নেপালে রাজনৈতিক সঙ্কট অব্যাহত। চক্রান্তের অভিযোগ এনে গণপরিষদ নির্বাচনের ফল মানতে রাজি নয় মাওবাদীরা। ভোট প্রক্রিয়া খতিয়ে না দেখা হলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর হুমকি দিয়েছেন প্রচণ্ড। তারপরই আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে পাহাড়ি দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যত। এক দশকের গৃহযুদ্ধ শেষে ছ'বার সরকার বদল হয়েছে।
কিন্তু ভোটযুদ্ধের পরেও রাজনৈতিক সঙ্কট কাটার কোনও লক্ষণ নেই। গণপরিষদ নির্বাচনে নেপালি কংগ্রেসের কাছে ধরাশায়ী হয়েছে মাওবাদীরা। দলের শীর্ষ নেতা পুষ্পকুমার দহাল ওরফে প্রচণ্ড জানিয়ে দিয়েছেন, এই নির্বাচনের ফল তাঁরা মানবেন না। গণপরিষদ নির্বাচনে চক্রান্তের অভিযোগ এনে পুরো ভোটপ্রক্রিয়া ফের খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন প্রচণ্ড।
নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলি দাবি না মানলে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়ানোর হুমকি দিয়েছেন তাঁরা। গণপরিষদেও অংশ নেবে না বলে হুমকি দিয়েছেন প্রচণ্ড।
৭৫টি জেলায় ব্যাপক ব্যবধানে জয় পেয়েছে নেপালি কংগ্রেস। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর পাহাড়ি দেশে সংবিধান তৈরি করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে তারা। কিন্তু প্রচণ্ডের হুমকির পর সেই রাস্তা আদৌ মসৃণ থাকবে কিনা, সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
কারণ, সাত বছর আগে মাওবাদীরা অস্ত্র ছেড়েছিল নেপালে। তারপর ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিশাল ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন মাওবাদী শীর্ষ নেতা প্রচণ্ড। কিন্তু তারপরেও রাজনৈতিক অস্থিরতা কাটেনি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।