আমার ভাল লাগার জগৎ শিল্প, সাহিত্য সংস্কতি। এবং সবার উপরে দেশ।
সৈয়দ শামসুল হকরে আত্ম-পরক্রিমা ও শল্পি-পরক্রিমা
রফিকউল্লাহ খান
কালরে অর্ন্তগত হয়েও কালকে অতক্রিম করে যাওয়ার আকাক্ষা কেবল শিল্পীরাই লালন করতে পারনে। ‘কবিতা সমগ্র’র ভূমিকায় সৈয়দ শামসুল হক এ বাসনার কথা অকপটে উচ্চারণ করছেলিনে আজ থেকে এক যুগ আগে ১৯৯৭ সাল। ‘শ্রেষ্ঠ কবিতার’র ভূমিকায় ১৯৯০ সালে তিনি লেখেন : ‘আমাদরে শ্রষ্ঠে মুর্হূতগুলোই শল্পিে হয় সম্পাদতি, এসব মুর্হূতরে মধ্যে পূরতি রয়ছেে আমাদরে অভজ্ঞিতা এবং কল্পনার র্শীষ, রয়ছেে আমাদরে দূরযাত্রার শ্রষ্ঠে বাসনাসকল এবং সমস্ত কছিুর বদিায় ও স্বাগতমরে অনবরত র্পযায়ক্রম।
’ কালরে অর্ন্তগত এখনও তনি। ি তাঁর অভজ্ঞিতা ও কল্পনার র্শীষ ক্রমায়ত অগ্রযাত্রায় ভরে তুলছে শল্পিরে শস্যভাণ্ডারÑ তরৈি হচ্ছে একরে পর এক নতুন গোলা। সময়স্বভাব থকেে প্রাগ্রসর শল্পিস্বভাব নয়িে তনিি যাত্রা শুরু করছেলিনে বশি শতকরে পঞ্চাশরে দশক;ে ভাষা আন্দোলনরে অব্যবহতিকাল। ে বস্তু-অভজ্ঞিতা, ব্যক্তি ও সমষ্টরি অবচতেন লোক এবং নজি মৌলকি স্বপ্ন-আকাক্সক্ষার সমবায়ে রচতি হয়ছেে তাঁর গল্প, কবতিা, উপন্যাস ও নাটকরে ভুবন। তার আত্মপ্রকাশরে গদ্যওে রয়ছেে ব্যক্তি ও সমষ্টভিাবনার এক কবতিাক্রান্ত আবগে-মননরে যৌথায়নরে অর্পূব ধ্বনজিগৎ।
২
সৈয়দ শামসুল হকের আত্মপরক্রিমা ও শল্পিপরক্রিমার দ্বৈরথ বিগত ছয় দশকে বাঙালির সংস্কৃতি-সমগ্রতার সঙ্গে সমরখোয় মলিতি হয়ছে। ে এই র্দীঘ শল্পিযাত্রায় আত্মদ্বন্দ্ব ও দ্বন্দ্বোত্তরণরে অনকেগুলো স্তর তনিি অতক্রিম করছেনে। প্রায় সমসময়ইে তনিি সাহত্যিরে প্রাচীনতম ও কনষ্ঠিতম দুই রূপ কবতিা ও গল্প রচনার মাধ্যমে শল্পিযাত্রা শুরু করনে। ১৯৪৭-পরর্বতীকালে পাকস্তিান-মোহরে অন্ধতমসা থকেে জাতসিত্তাকে মুক্ত করার ক্ষত্রেে ভাষা আন্দোলন এক যুগান্তকারী ভূমকিা পালন কর। ে সইে সাংস্কৃতকি নবজাগরণরে শল্পি সন্তানদরে অন্যতম ছলিনে সয়ৈদ শামসুল হক।
রাজনতৈকি অঙ্গীকাররে প্রশ্নে অনকেরে মতো তনিওি উদার মানবতাবাদী গণতান্ত্রকি চতেনাকইে গ্রহণ করছেলিনে। জীবনায়নরে সূত্রইে গড়ে ওঠে একজন শল্পিরি মানসলোক। একটা পছেনমুখ,ি মধ্যযুগীয় রাষ্ট্রার্দশরে মধ্যে প্রগতি ও গণতন্ত্ররে পথ-যাত্রায় ভতের-বাইররে অনকে সংগ্রাম ও রক্তক্ষরণরে মধ্য দয়িে তাঁকে এগুতে হয়ছে। ে দশে বভিাগ-পরর্বতী উপনবিশেতি মধ্যবত্তিরে ক্রমায়ত জীবন সংকটরে বচিত্রি তল তাঁর ছোটগল্পরে জগৎ। প্রথম প্রকাশতি ‘তাস’ (১৯৫৪) গল্পগ্রন্থইে সয়ৈদ হকরে বস্তু-অভজ্ঞিতার বচৈত্র্যি সুস্পষ্ট।
ব্যক্ত,ি পরবিার ও সমষ্ট-িঅভজ্ঞিতার এই স্তরক্রমকে অনবর্িায প্রকরণে তনিি উপস্থাপন করছেনে।
