আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাকালুকি হাওরের খাসজমি জবর দখলে সক্রিয় মামা খন্দকার চক্র

রঙ্গিলা বন্ধুরে....... i_mahmud2008@yahoo.com

প্রধানমন্ত্রীর কাছে ভুমিহীনদের আবেদন \ প্রশাসন নির্বিকার, চলছে বেচা-কেনা হাকালুকি হাওরের খাসজমি জবর দখলে সক্রিয় মামা খন্দকার চক্র ইসমাইল মাহমুদ দেশের বৃহত্তম হাওর হাকালুকিতে মামা খন্দকার নামে একটি ভুমি খেকো চক্র চালাচেছ আগ্রাসন। জাল দলিল তৈরি করে ওই চক্র ইতিমধ্যে এক হাজার একর জমি জবর দখল করেছ্। ে তবুও থেমে নেই তাদের আগ্রাসন। সরকারের উচচ পর্যায়ে অনুষ্ঠিত একাধিক তদন্তে বিষয়টি প্রমাণিত হলেও নেয়া হয়নি কোন কার্যকর ব্যবস্থা। স্থানীয় সমাধান ভুমিহীন সমাজ কল্যাণ সমিতি এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

সমাধান ভুমিহীন সমাজ কল্যাণ সমিতির গত ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী বরাবরে লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, হাকালুকি হাওরের জুড়ি উপজেলায় অব¯ি'ত চাতলাপুর মৌজার জেএল নং ২১/১৭২ এর অন্তর্গত ১নং খাস খতিয়ানের ৪ হাজার একর হাওর শ্রেনীর জমির মধ্যে জাল দলিল ও জাল বন্দোবস্ত কেস সৃজন করে মামা খন্দকার চক্র এক হাজার একর ভুমি নিজেদের নামে দখল করে নেয়। ওই চক্রে রয়েছেন বর্তমান জায়ফরনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোসলেহ উদ্দিনসহ ১৯ জন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি। ১৯৬৪-৬৫ এবং ১৯৮২-৮৩ সালে প্রদত্ত কেস নথি সহকারী কমিশনার (ভুমি) কুলাউড়া অফিস থেকে গায়েব করে ওই চক্র জাল দলিল তৈরি করেঁ খাসজমি দখল করেছে বলে ভুমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের তদন্দে প্রমানিত হয়। সে সময় সহকারী কমিশনার (ভুমি) অফিসের অসাধু কর্মকর্তারা একাজে সহযোগিতা করে হাতিয়ে নিয়েছে মোটা অংকের টাকা। সমাধান ভুমিহীন সমাজ কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী বরাবরে আবেদনকারী আব্দুল হাকিম জানান, সমিতির পে ইতিপুর্বে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে এ ব্যাপারে অভিযোগ দিলেও কোন সুফল হয়নি।

অভিযোগ তদন্ত পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থেকেছে। সমিতির পক্ষে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে দেয়া অভিযোগের প্রেেিত ২০০৮ সালে ৮ জুলাই ভুমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (সঃ অপাঃ-১) মোঃ আনোয়ার হোসেন তদন্তক্রমে মহা পরিচালকের কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদনে তিনি উলেখ করেন, মামা খন্দকার চক্র ২১/১৭২ নং জেএলভুক্ত মোট খাস জমির পরিমান ৩ হাজার ৯ শত ৬৪ দশমিক ৯৭ একর। তৎকালীন আর এস জরিপে ২হাজার ৬ শত ৭৬ দশমিক ০৩ একর জমি সরকারের নামে রেকর্ডভুক্ত হয়। অবশিষ্ট ১ হাজার ১ শত ৭০ দশমিক ৩৪ একর জমি সরকারের নামে রেকর্ড হয়নি।

তদন্তকারী কর্মকর্তা ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ডকৃত সরকারী ভুমি উদ্ধার করতঃ মামা খন্দকার চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানান। তিনি আরও জানান,তাদের অভিযোগের প্রেেিত সিলেটের অতিরিক্ত কমিশনার (রাজস্ব) জে এন বিশ্বাস তদন্তক্রমে ২০০৮ সালে ২৫ সেপ্টেম্বর বিভাগীয় কমিশনারের কাছে একটি প্রতিবেদন দেন। তদন্তে অভিযোগকারী আব্দুল হাকিমের অভিযোগের সত্যতা পান বলে উলেখ করেন। এছাড়া চাতলা বিল মৌজার হাওর এলাকার বন্দোবস্তযোগ্য খাস জমি স্থানীয় ভুমিহীনদের মাঝে বন্দোবস্ত প্রদানে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে । এ নিয়ে ভুমিহীন ও প্রভাবশালী বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ এবং আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে তিনি প্রতিবেদনে আশংকা প্রকাশ করেন।

ভুমিহীনরা জানান, সরকারের কৃষি খাসজমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত নীতিমালা অনুসারে সমাধান ভুমিহীন সমাজ কল্যাণ সমিতি ৩৪ জন ভুমিহীনদের মাঝে উক্ত খাসজমি বন্দোবস্ত প্রদানের দাবি জানান। তারা বিভিন্ন সময় প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ কর্তৃক সরকারী খাসজমি জবর দখল ও জাল দলিলের মাধ্যমে কেনা বেচার অভিযোগ করলে উক্ত চক্র ভুমিহীনদের প্রাণনাশের ও উচেছদের হুমকি দেয়। ভুমিহীন সমাজ কল্যাণ সমিতি প্রধানমন্ত্রী বরাবরে দেয়া অভিযোগের অনুলিপি দিযেছেন মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ,ভুমিমন্ত্রী, দুর্নীতি দমন কমিশন, বিভাগীয় কমিশনার, সিনিয়র সহকারী সচিব ভুমি মন্ত্রনালয়, জেলা প্রশাসক মৌলভীবাজার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুড়ি দপ্তরে। এ ব্যাপারে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ মফিজুল ইসলাম জানান, এ ধরনের অভিযোগ পেয়েছি বলে আমার মনে নেই। তবে পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।