জীবনটা যেন এক বর্ণীল প্রজাপতি
পর্ব-৪: ফটোসেশনের হিড়িক
যার যার নির্ধারিত সিটে বসার পর কিছুক্ষণ পর বান্ধুবীদের সাথে গল্প আর মজা করার জন্য সিট Change করলাম।
বাংলাদেশে কলেজ হতে বের হওয়া থেকে শুরু করে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত পৌঁছা পর্যন্ত অনেক অনেক ছবি তোলা হলো। ভিডিও-ও করা হলো। রেহানা আপা আর লাইজু আপা ভিডিও-ওম্যান।
আমরা কত ভুল ধারণা নিয়ে থাকি! প্লেনে নাকি ক্যামেরা নেয়া যাবেনা।
প্লেনে উঠে সিটে বসেও মা-বাবা ও বন্ধুদের কয়েকবার ফোন করলাম- এখন এই করছি, ঐ করছি। মা বললেন, " মজা লাগতেছে?" বললাম, "হুঁ, খুউব মজা লাগতেছে!"
প্লেন থেকে নেমেও অনেক ছবি তুললাম। তারপর একটা ট্রামে চড়লাম সবাই, চ্যাপ্টা নিচু বাসের মত। ওতে সিট নেই বেশি। হাতে গোনা কয়েকটা সিট, তাতে যারা জায়গা পেলো বসলো।
আর অধিকাংশই দাঁড়িয়ে রইলো। মিনিট কয়েক পরেই আমরা নেমে গেলাম। সবাই বাস থেকে নেমে গেছি। রুনা আপু আমাদের আগেই নেমে গিয়েছিলেন, যখন দেখলেন, রেহানা আপা আমাদের নেমে যাওয়া ভিডিও করছেন, তিনি আবার বাসের পেছন দরজা দিয়ে উঠে আবার সামনে দিয়ে নামলেন।
এরপর আমরা সবাই নেপালী এয়ারপোর্টে ঢুকলাম এবং গোল হয়ে দাঁড়িয়ে ১, ২, ৩, ৪...., ৩৮ গুনলাম এবং রেহানা আপা গোল হয়ে থাকা আমাদের ভিডিও নিলেন।
কয়েকজনের ক্যামেরায় অনেক ছবি তোলা চললো, এককভাবে , কখনো দলীয়ভাবে।
এয়ারপোর্ট থেকে লাগেজ বুঝে নিয়ে সবাই বের হয়ে আসলাম। প্লেন থেকে নামার সময় এয়ার হোস্টেস ম্যাম , সবাইকে উদ্দেশ্য করে বললেন, "সবাই Teacher? wow!!!!! দারুন ব্যাপার!!!!!!!!" যদিও আমরা সবাই শিক্ষক নই, TTC College এর ভাষায় কয়েকজন "Non-Teacher"।
এয়ারপোর্ট থেকে বের হয়ে আমরা গাড়ি নেবো। তা বের হবার সময়, কয়েকজন লোক দাঁড়িয়ে ছিলো, মনে হলো যেন আমাদেরকে অভিনন্দন করার জন্যই দাঁড়িয়ে আছে, তাদের মধ্যে কয়েকজন লোক বাংলা্য় বলে উঠলো, " আসুন, নেপালের ঠান্ডা খেয়ে যান!"
আমরা ৪টি মাইক্রো ভাড়া করলাম এবং যার যার লাগেজসহ চেপে বসলাম।
উদ্দেশ্য- হোটেল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।