পঞ্চাশরে দশকে রচতি কবতিা ও উপন্যাসে তনিি তাঁর বাসনাসম্ভব জগৎ সৃষ্টি করছেনে, যা সময়স্বভাব থকেে অগ্রগামী। কবতিার মগ্নযাত্রালোকে আত্মরতরি মধ্যওে সমষ্টজিীবনলগ্ন স্মৃতরি সঙ্গে যুক্ত হয়ছেে যৌথ অবচতেনার বস্তিৃত পরসির। মনোবজ্ঞিানরে বস্তিৃত পাঠ কোনো কোনো উপন্যাসে যান্ত্রকি মনে হলওে ছোটগল্পে সমাজসম্মত এবং কবতিায় শল্পিসফল রূপ লাভ করছে। ে ১৯৫০ ও ১৯৬০-এর দশকে সয়ৈদ হকরে গল্প, কবতিা ও উপন্যাসে মূলত নাগরকি মধ্যবত্তিরে জীবনরূপ ও মনোজগৎই প্রাধান্য পয়েছে।
ে শল্পিরীতরি প্রশ্নে গোড়া থকেইে তনিি প্রকৃতমানে পৗেঁছে গছেনে। গল্প ও উপন্যাসরে উপকরণ, বষিয় ও চরত্রিভাবনায় তনিি সৃষ্টি করছেনে স্বাবলম্বী ক্ষত্রে। তাঁর ভাষারীত,ি শল্পিশীলতি এবং অবলম্বতি জীবনরে অনুষঙ্গী। র্বণনাত্মক গদ্যরে পরর্বিতে তনিি ব্যবহার করছেনে বশিষেণাত্মক, কাব্যময় ও প্রতীকী পরর্চিযাময় ভাষাভঙ্গ। ি ‘তাস’ গল্পগ্রন্থরে ‘রোকয়োর মুখ’ গল্পরে একটি অংশ উদ্ধৃত করা যতেে পারে :
‘এমন একদনি রোকয়োরও ছলি।
রামধনু পাখরি পালকরে মতো আর্শ্চয সুন্দর। দক্ষণি-বাতাসে উড়য়িে নওেয়া শমিুল তুলোর মতো স্বচ্ছন্দ, ভাবনাহীন। এমন দনিরে যদি সন্ধ্যা না হতো। রোকয়ো কতদনি চোখ বুজে ভবেছে। ে স্বপ্নরে নীল ছায়া ঘন হয়ে নমেে এসছেে তার দু’চোখে সে কথা ভবে।
ে’
একজন কথাশল্পিীর স্বাতন্ত্র্যরে প্রধান মানদণ্ড তার র্বণনরীত। ি সয়ৈদ শামসুল হক শুরুতইে স্বাবলম্বী গদ্য সৃষ্টতিে সর্মথ হয়ছেলিনে। তাঁর ‘শীত বকিলে’ (১৯৫৯), ‘রক্তগোলাপ’ (১৯৬৪) ও ‘আনন্দরে মৃত্যু’ (১৯৬৭) গ্রন্থে বষিয় ও আঙ্গকিরে সমান্তরালে ভাষারীতওি অনবর্িায রূপ পয়েছে। ে ‘প্রাচীন বংশরে নঃিস্ব সন্তান’ (১৯৮২) ও ‘জলশে^রীর গল্পগুলো’র (১৯৯০) ঘটনা-উৎস বাংলাদশেরে বৃহত্তর জনজীবন। ব্যক্তি ও সমষ্টরি অস্তত্বি সংগ্রামরে সমান্তরালে মুক্তযিুদ্ধ-পরর্বতী গ্রামজীবনরে রক্তাক্ত, জটলি ও অবক্ষয়প্রবণ বাস্তবতার রূপায়ণ ঘটছে।
ে বাংলাদশেরে প্রতীক এই জলশে^রী বৃহত্তর সমাজকাঠামোর ক্ষয়, নরৈাজ্য, হতাশা, দারদ্র্যি ও অস্তত্বিত্বশূন্যতার প্রতরিূপ হয়ে উঠছে। ে ‘জলশে^রীর গল্পগুলো’ গ্রন্থরে ‘জমরিুদ্দনিরে মৃত্যু ববিরণ’ গল্পে সামরকি শাসন জাররি মুর্হূতরে সঙ্গে জমরিুদ্দনিরে মৃত্যুর সন্নকিট অসাধারণ র্বণনা :
‘হঠাৎ সব শান্ত হয়ে যায়। কসিরে এই শান্ত,ি কউে ঠাহর করে উঠতে পারি না। পাখদিরে কলরব, ঘরে ফরোÑ সব স্তব্ধ হয়ে যায়। দূরে বাজারে কোলাহল স্তম্ভতি হয়ে যায়, মানুষরা সড়ক থকেে হঠাৎ যনে অর্ন্তহতি হয়ে যায়।
আমাদরে মুখ থকেে পায়ুদশে র্পযন্ত অকস্মাৎ শুষ্কতা অনুভূত হয়। ...
