শাহবাগের গনজোয়ার কে ঘিরে আজ যেসব ধর্ম প্রেমিকেরা ‘ধর্ম গেল,ধর্ম গেল’ বলে রব উঠাচ্ছেন তাদের কাছে আমার জিজ্ঞাসা-
“এত বছর ধরে আপনাদের ধর্ম প্রেম কোথায় রাখা ছিল??
যে দুঃশ্চরিত্র লম্পট ধর্ষক,খুনীদের কারণে আজ আপনাদের তথাকথিত নাস্তিকেরা ইসলাম কে হেয় করার সুযোগ পাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আপনাদের কন্ঠ এতদিন নিরব ছিল কোন স্বার্থে???!!
কওমী মাদ্রাসার আলেম গন জামাতীদের বিরোধীতা করে আসছেন সেই আদ্যিকাল থেকেই।
উনারা ধর্মিয় নীতিগত দিক থেকেই একটু প্রচার বিমুখ হওয়ার কারণে আমরা তাদের কথা প্রায় জানিই না!!
ধর্ম সম্পর্কে জানা প্রতিটা মুসলমানের ই অবশ্য কর্তব্য।
আমরা সেই কর্তব্য পালনে পুরোপুরি ব্যার্থ বলেই সুবিধাবাদী অপশক্তি আমাদের ধর্মানুভুতি কে নিয়ে এত সহযে খেলতে পারে।
যদি এতই ধর্ম প্রেম আমাদের থাকে তাহলে আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব ছিল হক্কানী ওলামায়েকেরামদের কাছে গিয়ে সঠিক দ্বীন শিক্ষা করা,যেটা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ।
নাস্তিক বা ধর্ম বিরোধীদের কাছ থেকে নিজের ঈমান কে রক্ষা করা ধার্মিক মুখোশধারীদের কাছ থেকে রক্ষা করার চেয়ে অনেক বেশি সহজ বলে আমি মনে করি।
কারণ একজন শুয়োরের মাংস বিক্রি করছে শুয়োরের মাংসের নাম করে,কিন্তু মুখোশধারী ধার্মিকেরা শুয়োরের মাংস বিক্রি করছে গরুর মাংস বলে।
যারা আজ ধর্ম গেল রব তুলেছেন,আমি মোটামুটি নিশ্চিত এদের প্রায় কেউ ই শাহবাগ যান নি।
কারো মুখে হয়তো শুনেছেন ওখানে এই হচ্ছে,সেই হচ্ছে...
ভাইরে,অন্য কে গালি দেয়ার আগে নিজের দিকে একটু তাকিয়ে দেখবেন কি,আমাদের দাড়া প্রতিনিয়ত কতবার ইসলাম এর,আমাদের নবী করিম(সাঃ) এর অপমান হচ্ছে???
প্রতিনিয়ত আমাদের আমল দাড়া আমরা কত ভাবে ইসলাম ও আমাদের নবী করিম (সাঃ) কে অপমান করছি??
ইসলাম এর স্বার্থেই এই কুৎসিত লোক গুলোর সর্বোচ্চ সাজা হওয়া টা জরুরী।
এই ঘৃণ্য পশুগুলো ইসলামের যে ক্ষতি করেছে,যতোটা ছোট করেছে তা কোন তথাকথিত নাস্তিকের দ্বারাও করা সম্ভব না।
তাই ‘ধর্ম গেল’ পার্টির ভাইদের উদ্যেশ্যে বলছি-আসুন,শাহবাগে ইসলাম ধ্বংস না,ইসলাম কে কলঙ্ক মুক্ত করার আন্দোলন চলছে।
যারা ইসলাম এবং দাড়ি,টুপি কে তাদের অপকর্মের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে,আসুন তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াই।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের তৌফিক দান করুন। আমিন।
জয় বাংলা...
দাবি মোদের একটাই,
রাজাকারের ফাঁসি চাই...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।