আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুরআন নাজিল হওয়ার আগে যে সমস্ত বৈজ্ঞানিক আবিস্কার হয়েছে তা কোন গ্রন্থে ছিল?

সত্য সব সময়ই সত্য, তবে আপেক্ষিকতার নিরিখে।

কুরআন নাজিল হওয়ার আগে যে সমস্ত বৈজ্ঞানিক আবিস্কার হয়েছে তা কোন গ্রন্থে ছিল? নিচের পোস্টটি পড়ে খুবই নির্বোধ হয়ে গেলাম। সাথে সাথে গ্রিসীয় সভ্যতার কথা, মিশরীয় সভ্যতার কথাও ভুলে গেলাম------ব্লগার বন্ধুরা বলেন তো---এর সমাধান কোথায় পাব?----কোন কোরআনে পাবো? নিচে---- পবিত্র কোরআনে আধুনিক বিজ্ঞানের সাম্প্রতিক আবিস্কার গুলো নিয়ে কোন তথ্য আছে কি? কোন বৈজ্ঞানিক তত্ব বা সূত্র? এইধরনের প্রশ্নকারিগন ভাবেন, অত্যাধুনিক বিজ্ঞান-সূত্রের বিষয়ে কোরআনে উল্লেখ থাকলে কোরআনের সম্পর্কে কোনো সন্দেহ থাকে না, এবং তারা সহজেই দোদুল্যমানতা কাটিয়ে দৃঢ়বিশ্বাসী হতে পারেন। অন্যদিকে যারা কোরআন নিয়ে গবেষনা করেন, কোরআনের সত্যতা সম্পর্কে অন্যদেরকে বিশ্বাস করানোর প্রয়াস নিয়ে থাকেন তাদের অনেকেই ভাবেন একটা ভাল তত্ত্বের সঙ্গে কোন আয়াতের মিল খুঁজে পেলেই 'ইউরেকা'! মূলত আমরা সকলেই একটা গুরুতর অন্যায়ের সঙ্গে নিজেদেরকে জড়িত করি। সময়ের প্রবাহে যে বিজ্ঞান হারিয়ে যায় কিংবা হারিয়ে যাবার ভয় থাকে , তেমনি একটা মাপনদন্ড দিয়ে কোরআনের সঠিকতার মান পরখ করতে চেষ্টা করি আমরা।

ইমানের প্রশ্নে আমরা কতটা নিচের পর্যায়ে দাঁড়িয়ে রয়েছি - এ গুরুতর জিজ্ঞাসাটি কখনোই আমাদের মনে উদিত হয় না। বিজ্ঞানের যুক্তিদিয়ে বুঝে তারপর সুদৃঢ় বিশ্বাস করা হবে- এই চরিত্রটি ইমানের মৌলিক শর্তগুলির বিপরীতে অবস্থান নেয়। ফলতঃ আমাদের মত ইমানদারগনের অবস্থানটি কোনখানে তা 'আমরা নিজেরাও উপলব্ধি করতে সক্ষম নই। বিশ্বাসী হবার স্থলে আমরা শুধু সন্দেহবাদীদের তালিকায় নাম লিপিবব্ধ করি। আল্লহ এবং কোরআনকে শর্তহীন বিশ্বাস স্থাপন করার জরুরিতাকে প্রমাণ সাপেক্ষে শর্তের মধ্যে প্রবাহিত করার অনুকূলে অন্যায় অনুভব আমাদেরকে ঈমানহীন রুপে প্রতিপন্ন করে।

ফলতঃ আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি ইহকালে ও পরকালেও। কোনোরূপ যুক্তিতর্ক প্রমাণ ছাড়াই কোরআন সত্য- এর বিপরীতে অবস্থান নিয়ে আমরা সূর্যের আলো-কে মোমের কিরণ দিয়ে খুঁজবার কসরৎ করছি! অবশ্য কোরআন গবেষণার ক্ষেত্রে অন্য একটি অনুভবও কাজ করতে পারে। জ্ঞানের তৃপ্তি আনন্দদায়ক- সে অর্থে কোরআনের রত্নভান্ডার আমারদেরকে পুলকিত করতে পারে! জ্ঞান অর্জনের প্রতি এত বিপুল উৎসাহ কোরআন ব্যাতিত পৃথীবিতে আর কোন গ্রন্থ দিয়েছে কিনা আমার জানা নেই। কোরআনের পাতায় পাতায় মানুষের অনুভবকে জাগ্রত করার জন্য যে তথ্য ছড়িয়ে আছে তা অত্যান্ত বিস্ময়কর। আমরা যে সকল প্রশ্নের জবাব খুঁজি তার প্রায় সবটাই হল বড়াবাড়ি।

