এভাবেই ভালোবাসা পুড়ে পুড়ে যায়..
হোটেল সী-প্যালেস একদিন আমাকে ই-মেইল করেছিল ;
তাতে লেখা ছিল-"সমুদ্র তোমাকে দেখতে চায় ,আসবে ?"
ঠিক সেদিন থেকেই ঊর্বশী সমুদ্র আমার চোখে ।
একটিদিনও নষ্ট করিনি ,সেদিন রাতেই সোহাগের শেষ বাসটি ধরেছিলাম ;
শুধু তোমায় দেখবো বলে ,হে নীল বসনা ।
সূর্যের দীপ্তি ছড়ানোর আগেই পৌঁছে গেছি তোমার গা ঘেঁসে বেড়ে ওঠা শহরটিতে ।
কিন্তু একি দেখছি আমি !
তুমি এমন অন্ধকারে ছেঁয়ে আছ কেন সমুদ্র ?
এমন কালো মলিন সমুদ্রতো আমি দেখতে চাইনি ;
তোমার শরীর ভরা অলংকার কোথায় গেল ?
সবি কি ফিরিয়ে দিয়েছ আকাশকে ?
সত্যি বলো সমুদ্র ; জানি তুমিও সত্য বলবে না ।
এমন বর্ণহীন নিষ্প্রান সমুদ্র দেখতেতো আমি এতো দূর পথ ছুটে আসিনি !
সমস্ত কাজ জমিয়ে রেখেছি কেবল তোমার নীলে প্লাবিত হব বলে ।
তোমার সেই উত্তাল তরঙ্গ কোন সে অভিমানে আগলে রেখেছ বলতে পার ;
কথা বলো ,সমুদ্র ; কথা বলো ;
তুমি কি আমায় ফিরে যেতে বলছো ?
তাহলে কি আর কোন দিন উম্মোচিত হবে না তোমার নিজস্বতা ?
আমি কি আর কোন দিন গা ভেজাবো না অথৈ নীলে !
তবে তাই হোক ।
ব্যথিত এক খানা হ্রিদপিন্ড আর ঘাড়ে একখানা ল্যাগেজ ঝুলিয়ে চললাম ফিরতি পথে ।
টার্মিনালেও পৌঁছে গেলাম সময় মতো ,
কাউন্টারের সীমানা বরাবর যতোদূর দৃষ্টি যায় -সেখানে কোন বাস নেই।
টিকিট বিক্রেতাকে প্রশ্ন করতেই উত্তর এলো -
"ঢাকার বাসতো একটু আগেই ছেড়ে গ্যাছে ,
আজ আর কোন বাস নেই। "
এ কেমন করে হলো ;আমিতো সময় মতোই এসেছিলাম ।
অবসন্ন দেহখানা নিয়ে পুনরায় পা বাড়ালাম সী-প্যালেসের দিকে ।
দুইধারে শারি শারি ঝাউবন আর রাস্তার পাশে বেড়ে ওঠা বার্মিজ মার্কেটগুলো
বার বার জানিয়ে দিচ্ছে -সমুদ্র শহরের উপস্হিতি ।
এলোমেলো পা ফেলি ,সামনের দিগে এগিয়ে যাই ।
হোটেলের লবীতে পা রাখতেই চোখ পড়ে তোমার উপর ;
-তুমি কি পুনরায় নীল হলে ,ভীষন জানতে ইচ্ছে করছে ।
(পুরো কবিতাটার ধারনা ফিল্ম ডিরেক্টর বেলাল আহমেদ ভাইয়ের কাছ থেকে পাওয়া ।
আমি কেবল কলম ঘসেছি মাত্র । )
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।