কে একজন বাজার থকেে দৌড়–তে দৌড়–তে আস;ে কী একটা বলতে বলতে অন্ধকাররে ভতের সে আবার মলিয়িে যায়, বোধহয় সে একই সংবাদ দতিে যায়। ’
ছোটগল্পরে বষিয় ও রূপনর্মিাণে সয়ৈদ শামসুল হকরে আত্ম-রূপান্তর ও শল্পিনরিীক্ষা অভন্নি বন্দিুতে মলিতি হয়ছে। ে
৩
বহুমুখী প্রতভিার মূল্যায়ন নঃিসন্দহেে দুরূহ। বহুমাত্রকি, সব্যসাচী Ñশব্দবন্ধগুলোও বহুব্যবহারে র্জীণ।
শল্পি বচিারে এ ধরনরে বশিষোয়ণ যে কোনো তাৎর্পয বহন করে না, সাহত্যিরে ইতহিাস তার প্রমাণ। পাঠকপ্রয়িতাও কোনো মানদণ্ড নয়। এটাও কালরে র্অন্তগত, ভবষ্যিতরে নয়। সয়ৈদ শামসুল হক মূলত এবং প্রধানত কব। ি তাঁর কবতিা এবং কাব্যনাটক পাঠে যে কোনো সচতেন পাঠক তা নঃিসংকোচে বলতে পারনে।
কন্তিু উপন্যাসে তাঁর অবদানকে বাংলা কথাশল্পিরে পটভূমতিে গৌণ করে দখোর কোনো সুযোগ নইে। লখেকরে আত্মজীবন, অর্ন্তবর্বিতন, ক্রমাগত অভজ্ঞিতার বহুহৃপী বশৈষ্ট্যি, আত্মউত্তরণ ও শল্পি-নরিীক্ষার প্রতফিলনে সয়ৈদ হকরে উপন্যাস অনবদ্য। প্রথম উপন্যাস ‘দয়োলরে দশে’ (১৯৫৯)-এর উপজীব্য দশে বভিাগ-পরর্বতী বাংলাদশে ভূখণ্ডরে বকিাশশীল মধ্যবত্তিরে বহুভঙ্গমি জীবনবাস্তবতা। এই মধ্যবত্তি শক্ষিতি, নাগরকি, সমষ্টবিযিুক্ত ও গভীর মনোসংকটে নমিজ্জতি। এ র্পযায়রে অন্যান্য উপন্যাস ‘এক মহলিার ছব’ি (১৯৫৯), ‘অনুপম দনি’ (১৯৬২) ও ‘সীমানা ছাড়য়ি’ে (১৯৬৪) জীবন-অবলম্বনরে প্রায় একই বৃত্তে আর্বততি।
কন্তিু ব্যক্তরি জীবনবন্যিাস ও মনোগঠন সূত্রে প্রতটিি চরত্রিই স্বতন্ত্র। এ র্পযায়ে বশি^যুদ্ধোত্তর ইউরোপীয় সাহত্যি-শল্পিরে অধ্যায়নত্রƒত্রে ফ্রয়ডেীয় তত্ত্বচন্তিাকে অঙ্গীকার করনে সয়ৈদ শামসুল হক। প্রথমত এই শল্পি-অঙ্গীকার রোম্যান্টকি অনুভাবনার মশ্রিণে ব্যক্তকিথার কাব্যসৃষ্টরি যর্থাথ পদ্ধত;ি দ্বতিীয় মন অনুসন্ধানরে বজ্ঞিানর্ধমতিায় প্রাগ্রসর চতেনার পরচিয়বাহী। সময়রে র্কাযকারণ শৃঙ্খলার ধারণাটওি ভঙেে গছেে এই তত্ত্বানুধাবনরে ফল। ে প্রথম র্পযায়রে প্রতটিি আখ্যানরে সময়বৃত্ত ও ব্যক্তি ভূগোল এ কারণইে প্রচলতি কাঠামো থকেে ভন্নি।
উপনবিশেরে র্দীঘ উত্তরাধকিার পরজীবী মধ্যবত্তিরে অসুস্থ বকিাশ-প্রক্রয়িা, পাকস্তিানি সনোতন্ত্র ও স্বরৈশাসনরে ছোবলে ব্যক্তরি আত্মপ্রকাশরে রুদ্ধগতি একজন শল্পিীর সংবদেনরে জগৎকে কতটা ক্ষতবক্ষিত, রক্তাক্ত করতে পার,ে সয়ৈদ হকরে এ সময়রে গল্প, উপন্যাস ও কবতিা তার প্রমাণ। যন্ত্রণার পুঞ্জীভবনে দগ্ধ হতে হতইে একজন শল্পিী খাাঁটি সোনায় রূপান্তরতি হন। এই দগ্ধীভবনরে ক্ষত্রে নঃিসন্দহেে ব্যক্তি মানুষ।
১৯৭১ সালে মুক্তযিুদ্ধরে পর বাঙালি জীবনরে বপ্লিবাত্মক রূপান্তর সয়ৈদ শামসুল হকরে মধ্যওে নবচতেনার সঞ্চার কর। ে বাঙালরি রাষ্ট্রসত্তা র্অজন সামগ্রকিভাবে কতটা ইতবিাচক ছলি, সে প্রশ্ন অনকেরে মতো তাকওে আলোড়তি করছেে প্রবলভাব।
ে স্বাধীন ভূখণ্ড, মানচত্রি; স্বতন্ত্র পতাকা এবং বহঃিশত্র“ বতিরণই যে যথষ্টে ছলি না, সটো সয়ৈদ হকও অনুভব করছেনে গভীরভাব। ে তাঁর মুক্তযিুদ্ধ-পরর্বতী অনকে লখোয় জাতীয় জীবনরে এই গভীরতর সংকটরে প্রতফিলন ঘটছে। ে ‘দ্বতিীয় দনিরে কাহনিী’ (১৯৮৪) উপন্যাসে শক্ষিক তাহরে উদ্দনি খন্দকাররে অভজ্ঞিতা সূত্রে ঔপন্যাসকিরে স্মৃতদিংশন, নব-অভজ্ঞিতা ও আত্মোপলব্ধি এক অনঃিশষে ও গূঢ়সঞ্চারী তাৎর্পযে শল্পিরূপ লাভ করছে। ে এ উপন্যাসে জলশে^রী হলো বাংলাদশেরে প্রতীক। মুক্তযিুদ্ধে জলশে^রীর গৌরবময় অবদানরে কথা ববিচেনা করে তাহরেউদ্দনি সুদূর ঢাকা থকেে জলশে^রীতে আসনে।
