পরিবর্তনে বিশ্বাসী
অপার সৌর্ন্দয যা ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌর্ন্দয এত মধুর যা ঘুরলেই বুঝা যায়।
প্রতিদিনের মত আজও অফিসে গেলাম। যখন অফিস থেকে বের হবো তখন কলিগদের সাথে একটু আড্ডায় বসলাম। আড্ডার বিষয় হলো ভ্রমন।
কথায় কথায় মাধবকুন্ড জলপ্রপাত এর কথা উঠলো। আর কি আজই যাবো। কাল শুক্রবার তাই সিদ্ধান্তটা ফাইনাল হয়ে গেল। আমার একটা কলম বন্ধু আছে যার বাড়ি মাধবকুন্ডে। তার মোবাইল নম্বার জানিনা, শুধু ঠিকানা জানি।
ভালই হলো কলম বন্ধুর বাড়ি ঘুরে আসা হবে।
ট্রেন করে পৌঁছলাম কুলাউড়া তখন ভোর রাত। ৪ টা বাজে। স্টেশনে একটা বৃদ্ধ লোককে জিজ্ঞাসা করলাম কাকা মাধবকুন্ড কিভাবে যাবো? কাকা বললেন, বাবা এখনতো বাস পাবে না। ৭.০০টার দিকে বাস পাবে।
প্রায় ৩ ঘন্টা স্টেশনে ঘুরে কাটালাম। ৭.৩০ টা বাস ছাড়লো মাধব কুন্ডের উদ্দেশ্যে । বাস আমাদের নামিয়ে দিল কাটালতলী নামক একটি জায়গায় বাস ভাড়া জন প্রতি ২৮ টাকা । ওখান থেকে মাধবকুন্ড আরো ১০-১২ কিলোমিটার। রিকশা নিলাম ৮০ টাকা দিয়ে।
নতুন যারা যায় তাদের থেকে বেশিই রাখে।
এভাবে পৌঁছে গেলাম মাধব কুন্ডে। আমার কলম বন্ধুর সাথে দেখা করলাম তারা আমাদের খুব আপায়্যান করল এবং সব কিছু ঘুরে দেখালো।
ঐখানে ২ টা জলপ্রপাত আছে। মাধবকুন্ড জলপ্রপাত আর পরি কুন্ড।
সবাই একটাই দেখে। পরিশেষে আমরা গেলাম হাকালুকি হাওড় দেখতে। কি বিশাল হাওড়.. আমরা কয়েকটা বিল ঘুরে দেখলাম। কাটাল তলী থেকে হাকালুকি হাওড় বেশি দুর না। সিএনজি তে যাওয়া যায়।
হাকালুকি হাওড় থেকে গেলাম মৌলভীবাজার শহরে। শহড়টা ঘুড়ে যখন ঢাকায় ফিরবো তখন খুব কান্ত। বাসে উঠে এক ঘুমে ঢাকায় পৌছলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।