আমরা অবশ্যই জানি না যে প্রকৃতপক্ষে আমরা কোন প্রশ্ন করার যোগ্যতা রাখি কি না। Steven Weinberg এর ভাষায় - Just as dogs are not smart enough to understand Newtonian Mechanics, perhaps we're not smart enough to make progress beyond certain point. নির্বোধ কুকুর নিউটনিয়ান ম্যাকানিক্স বুঝতে পারে না (যেহেতু তার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা রয়েছে), আমরা মানুষও তেমনি অনেক কিছু বুঝতে পারি না। প্রকৃতপক্ষে নিঊটনের ম্যাকানিক্স-এ অনভিজ্ঞ কুকুরের অনুপাতেই আমরা এই সৃষ্টি ও স্রষ্টাকে বুঝতে ব্যার্থ রয়েছি। আমাদের এই ব্যার্থতা অনেকটা সৃষ্টিগতই। আমরা আরও অনুভব করি না- কোরআন বিজ্ঞান শেখাতে অবতীর্ন হয়নি।

তথাপিও বিজ্ঞানের গুরুতর সূত্র ও বিষয় নিয়ে কোরআন যে আলতো স্পর্শ দিয়ে গেছে, সে স্পর্শের ছোয়ায় জ্ঞানের যে দীপ্তি প্রকাশ পেয়েছে আর তার আলোক ছটায় যে উজ্জলতা ছড়িয়ে পড়ছে তা আজ বিজ্ঞান-মস্তককে আনুভবে ও শ্রদ্ধায় করেছে বিনীত ও বিনম্রশির। বিস্ময়কর যে একটি আয়াতের সার লিখতে যে দলিল দরকার তা ক্ষেত্র বিশেষে পুস্তক হয়ে যায়। আবার একটি অতি ক্ষুদ্র আয়াত হয়তো যে তথ্য ফেলে দিয়ে গেছে তা আমাদের ভাবনাকে আন্দোলিত করে, ভাবনার সুত্র যোগায় এবং যা একসাথে বিজ্ঞানের অনেক তত্ত্বের সমষ্টি। গাম্ভীর্যে, বৈশিষ্টে, বিজ্ঞতায়, সঠিকতায় ও মর্যাদায় কোরআনের ভাষণের মত ঊৎকৃষ্ট আর কোন বক্তমালা জগতে খুঁজে পাওয়া যাবে না। কেঊ পছন্দ করুক বা না করুক - কোরআন শ্রেষ্ঠদের শিরে সর্বশ্রেষ্ঠ! কোরআন এবং বিজ্ঞান কখনোই প্রতিদ্বন্দী নয়।

আসুন আমরা বিজ্ঞানের কল্যানে এখন পর্যন্ত অর্জিত জ্ঞান দ্বারা পবিত্র কোরআনের কিছু আয়াতকে বুঝতে চেষ্টা করি। (চলবে......) ----------------------------------------------------------------------- >> আমার লেখাতে "আল্লাহ" এর পরিবর্তে "আল্লহ" লেখা হয়েছে। কারন মূল আরবি এর উচ্চারনে "লাম" কে মোটা করে উচ্চারন করতে হয়, আরবিতে "যবর" বা বাংলায় "আ-কার" উচ্চারন হয় না। "আল্লাহ" এর পরিবর্তে "আল্লহ" লিখলে সঠিক উচ্চারন সহজ হয়। >> এটি কোরআনকে বিজ্ঞান দ্বারা বা বিজ্ঞানকে কোরআন দ্বারা প্রমাণ করার কোন চেষ্টা নয় বরং বিজ্ঞানের কল্যানে এখন পর্যন্ত অর্জিত জ্ঞান দ্বারা পবিত্র কোরআনের কিছু আয়াতকে বুঝবার চেষ্টা মাত্র।