তনিি জলশে^রী উচ্চ বদ্যিালয়রে প্রধান শক্ষিক হসিবেে নয়িোগপ্রাপ্ত। তনিি জলশে^রীতে পা রখেইে জানতে পারনে, ‘লখোপড়ার চয়েে অন্যপ্রকার শক্তি র্অজনই জীবনরে পরাকাষ্ঠা বলে ববিচেতি হচ্ছ;ে সে শক্তি হয় আগ্নয়োস্ত্ররে অথবা র্অথরে। তাই জলশে^রীর কছিু তরুণ এবং কশিোর র্বতমানে হয় কছিু আগ্নয়োস্ত্র সংগ্রহ করে ক্ষুদে সামন্ত সজেে বসে আছে অথবা সীমান্ত পরেয়িে পাটরে চোরাচালানে মনোযোগ দয়িছে। ে’ স্থানীয় এমপি হাফজে মোক্তার স্বয়ং স্বাধীনতার মূল্যবোধবরিোধী এ অপর্কমরে প্রধান নয়িন্ত্রক শক্ত। ি জলশে^রীর গৌরবময় মুক্তযিুদ্ধে নতেৃত্বদানকারী ক্যাপ্টনে মাজহাররে দৃষ্টভিঙ্গি ও র্কমধারায় সুস্পষ্ট হতে থাকে য,ে একাত্তররে ১৬ ডসিম্বেররে পরও মুক্তযিুদ্ধ শষে হয়ন।
ি ‘বশিাল গোরস্তানে রূপান্তরতি হয়’ে যাওয়া জলশে^রীতে ক্যাপ্টনে মাজহাররে পদচারণা থকেে শক্ষিক তাহরেউদ্দনি উপলব্ধি করনে : ‘সংগ্রাম এখনও শষে হয়ন,ি দশে স্বাধীন হয়ছেে বলইে দশে থকেে এক লহমায় অশুভ শক্তসিমূহ অর্ন্তহতি হয়ন;ি এখনও অস্ত্র ধারণ করার প্রয়োজনীয়তা রয়ছে,ে সম্ভবত আগরে চয়ে,ে মুক্তযিুদ্ধ চলার সময়রে চয়ে,ে এখনই প্রয়োজনীয়তা আরও বশেি রয়ছে। ে’ কন্তিু চাকর,ি স্ত্রীসঙ্গ ও বষৈয়কি র্স্বাথচন্তিা পছেনে ফলেে ক্যাপ্টনে মাজহাররে দ্বতিীয় মুক্তযিুদ্ধ বপিন্ন হয়ে পড়ে সামাজকি অপশক্তগিুলোর সংঘবদ্ধ আঘাত। ে হাফজে মোক্তাররে দলরে হাতে ক্যাপ্টনে মাজহাররে নহিত হওয়ার সংবাদ শুনে তার স্ত্রী উচ্চারণ কর,ে ‘বাহ্, এই তবে স্বাধীনতা, এরই জন্য স্বাধীনতা?’ মুক্তযিুদ্ধরে অব্যবহতি ঘটনা ও প্রতক্রিয়িার রূপায়ণে সয়ৈদ শামসুল হকরে জীবনবোধরে সর্দথকতা এ উপন্যাসকে ব্যাপ্ত সমগ্র ও দূরসঞ্চারী চতেনায় উদ্ভাসতি করছে। ে তাঁর কাব্য-আখ্যান ‘অর্ন্তগত’ (১৯৮৪) স্বাধীন দশেে মুক্তযিোদ্ধাদরে আউটসাইডার হয়ে যাওয়ায় র্মমন্তুদ ইতবিৃত্ত। ১৯৭৫ সালরে ১৫ আগস্টরে কালো, রক্তাক্ত ভোর থকেে পুনরুজ্জীবতি পাকস্তিানি সনোতন্ত্র ও র্ধমীয় মৌলবাদরে পোষ্যরা স্বাধীন দশেরে সংবধিানকইে কবেল রক্তাক্ত করে না, মুক্তযিুদ্ধরে স্মৃতচিহ্নিগুলোও মুছে ফলোর চষ্টো চালাতে থাক।
ে সয়ৈদ হকরে বস্তু অভজ্ঞিতা ও শল্পি-অভজ্ঞিানরে মশ্রিণ এ আখ্যানরে বষিয়ভাবনাকে কালান্তররে পথে ধাবতি কর। ে নবিদেন অংশে তার উচ্চারণ :
“স্মরণ হবে যে উনশিশ’ একাত্তর সালে বাংলাদশে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করছেলি এবং স্মরণ হবে য,ে সইে একদা তরিশি লক্ষ মানুষ বুলটেে প্রাণ দয়িছেলি, দশ লক্ষ নারী র্ধষতি হয়ছেলি, এক কোটি মানুষ দশেত্যাগ করছেলি ও আরও এক কোটি মানুষ দশেরে ভতেরইে ক্রমাগত ঠকিানা পরর্বিতন করে চলছেলি। হয়তো স্মরণ হব,ে আমাদরে ভতেরে সদেনি এমন একটি চতেনা এসছেলি, ইতহিাসরে করতল ছলি যার উৎস। কোথায় সইে করতল? কোথায় সইে চতেনা? কোথায় সইে ক্রন্দন? কোথায় সইে ক্রোধ? কোথায় এখন আমরা এবং কোথায় এখন এই দশে?”
