার্ট,বাখ,হান্ডাল।
গণস্রোতের পর্দা সরে যাও – দর্শক হয়ে বসে আছে
আমার ছোট্ট আর বড় প্রস্থের ঘুম,
স্বপ্নরা সব সামুদ্রিক জলহস্তীর কসরৎ
তারা চোখ খাড়া করে আছে সংগীতের ঐকতানে
যেনো এ তাদের অমোঘ নিয়তি।
লাইটম্যান, সুর্যকে জ্বালো তাদের তেল চকচকে পিঠে
এই বিশাল আয়োজন আর আকাশের বিলবোর্ডে তার বিজ্ঞাপন
কারণ আজ পৃথিবীর বিবাহ ধ্বংস-কুমারীর সাথে।
মহাপ্রলয়ের ক্যাকোফনি লাফায় প্রেমের
কাঁদা থিকথিকে ন্যাকাভুমির গভীরে
তার সেই আদিম দাসী গাইনী বেহালা আজ
বীজের বহুত প্রসবে তিক্ত-বিরক্ত হয়ে
ঘুমিয়ে আছে রুপকথার ঘুমে
দূর সাগরের নৌ-টহল জাহাজে।
আখের ক্ষ্যাতে তারা তুলোর চাষ করে
লবণের ক্ষ্যাতে চাষ করে হাইব্রিড হাঙ্গর
যদিও জন-হা-হুতাশ-গণের চোখে চোখে ঘোরে তিমির আহ্বলাদ
আর তার দিগন্ত-বিস্তৃত চর্বির বিছানায়
কাম সেরে গেছে আমাদের দুরত্বের বাসর।
তুলো কি করে ???????????
মঞ্ছের সামনের সারির চেয়ারে বাড়ায়
মহামারীর মূল্যে কেনা পুঁজির কমফোর্ট !!??
বাজাও গান পিপঁড়ারা – নিজের কান মলে
নিজেকে বলাৎকার করে
তার পদার্থ বিজ্ঞানীয় সুরটা ছুড়ে দাও
এইসব শান্তিখোর আর সংস্কারঘোর-ওয়ালা
মানুষের সুধী রুচিশীল সমোঝধার পাকস্থলীতে।
এই যে শিশুটি এই সভ্যতার আবিষ্কারের
জারিজুরি,কেরামতি আর তেলেসমাতির
বিশাল হলঘরটা এখনো চেনেনি
যে জানেনি এখনো চিনির মঞ্ছে লবণের অর্কেষ্ট্রাতে
নান্দনিক নিমপাতার অমৃতরস পাওয়া যায়
সে তার আগামী সুর্যের ঘামে ভিজিয়ে রেখেছে একটা ছুরি
আর আমি দেখতে পারছি
পিয়ানোর রিডে রিডে গেঁথে আছে
সেই ছুরির ধার আর হীরক-রশ্মির মত ফলা
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।