>> এই সিরিজ লেখাটি মেজর কাজী জাহান মিয়া রচিত "আল-কোরআন দ্যা চ্যালেঞ্জঃ মহাকাশ পর্ব ১ ও ২" হতে সংগ্রহ করা হয়েছে। লেখাটি উক্ত বইথেকে প্রায় হুবহু তুলে দিয়েছি। পোষ্টের কলেবর সংক্ষিপ্ত রাখার উদ্দেশ্যে কিছু স্থানে সংক্ষেপ করা হয়েছে এবং মাঝে মাঝ আমি দু-একটা লাইন জুড়ে দিয়েছি, তবে আমার জুড়ে দেওয়া লাইনগুলো চিহ্নত করা হয়নি (আগামী পর্বগুলোতেও একই পদ্ধতি অনুসরন করা হবে)। আর এই সবই করা হয়েছে লেখকের অনুমতিক্রমে। পবিত্র কোরআনে আধুনিক বিজ্ঞানের সাম্প্রতিক আবিস্কার গুলো নিয়ে কোন তথ্য আছে কি? কোন বৈজ্ঞানিক তত্ব বা সূত্র? এইধরনের প্রশ্নকারিগন ভাবেন, অত্যাধুনিক বিজ্ঞান-সূত্রের বিষয়ে কোরআনে উল্লেখ থাকলে কোরআনের সম্পর্কে কোনো সন্দেহ থাকে না, এবং তারা সহজেই দোদুল্যমানতা কাটিয়ে দৃঢ়বিশ্বাসী হতে পারেন।

অন্যদিকে যারা কোরআন নিয়ে গবেষনা করেন, কোরআনের সত্যতা সম্পর্কে অন্যদেরকে বিশ্বাস করানোর প্রয়াস নিয়ে থাকেন তাদের অনেকেই ভাবেন একটা ভাল তত্ত্বের সঙ্গে কোন আয়াতের মিল খুঁজে পেলেই 'ইউরেকা'! মূলত আমরা সকলেই একটা গুরুতর অন্যায়ের সঙ্গে নিজেদেরকে জড়িত করি। সময়ের প্রবাহে যে বিজ্ঞান হারিয়ে যায় কিংবা হারিয়ে যাবার ভয় থাকে , তেমনি একটা মাপনদন্ড দিয়ে কোরআনের সঠিকতার মান পরখ করতে চেষ্টা করি আমরা। ইমানের প্রশ্নে আমরা কতটা নিচের পর্যায়ে দাঁড়িয়ে রয়েছি - এ গুরুতর জিজ্ঞাসাটি কখনোই আমাদের মনে উদিত হয় না। বিজ্ঞানের যুক্তিদিয়ে বুঝে তারপর সুদৃঢ় বিশ্বাস করা হবে- এই চরিত্রটি ইমানের মৌলিক শর্তগুলির বিপরীতে অবস্থান নেয়। ফলতঃ আমাদের মত ইমানদারগনের অবস্থানটি কোনখানে তা 'আমরা নিজেরাও উপলব্ধি করতে সক্ষম নই।

বিশ্বাসী হবার স্থলে আমরা শুধু সন্দেহবাদীদের তালিকায় নাম লিপিবব্ধ করি। আল্লহ এবং কোরআনকে শর্তহীন বিশ্বাস স্থাপন করার জরুরিতাকে প্রমাণ সাপেক্ষে শর্তের মধ্যে প্রবাহিত করার অনুকূলে অন্যায় অনুভব আমাদেরকে ঈমানহীন রুপে প্রতিপন্ন করে। ফলতঃ আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি ইহকালে ও পরকালেও। কোনোরূপ যুক্তিতর্ক প্রমাণ ছাড়াই কোরআন সত্য- এর বিপরীতে অবস্থান নিয়ে আমরা সূর্যের আলো-কে মোমের কিরণ দিয়ে খুঁজবার কসরৎ করছি! অবশ্য কোরআন গবেষণার ক্ষেত্রে অন্য একটি অনুভবও কাজ করতে পারে। জ্ঞানের তৃপ্তি আনন্দদায়ক- সে অর্থে কোরআনের রত্নভান্ডার আমারদেরকে পুলকিত করতে পারে! জ্ঞান অর্জনের প্রতি এত বিপুল উৎসাহ কোরআন ব্যাতিত পৃথীবিতে আর কোন গ্রন্থ দিয়েছে কিনা আমার জানা নেই।