উনশিশ’ একাত্তরে পাকস্তিানি হানাদার বাহনিীর হত্যাযজ্ঞরে ববিরণসূত্রে এ আখ্যানে র্বণতি হয় মুক্তযিোদ্ধা আকবর হোসনেরে পতিা এবং আরও চব্বশি জনরে নহিত হওয়ার কথা। ক্রোধ, প্রতরিোধপৃহা এবং শুদ্ধ স্বপ্নরে তাড়নায় আকবর হোসনে মুক্তযিুদ্ধে অপরসিীম কৃতত্বিরে স্বাক্ষর রাখনে।
কন্তিু তাঁর গগনচুম্বী খ্যাতি অন্যদরে ঈষাকাতর করে তোল। ে ফলে স্বাধীন বাংলাদশেে মুক্তযিোদ্ধা আকবর হোসনে হয়ে পড়নে নঃিসঙ্গ, একা। জাতীয় জীবন থকেে মুক্তযিুদ্ধরে মাধ্যমে র্অজতি মূল্যবোধগুলোর ক্রমবলিুপ্তি তাঁকে নক্ষিপে করে স্বপ্নভঙ্গরে অপার সমুদ্র। ে দারদ্র্যি ও হতাশার মধ্যে নমিজ্জতি আকবর হোসনেরে ভগনিীকে সামাজকি অপশক্তি র্ধষণরে পর হত্যা কর। ে বন্ধু বাবুলকে তনিি আবার মুক্তযিুদ্ধে অংশগ্রহণরে আহ্বান জানানÑ ‘আয় বাবুল, আমরা আবার বন্দুক হাতে নইি।
’ কন্তিু আত্মসুখসন্ধানী বাবুল ব্যক্তগিত সুবধিাসৃষ্টি ও প্রতষ্ঠিার ক্ষত্রেে তখন অনকেটা অগ্রসর। এককভাবে প্রতবিাদে শাণতি হয়ে আকবর হোসনে এক সামাজকি অপশক্তকিে হত্যা করনে। কন্তিু এতে সমাজব্যবস্থার কোনো পরর্বিতন ঘটে না। বরং ফাঁসি হয়ে যায় এক সময়রে সাহসী মুক্তযিোদ্ধা আকবর হোসনেরে। মৃত্যু হলওে সাধারণ মানুষরে বুকরে গভীরে আকবর হোসনেরে অবস্থান চরিকালরে জন্য নর্দিষ্টি হয়ে যায়:
‘আকবর হোসনেরে কথা শষে হয়ে যায় না।
মানুষরে চোখ কবেল কাঁদে না, মানুষরে চোখ দখেওে যায়। মানুষরে চোখ কবেল একসঙ্গে আজ এবং আগামী দখেতে পায়, তাই মানুষরে দখোও শষে হয় না। কারণ আগামী তো সব সময় আসবারই প্রতীক্ষায়। ’
‘দূরত্ব’ (১৯৮১), ‘মহাশূন্যে পরান মাস্টার’ (১৯৮২), ‘আয়না ববিরি পালা’ (১৯৮২), ‘স্তব্ধতার অনুবাদ’ (১৯৮৬) প্রভৃতি উপন্যাস উল্লখেযোগ্য। অধকিাংশ উপন্যাসরে ঘটনা-কন্দ্রে মুক্তযিুদ্ধ-পরর্বতী বাংলাদশেরে গ্রামজীবন।
সমাজজীবনরে দ্বন্দ্বময়, জটলি ও অর্ন্তগত রক্তক্ষরণে ক্ষতবক্ষিত ব্যক্তি ও সমষ্টরি বন্যিাসÑ এসব উপন্যাসে সামগ্রকি শল্পিমানে উপনীত। স্বাধীনতা-পরর্বতী বাঙালি জীবনরে সামগ্রকি অবক্ষয়, শূন্য্যতা ও অস্তত্বিসংকটরে স্বরূপ ‘স্তব্ধতার অনুবাদ’ উপন্যাসরে উপজীব্য। মৌল স্বভাবে অর্ন্তমুখী এই শল্পিী স্তব্ধতার প্রতীকে সময় ও সমাজরে সমগ্রতাকে র্স্পশ করনে। সমরাস্ত্রশাসতি, গণতন্ত্রলুণ্ঠতি এবং মুক্তযিুদ্ধরে বপ্রিতীপগামী সময়স্বভাবরে অর্ন্তদাহ ও যন্ত্রণা রূপায়তি হয় চত্রিপরচিালক ফয়সাল হোসনেরে সংরক্ত অভজ্ঞিতা সূত্র। ে ক্যান্সার আক্রান্ত পচনশীল সমাজরে উত্তরণ-অসম্ভব বাস্তবতায় শশিুর প্রতীকে র্সবব্যাপ্ত না’-এর মধ্যওে তনিি সন্ধান করনে সর্দথক আলোকরশ্ম।
