সকালের মিষ্টি রোদ পেরিয়ে আমি এখন মধ্যগগনে,
.
.
.
.
.
.
কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার চৌয়ারা বাজার, ঈদগাহ্, জামে মসজিদ, মাদ্রাসা ও পাবলিক টয়লেট আওয়ামী লীগ নেতাদের দখলে। মহাজোট সরকার গঠনের পরপরই স্থানীয় নেতারা অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে এসব স্থাপনার কর্তৃত্ব তাদের দখলে নেয়ার অভিযোগ ওঠেছে। অভিযোগকারীরা জানায়, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার পৌর এলাকার উলুরচর মৌজার ১নং খাস খতিয়ানভূক্ত ২৭৪ দাগের ১২ শতক ভূমি আবদুর রশিদের নামে জেলা প্রশাসক ২০০৩ সালের ১৩ অক্টোবর বন্দোবস্ত দলিল রেজিস্ট্রি করে দেন। ওই বন্দোবস্ত দলিলমূলে আবদুর রশিদ তার নামে জমা খারিজ খতিয়ান করেন। উক্ত সরকারি খাস ভূমিতে স্থাপিত মসজিদ কমিটির সম্পাদক হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৬২ সালের ওয়াকফ অধ্যাদেশ’র ৪৭ ধারা অনুযায়ী কোন সরকারি খাস ভূমি ওয়াকফ তালিকাভূক্তির বিধান না থাকলেও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে উক্ত ভূমি বন্দোবস্ত গ্রহীতাকে বিভিন্নভাবে হয়রানী করা হচ্ছে। এছাড়া আবদুর রশিদ চৌয়ারা বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও মাদরাসা ওয়াকফ এস্টেটের হিসাব-নিকাশ বর্তমান কমিটির নিকট প্রদান করলেও মসজিদের ইমাম, মোয়াজ্জিন, খাদেম ও মাদরাসার খরচ নির্বাহ না করায় এলাকায় অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এদিকে, মসজিদের কার্যক্রম পরিচালনা ও উন্নয়নের স্বার্থে ওয়াকফ এস্টেটের বাইরে নির্মিত পাবলিক টয়লেটের দৈনিক আয়ের অর্থ থেকে ১০০ টাকা হারে মসজিদ ফান্ডে জমা হতো। গত ১৩ নভেম্বর স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশের মাধ্যমে ওয়াকফ এস্টেট পরিচালনা কমিটি জোরপূর্বক পাবলিক টয়লেট তাদের দখলে নিয়ে আয়ের অর্থ তাদের কাছে দেয়ার জন্য জিম্মাদারকে চাপ সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় মসজিদ কমিটির সফিকুল ইসলাম ও আবদুর রশিদসহ ৯ জনের দাখিলকৃত একটি অভিযোগ গত ১৬ নভেম্বর কুমিল্লার পুলিশ সুপারের নিকট দাখিল করলে অনুসন্ধানপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ওসি’র নিকট প্রেরণ করলেও এ যাবত কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে তারা জানায়।
এ বিষয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতা জামাল চৌধুরী ও স্থানীয় লোকজন জানায়, ডাঃ শহিদুল হক চৌধুরীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় ও এলাকাবাসীর সহায়তায় প্রায় ৪০টি গ্রামের লোকজনের জন্য ঐতিহ্যবাহী ঈদগাহের সীমানা প্রাচীর, গেইট নির্মাণ, পাঁচতলা ফাউন্ডেশনের একতলা বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন জামে মসজিদ, ফাজিল মাদরাসা, চৌয়ারা বাজার সংস্কার ও আধুনিকায়ন এবং একইসঙ্গে ৫ জন পুরুষ ও ৫ জন মহিলার জন্য পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হলেও মহাজোট ক্ষমতাসীন হওয়ার পরপরই আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে এগুলো তাদের দখলে নিয়ে নেয়। তারা আরও জানায়, আওয়ামী লীগ নেতাদের দখলবাজী ও বেপরোয়া কর্মকান্ডে র্যাব ও পুলিশের উপস্থিতির কারণে ভীতিকর পরিবেশে ঈদ-উল-আযহায় ঐতিহাসিক এ ঈদগাহে মাত্র ২/৩শ’ লোক জামায়াতে অংশ নেয়ায় ঈদগাহ উন্নয়নে লক্ষাধিক টাকার স্থলে মাত্র কয়েক হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়। এছাড়া মাদরাসায় প্রায়ই দলীয় মিটিং পরিচালনার কারণে এলাকায় জনমনে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। সোস্যাল বুকমার্কঃ
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।