আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শেবাগ উবাচ !



আপডেট: বাংলাদেশ টসে জিতে বোলিং নিয়েছে। কুয়াশার জন্য বিলম্বে খেলা শুরু হয়েছে। ভারতের সংগ্রহ ৬৩/০ (১৩ ওভার) গাম্ভীর ২২* (৪০ বল) শেবাগ ৩৮* (৪১ বল) এখন লাঞ্চ ব্রেক। http://www.hitcric.info/ তিনজাতি টুর্নামেন্টের শুরুতে ভারতের সহ-অধিনায়ক বীরেন্দর শেবাগ বাংলাদেশ দলের প্রশংসা ( আজ বোঝা গেলো সেটা লোকদেখানো ছিলো) করতে গিয়ে বাংলাদেশের কাছে অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান আর শ্রীলঙ্কার পরাজয়ের কথা বলেছিলেন। বেমালুম চেপে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের কাছে ভারতের পরাজয় বিশেষত: গত বিশ্বকাপে তাদের ঘুমকাড়া পরাজয়ের কথা চেপে গিয়েছিলেন।

কাল ধোনীর অনুপস্থিতিতে শেবাগ প্রেস কনফারেন্সে বললেন, বাংলাদেশ একদিনের ম্যাচে মাঝে মাঝে চমকে দিলেও টেস্টে একেবারে অর্ডিনারি দল। বাংলাদেশ ভারতকে দুবার অল আউট করার সামর্থ্য রাখে না। হারাবার সামর্থ্যও রাখে না। বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান প্রেস কনফারেন্সে এসে সাংবাদিকদের কাছে এ বয়ান শুনে প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। না পারারই কথা।

কারন আর সবার মতো সাকিবও নিশ্চয়ই জানেন ক্রিকেট চিরকাল ভদ্রলোকের খেলা বলে পরিচিত। এখানে সাধারনত: ন্যূনতম ভদ্রতাবোধও বজায় রাখা হয়। সাকিব অবশ্য শেষ পর্যন্ত ভদ্রতা বজায় রেখে কূটনৈতিকভাবে এর জবাব দিয়েছেন। বলেছেন, এটা ওর ব্যক্তিগত মতামত। শেবাগের এ কথার ফলে বাংলাদেশ শিবিরে একটা উত্তাপও তৈরী হয়েছে।

বাংলাদেশ ভারতকে হারায়নি এখনো। ৫টি টেস্ট এর আগে হয়েছে ভারতের সাথে। চট্টগ্রামে একটি টেস্ট বৃষ্টির আনুকূল্যে ড্র হয়েছিলো। বাকী ৪টি ভারত জিতেছে। বাংলাদেশ টেস্ট জগতে দশম বর্ষে পা রেখেছে গত নভেম্বরে।

এর মধ্যে বাংলাদেশ টেস্ট ও টেস্ট সিরিজ জিতেছে। টেস্টে হোয়াইট ওয়াশও করেছে। দুর্বল দল তত্ত্ব নিয়ে কথা বলে লাভ নেই। সবসময় কোন না কোন দল দুর্বল ছিলো। তাদের বিপক্ষে সবলরা জিতেছেন।

তা নিয়ে কেউ হা পিত্যেস করেন না কেউ। প্রথম টেস্টে ( ১০ নভেম্বর ২০০০ এ শুরু ) বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৪০০ রান করেছিলো। বুলবুল করেছিলেন ১৪১ রান। ভারত এর জবাবে ৪২৯ রানে অল আউট হয়। অধিনায়ক দুর্জয় ১৩২ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন।

পরের ইনিংসে লম্বাব্যাটিং বোলিংয়ের ক্লান্তি সামলাতে না পেরে ৯১ রানে অল আইট হয়ে যায়। কিন্তু এর পর আর কখনো বাংলাদেশ ভারতের সাথে এতো কম রানে আউট হয়নি। প্রথম টেস্টেই বাংলাদেশ ভারতের সাথে তিনদিন সমানে সমানে লড়েছে। ভারতের ভাগ্য ভালো সেবার ভারতেকে পাকিস্তানী ঝাটকা মারেনি। পাকিস্তান দল নিজেদের ইতিহাসের দ্বিতীয় টেস্টেই ভারতকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছিলো ( লক্ষৗ, ২৩-২৬ অক্টোবর ১৯৫২; পাকিস্তান ইনিংস ও ৪৩ রানে জয়ী।

নিজেদের প্রথম টেস্টে ,১৬-১৮ অক্টোবর ১৯৫২,পাকিরা দিল্লীতে ভারতের কাছে ইনিংস ও ৭১ রানে হেরেছিলো। ) এমন লড়াইয়ের সূচনার পর ভারতের তৎকালীন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলিও বাংলাদেশ দলের সাথে সেই বিজয়ের পর প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, এ আর এমন কি ! গত এক দশক ধরে অস্ট্রেলিয়া দলের অপ্রতিরোধ্য জয়যাত্রা বিশ্বকে নিরন্তর বিস্মিত করেছে। সে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক কখনো বাংলাদেশকে নিয়ে এমন মন্তব্য করেননি। অন্য কোন অধিনায়কও নয়। কারন বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং পাকিস্তানকে তাদের মাটিতেই টেস্ট ম্যাচে খাদের কিনারে নিয়ে গিয়েছিলো।

ইনজামাম পরে অনেক সাক্ষাৎকারে করাচিতে করা তাঁর দলের হার বাঁচানো অপরাজিত ১৩৭ রানের ইনিংসটিকে তাঁর জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইনিংসের মর্যাদা দিয়েছেন। এ ছাড়া ফতুল্লায় অস্ট্রেলিয়াকে আর চট্টগ্রামে নিউ জিল্যান্ডকে প্রায় কাঁপিয়ে দিয়েছিলো। শেবাগ যদি মনে করেন বাংরাদেশ কোন দলই না তাহলে এই টেস্টের জন্য টেন্ডুলকার,দ্রাবিড় আর লক্ষণের মতো মহাঅভিজ্ঞদের কেন আনতে হলো বাংলাদেশকে মোকাবেলার জন্য। ঘটনা যাই হোক, আমরা বাংলাদেশের কাছে ভালো খেলাই চাই আপাতত। এর বেশী কিছু নয়।

গুড লাক বাংলাদেশ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।