ি এই শশিু-প্রতীক সয়ৈদ হকরে শল্পিপরক্রিমার উত্তরণ নর্দিশেরে প্রশ্নওে তাৎর্পযর্পূণ। ফয়সাল হোসনেরে অভজ্ঞিতা আসলে সয়ৈদ শামসুল হকরেই আত্মজবৈনকি অভজ্ঞিতাপুঞ্জরে প্রতরিূপ। সমষ্টি জীবনরে র্দীণ অভজ্ঞিতা, ছদ্ম অবয়বরে অন্তরাালবাসী উলঙ্গ, অবকিল মানুষরে অভজ্ঞিতার সঙ্গে ফয়সাল হোসনেরে অভজ্ঞিতার কোনো বরিোধ নইে। তাঁর আত্মসন্ধান ও সত্যসন্ধানরে অভপ্রিায়রে মূলে ক্রয়িাশীল শূন্য ও স্তব্ধতা থকেে বাঙালি সত্তার মুক্ত। ি উপন্যাসরে শষেে স্তব্ধতার দকিে ধাবমান জনগোষ্ঠীর বপ্রিতীপে যে ‘বালকরো জয়ধ্বনি করতে করতে নবগ্রামরে পঞ্জররে ভতেরে প্রবষ্টি হয়ে যায়’, তারাই প্রকৃত পক্ষে উত্তরণরে প্রাণশক্ত,ি সম্ভাবনার আলোকসঙ্কতে।
সয়ৈদ শামসুল জীবনবোধরে মাত্রাও এক্ষত্রেে সুস্পষ্ট। মধ্যবত্তি মানসরে রক্তাক্ত বলয় হয়তো সমাজসত্যরে অনবর্িায নয়িত,ি কন্তিু শল্পিীর প্রাগ্রসর চতেনার দায়বদ্ধতা সইে নয়িতবিধিানকে অস্বীকার কর। ে কালরে সন্তান শল্পিী কালান্তররেও বরপুত্র হয়ে উঠনে।
অবচতেনার মাত্রাবহুল জগৎ শল্পিজীবনরে শুরুতইে মনোবজ্ঞিান অধ্যয়নসূত্রে অঙ্গীকার করছেলিনে সয়ৈদ হক। শল্পিক্রয়িার ধারাবাহকিতায় তনিি এই মনোবজ্ঞিানর্চচার স্তরক্রমকে সৃষ্টশিীল তাৎর্পযে গ্রহণ করনে।
মানবজ্ঞানরে অন্যান্য শাখার মতো মনোবজ্ঞিানরে র্চচা অনুশীলনরে ক্ষত্রে হসিবেে ঐ সময়রে জন্যে ছলি বপ্লিবাত্মক ও ব্যতক্রিমর্ধমী। তাঁর উপন্যাস বা গদ্য-আখ্যানরে ঘটনা ও চরত্রি ব্যাখ্যা সূত্রে আমরা উপলব্ধি করতে পারি য,ে তনিি ফ্রয়ডেরে ব্যক্তস্তির ও গূঢ়ষৈার জগৎ থকেে ইয়ুং-ফ্রাই-লাকাঁ প্রমুখরে র্চচা ও বশ্লিষেণরে ক্রমায়ত পথরখোও অনুসরণ করছেনে। যৌথ অবচতেনার সর্দথক বন্যিাসরে প্রমাণ কবেল ‘অর্ন্তগত’ নয়, ‘নষিদ্ধি লোবান’েও প্রত্যক্ষ কর। ি রতচিতেনা বা লবিডিোর দৃশ্যপট কভিাবে যৌথ অবচতেনায় রূপান্তরতি হয়, তার শল্পিনপিুণ বন্যিাস লক্ষ করি ‘নষিদ্ধি লোবান’ের পরণিামী অংশ। েবলিকসি তার দহেরে আগুনে আকৃষ্ট কার্মাত পাকস্তিানি মজেরকে বাধ্য করে হন্দিু যুবক প্রদীপরে দাহর আয়োজন করত।
ে অতঃপর মজের এসে বলিকসিকে বল,ে এরপর কী? বলিকসি উত্তরহীন। পছেনে নদীর জল হঠাৎ কুঞ্চতি। হাওয়ায় ভাসমান পোড়া মাংসরে গন্ধ। এমন সময় মজের বলিকসিকে আর্কষণ কর। ে এরপর কবেল একটি যতচিহ্নিরে বরিত।
ি তারপর?
