জয় বাংলা অপ্রকাশিত সূত্রে প্রকাশ, শাহবাগের বিপ্লবীদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে-
জামাত ও অঙ্গ সঙ্গঠন
বেশিরভাগ মানুষই মতামত দিচ্ছেন, এই জামাত-শিবির-রাজাকার-ইসলামী ব্যাঙ্ক-ইবনে সিনা-নয়া দিগন্ত-সংগ্রাম- সোনার বাংলা- রেটিনা ইত্যাদি তৎক্ষণাৎ বন্ধ করে দিতে হবে।
এই নিয়ে তীব্র বাকবিতন্ডা ও বিভ্রান্তি দেখা দেয় শাহবাগে। অনেকে বলেন, ইসলামের ব্যাঙ্ক মনে করে আগে ইসলামী ব্যাঙ্কে টাকা রেখেছিলাম। সেটা তুলে নিই, তারপর বন্ধ করা যাবে। আরেক দল বলেন, ইবনে সিনা থেকে এখনো টেস্ট রেজাল্ট নেয়া হয়নি।
অন্তত চব্বিশ ঘন্টা সময় দিতে হবে। তবে কিছু চরমপন্থী মানুষের মুখে শোনা যায়, সাথে সাথে সেসব প্রতিষ্ঠান পোড়ানোর মাধ্যমে অবলুপ্ত করতে হবে। গোপন সূত্রে প্রকাশ, এই মনোভাব অনেকেই রাখছেন, কিন্তু মুখে বলছেন না।
ফাঁসির দড়ি ও লাশ
কেউ কেউ বলছেন, ফাঁসি একটা মাত্র দড়িতে দিতে হবে, কারো কারো দাবী, দড়ির নিরাপত্তার খাতিরে ভিন্ন ভিন্ন দড়ি ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও লাশের ক্ষেত্রে কেউ কেউ বলছেন, মুসলিম শরীয়ত অনুযায়ী তাদের লাশ দয়া করে দাফন করা যায় বাংলাদেশে।
অনেকের মতে, লাশগুলোকে পুড়িয়ে দিতে হবে। কিন্তু বেশিরভাগই এক কথা বলছেন, বাংলাদেশের সীমানা পাড় করে দেয়া হোক- তারপর যে কোন স্থানে দেয়া যাবে। শহীদের শান্তি বিষয়ক কিছু কথাও তাঁরা বলেন।
জয় বাংলা
কেউ কেউ বলছেন, জয় বাংলা দিয়ে শ্লোগান শুরু করতে হবে, কারো কারো মতে জয় বাংলা দিয়ে শেষ করতে হবে। অনেকে আবার আগ বাড়িয়ে বলছেন, শুরু ও শেষ দুটাই জয় বাংলা দিয়ে করতে হবে।
এই বিষয়ে ব্যাপক মতপার্থক্য দেখে অনেকেই ব্যাপারটাকে আড়াল করার চেষ্টা করছেন।
এছাড়াও অনেকে জয় বাংলার মুক্তিকে স্বাগত জানান। বলেন, জয় বাংলার জাতীয়করণ হয়েছে দলীয়করণ শেষ করে।
রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ
রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বিষয়েও বিভক্ত হয়ে পড়েছে শাহবাগ বিপ্লব। কেউ বলছেন, রাজনীতিবিদদের সেখানে বক্তব্য দিতে দেয়া হবে না, আবার কেউ বলছেন, তাঁদেরকে কিছুতেই ঢুকতে দেয়া উচিত নয়।
থুতু ফেলা
অনেকেই কাদের মোল্লাকে নীতিগতভাবে ঝুলিয়ে থুতু দিচ্ছিলেন।
এ নিয়েও দ্বিমত রয়েছে বিপ্লবের কেন্দ্রে। কেউ বলছেন, এই থুতু দেয়া যাবে না, কারণ, শাহবাগ পবিত্রভূমি, এখানে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে। এখানে কোথাও থুতু ফেলা যাবে না।
যাচ্ছি।
আমার সাথে আপনারা সবাই আছেন। আত্মা পরস্পর যুক্ত। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।