কোরআনের পাতায় পাতায় মানুষের অনুভবকে জাগ্রত করার জন্য যে তথ্য ছড়িয়ে আছে তা অত্যান্ত বিস্ময়কর। আমরা যে সকল প্রশ্নের জবাব খুঁজি তার প্রায় সবটাই হল বড়াবাড়ি। আমরা অবশ্যই জানি না যে প্রকৃতপক্ষে আমরা কোন প্রশ্ন করার যোগ্যতা রাখি কি না। Steven Weinberg এর ভাষায় - Just as dogs are not smart enough to understand Newtonian Mechanics, perhaps we're not smart enough to make progress beyond certain point. নির্বোধ কুকুর নিউটনিয়ান ম্যাকানিক্স বুঝতে পারে না (যেহেতু তার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা রয়েছে), আমরা মানুষও তেমনি অনেক কিছু বুঝতে পারি না। প্রকৃতপক্ষে নিঊটনের ম্যাকানিক্স-এ অনভিজ্ঞ কুকুরের অনুপাতেই আমরা এই সৃষ্টি ও স্রষ্টাকে বুঝতে ব্যার্থ রয়েছি।

আমাদের এই ব্যার্থতা অনেকটা সৃষ্টিগতই। আমরা আরও অনুভব করি না- কোরআন বিজ্ঞান শেখাতে অবতীর্ন হয়নি। তথাপিও বিজ্ঞানের গুরুতর সূত্র ও বিষয় নিয়ে কোরআন যে আলতো স্পর্শ দিয়ে গেছে, সে স্পর্শের ছোয়ায় জ্ঞানের যে দীপ্তি প্রকাশ পেয়েছে আর তার আলোক ছটায় যে উজ্জলতা ছড়িয়ে পড়ছে তা আজ বিজ্ঞান-মস্তককে আনুভবে ও শ্রদ্ধায় করেছে বিনীত ও বিনম্রশির। বিস্ময়কর যে একটি আয়াতের সার লিখতে যে দলিল দরকার তা ক্ষেত্র বিশেষে পুস্তক হয়ে যায়। আবার একটি অতি ক্ষুদ্র আয়াত হয়তো যে তথ্য ফেলে দিয়ে গেছে তা আমাদের ভাবনাকে আন্দোলিত করে, ভাবনার সুত্র যোগায় এবং যা একসাথে বিজ্ঞানের অনেক তত্ত্বের সমষ্টি।

গাম্ভীর্যে, বৈশিষ্টে, বিজ্ঞতায়, সঠিকতায় ও মর্যাদায় কোরআনের ভাষণের মত ঊৎকৃষ্ট আর কোন বক্তমালা জগতে খুঁজে পাওয়া যাবে না। কেঊ পছন্দ করুক বা না করুক - কোরআন শ্রেষ্ঠদের শিরে সর্বশ্রেষ্ঠ! কোরআন এবং বিজ্ঞান কখনোই প্রতিদ্বন্দী নয়। আসুন আমরা বিজ্ঞানের কল্যানে এখন পর্যন্ত অর্জিত জ্ঞান দ্বারা পবিত্র কোরআনের কিছু আয়াতকে বুঝতে চেষ্টা করি। (চলবে......) ----------------------------------------------------------------------- >> আমার লেখাতে "আল্লাহ" এর পরিবর্তে "আল্লহ" লেখা হয়েছে। কারন মূল আরবি এর উচ্চারনে "লাম" কে মোটা করে উচ্চারন করতে হয়, আরবিতে "যবর" বা বাংলায় "আ-কার" উচ্চারন হয় না।

"আল্লাহ" এর পরিবর্তে "আল্লহ" লিখলে সঠিক উচ্চারন সহজ হয়। >> এটি কোরআনকে বিজ্ঞান দ্বারা বা বিজ্ঞানকে কোরআন দ্বারা প্রমাণ করার কোন চেষ্টা নয় বরং বিজ্ঞানের কল্যানে এখন পর্যন্ত অর্জিত জ্ঞান দ্বারা পবিত্র কোরআনের কিছু আয়াতকে বুঝবার চেষ্টা মাত্র। >> এই সিরিজ লেখাটি মেজর কাজী জাহান মিয়া রচিত "আল-কোরআন দ্যা চ্যালেঞ্জঃ মহাকাশ পর্ব ১ ও ২" হতে সংগ্রহ করা হয়েছে। লেখাটি উক্ত বইথেকে প্রায় হুবহু তুলে দিয়েছি। পোষ্টের কলেবর সংক্ষিপ্ত রাখার উদ্দেশ্যে কিছু স্থানে সংক্ষেপ করা হয়েছে এবং মাঝে মাঝ আমি দু-একটা লাইন জুড়ে দিয়েছি, তবে আমার জুড়ে দেওয়া লাইনগুলো চিহ্নত করা হয়নি (আগামী পর্বগুলোতেও একই পদ্ধতি অনুসরন করা হবে)।

আর এই সবই করা হয়েছে লেখকের অনুমতিক্রমে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।