‘ঠকি তখন বলিকসি তাকে আর্কষণ কর। ে সে আলঙ্গিনে বস্মিতি হয়ে যায় মজের। পর মুর্হূতইে ব¯িম্ফোরতি দুই চোখে সে আবষ্কিার কর,ে রমণী তাকে চতিার ওপর ঠঁেসে ধরছে,ে রমণীর চুল ও পোশাকে আগুন ধরে যাচ্ছ,ে তার নজিরে পঠি বদর্িীণ হয়ে যাচ্ছ। ে রমণীকে সে ঠলেে ফলেে দয়িে লাফয়িে ওঠার চষ্টো করতে পারত কন্তিু রমণীকে আগুন দয়িে নর্মিতি বলে এখন তার মনে হয়। তার স্মরণ হয়, মানুষ মাটি দয়িে এবং শয়তান আগুন দয়িে তরৈ।
ি জাতস্মির আতঙ্কে সে শষেবাররে মতো শউিরে ওঠ। ে’
১৯৬০ এবং ১৯৭০ দশকে বশিুদ্ধ মনোবকিলনর্ধমী বশেকছিু উপন্যাস রচনা করনে সয়ৈদ হক। এগুলোর মধ্যে ‘খলোরাম খলেে যা’ ও ‘বালকিার চন্দ্রযান’ অন্যতম। এসব উপন্যাসরে চরত্রিে শ্রণেী বশৈষ্ট্যিরে সঙ্গে যৌনতা ও বকিাররে কোনো বরিোধ নইে। এক্ষত্রেে তার গভীর জীবনাশক্তি ও জীবনববিক্তিি বস্মিয়কর।
মনোবাস্তবতা-অবলম্বী উপন্যাসরে ধারায় তার মুক্তযিুদ্ধরে ঘটনা ও চতেনার শল্পিসঙ্গমে সৃষ্ট সয়ৈদ শামসুল হকরে ‘নীল দংশন’ (১৯৮১), ‘নষিদ্ধি লোবান’ (১৯৮১), ‘এক যুবকরে ছায়াপথ’ (১৯৮৭) প্রভৃতি শল্পিীর আত্মরূপান্তররে সমান্তরালে সমাজ রূপান্তররেও আলখ্যে হয়ে উঠছে। ে ‘নীল দংশন’ের প্রতীকায়ন একজন সাধারণ বাঙালি নজরুল ইসলামকে বদ্রিোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম এবং পরণিামে বাঙালি জাতসিত্তার সমর্ধমী মানব প্রতীকে পরণিত করছে। ে এ উপন্যাসগুলোর মধ্য দয়িে সয়ৈদ হক কবেল তার শল্পিসিত্তারই নয়, বাঙালরি চতেনাগত রূপান্তররে ইতহিাসও অনকেটা সুস্পষ্ট করে তোলনে। ব্যক্তি মনরে গহন লোক থকেে তনিি আমাদরে আর্কষণ করনে প্রাগ্রসর চতেনার দকি,ে যখোনে অতীত, র্বতমান ও ভবষ্যিৎ মলিতি হয় রক্ত করোজ্জ্বল অভন্নি বোধরে কন্দ্রে। ে
৪
ধুলোর বাউল থকেে সমগ্র মানব হয়ে ওঠার অন্তরতি ইতহিাসরে দকি থকেে বচিার করলে সয়ৈদ শামসুল হক মূলত কব।
ি ‘মূলত কব’ি? কাব্য-নাটক শব্দবন্ধটি যোগ করলে সমালোচকরে অবস্থানটা আরও নরিাপদ হয়। কনেনা সমালোচকরা খােঁজনে ভারসাম্যর্পূণ নরিাপত্তা। কন্তিু কাব্যনাটকও নাটক। নাটক লখেককে ব্যক্তরি জগৎ থকেে অনকে দূর র্পযন্ত যতেে হয়। সখোনে চরত্রি-বচৈত্র্যি ও সংলাপ-বচৈত্র্যিরে বাইরওে থাকে র্দশক-স্রোতা।
আমার প্রশ্ন, সয়ৈদ শামসুল হক মূলত কব?ি তাহলে গল্প, উপন্যাস ও নাটকে তনিি কি গৌণ? রবীন্দ্রনাথ বশি^কবি এই র্অথে য,ে তনিি নোবলে পুরস্কার পয়েছেলিনে। ভক্তরা বলছেনে ‘কবগিুরু’। এতে সমকালে রবীন্দ্রমূল্যায়নে সমস্যা হয়ছে। ে বুদ্ধদবে বসু অনকেরে মতে আধুনকি কবদিরে শক্ষিক। কন্তিু তাকওে মূলত কবি বললে তার মননর্চচার ঋদ্ধ ইতহিাসই কবেল নয়, গল্প, উপন্যাস ও কাব্যনাটকরে স্বতন্ত্র পথদ্রষ্টা হসিবেে অবমূল্যায়ন করা হয়।
সয়ৈদ শামসুল হক মূলত এবং প্রধানত শল্পিী। কব,ি গল্পকার, ঔপন্যাসকি, নাট্যকারÑ সবগুলোই। তবে কবরি চতেনাস্রোত সাহত্যিরে অন্যান্য রূপরে সাধনাকে যে সমৃদ্ধ ও প্রাণময় করে তোল,ে রবীন্দ্রনাথ ও বুদ্ধদবেরে মতো তাঁর ক্ষত্রেওে এ মন্তব্য প্রযোজ্য। বাংলা ভাষার জীবতি লখেকদরে মধ্যে এখনও তনিি র্সবগ্রাসী। সাহত্যিরে সৃজনশীল অন্যান্য শাখার মতো তাঁর কবতিা এখনও সংবদেনশীল পাঠককে আলোড়তি কর।
ে কবতিায় বধিৃত তাঁর ব্যক্তচিতেনার র্পযায়ক্রম অনকে সময় অতক্রিম করে যায় সময়রে স্বভাব ও নান্দনকি রুচ। ি যে কারণ,ে তাঁর কবতিার পঠন ও মূল্যায়ন ্খনো কাক্সক্ষিত র্পযায়ে পৗেঁছনে। ি
সয়ৈদ শামসুল হকরে কাব্যযাত্রার সূচনায় নর্সিগমগ্ন এক তরুণরে দখো পাওয়া যায়। যনে ধুলোমলনি এক গ্রামীণ বাউল নাগরকি বদৈগ্ধ্য ও ব্যক্তমিুখী চতেনার রন্ধ্র দয়িে স্মৃতলিোকরে ক্রমভগ্ন নর্সিগলোক প্রত্যক্ষ করছ। ে নর্সিগমগ্নতা নর্জিনতম মানুষকওে যে র্পূণতার আনন্দ দয়ে, জীবনানন্দ দাশরে কবতিা তার প্রমাণ।
কন্তিু সয়ৈদ শামসুল হক জীবনানন্দীয় আবহরে কবি নন, বরং মননশীলতা ও মতিকথন বশৈষ্ট্যিে সুধীন্দ্রনাথ দত্তরে কবতিার ধাঁচ (চধৎধফরমস র্অথ)ে তার মধ্যে কখনও কখনও লক্ষ করা যায় প্রথম র্পযায়রে কবতিায়। তার কবতিা পাঠরে অভজ্ঞিতা থকেে বলা যায়, তনিি বশি^যুদ্ধোত্তর ইউরোপীয় কবতিা থকেইে আত্ম-উš§োচন ও আত্মপ্রকাশরে প্রাথমকি পাঠ নয়িছেলিনে। সইে সঙ্গে মশিছেলি তাঁর ব্যক্তসিংবদেনার স্বতন্ত্র গড়ন। এই পাঠকৃতি ও মানসক্রয়িা তাঁর নজিরে ও বাংলা কবতিার জন্য যথষ্টে ফলপ্রসূ হয়ছেলি। ‘একদা এক রাজ্য’ের , (১৯৬১) ‘বুনোবৃষ্টরি গান’, ‘কবতিার উš§োচনী অংশরে চত্রি ও ধ্বনরি অন্তরালে ভন্নি এক কবকিণ্ঠরে দখো পাই :
‘বৃষ্টি এসে ভজোয় কখন নাগশে^রীর মাঠ
দূরত্ব এক বাতাস নাড়ে বুনো চালতা ফল
হƒদয় যনে।
’
ব্যক্তমিন ও ভূগোলরে দ্বরৈথে তৃতীয় কারও অনুপ্রবশেটাও নাগরকি রহস্যরে র্স্পশে দ্বধিা থরথর :
ইচ্ছা আছে মঘেরে মতো অন্ধ সীমানায়
একলা এক জানালা খোলা বাংলাবাড়রি ঘর
একলা এই রঙ্গপুরে হঠাৎ কি যে হয়।
পাবো না জানি তোমায় পলেে হƒদয় দখো যায়।
বৃষ্টি এসে ভজোয় আবার সইে দুরাশার মাঠ। ’
‘খঞ্জন’ি কবতিায়ও দখেি ধ্বনি ও চত্রিরে মধ্যে মৃš§য় এক অনুভূতলিোক, সখোনওে ব্যাপ্ত সমগ্র- বাংলার অন্তরতি মানচত্রি : ‘আকাশে উদাসী মঘে, র্মত্যে তুমি বাজাও খঞ্জন;ি/ ধুলোর বাউল তুম,ি তাকে তুমি ব্যাপ্ত করে আছো। / নজিরে আড়াল আর কামরাঙা ছায়া Ñ/ সখোনে দাঁড়াও এস।
ে’ ‘বুনোবৃষ্টরি গান’ (১৯৫৯) থকেে ‘অধোগামী দনিরে পঞ্জকিা’ (’৯৮)Ñ এই র্দীঘ কাব্যযাত্রায় সময়স্বভাবরে সবগুলো স্তরকইে কবি র্স্পশ করছেনে। সইে সঙ্গে নজিরে সৃষ্টসিত্তাকওে সময়রে দ্বন্দ্ব ও জঙ্গমরে অগ্ন-িপরীক্ষায় যাঁচাই করে নয়িছেনে। নর্সিগলগ্ন চতেনা কীভাবে সমষ্টবিচ্ছিন্নি ব্যক্তরি আত্মরতি ও বকিাররে জগতে প্রবশে কর,ে কীভাবে রক্তমি অনুভূতপিুঞ্জরে মধ্য দয়িে ব্যক্তি সচতেনভাবে সমষ্টলিগ্ন হয়; অতঃপর সমাজ রাজনীত,ি ইতহিাস ও সভ্যতাভাবনা কবতিার শল্পিশীলতি অবয়বে রূপ পায়, সয়ৈদ হকরে কবতিা তার প্রমাণ। ‘বশৈাখে রচতি পঙ্ক্তমিালা’র (১৯৬৯) শব্দপ্রবাহে নায়করে স্বগতোক্তরি এই প্রকাশ ভঙ্গওি অভনিব বাংলা কবতিায়। কবতিার পরনিামী অংশ কবরি আত্মজীবন ও শল্পি পরক্রিমার পরর্বতী স্তরক্রমরে সংকতে বহন কর:ে
‘আবার উঠব জগেে খরচত্রৈে চর
হয়ে তোমার পদ্মায়।
পঙ্গিল জটায়
স্রোতরে প্রপাত নয়িে হঁেটে যাব আম,ি
স্মৃতরি সাগর। ে জš§ে জš§ে বারবার
কবি হয়ে ফরিে আসব আমি বাংলায়। ’
ব্যক্তরি র্পূণায়ত ভূগোলকে একমাত্র কবতিাই তার বহুস্বরসহ ধারণ করতে পার। ে চতৈন্যবর্বিতনরে অকপট সত্য সখোনে বধিৃত হয়। সয়ৈদ শামসুল হকরে মধ্যবত্তি নাগরকি-মনরে বর্বিতনরে ধারায় বাঙালি জীবনরে ক্রমায়ত যাত্রার যে শব্দ-র্বণ-ধ্বনি ও চত্রিময় স্বরূপ প্রত্যক্ষ কর,ি তা নঃিসন্দহেে তাৎর্পযর্পূণ।
বশিষে কর,ে ‘পরানরে গহীন ভতির’ (১৯৮০) কাব্যগ্রন্থ থকেে তাঁর কবতিার বষিয়রে লোকব্যঞ্জনা আঙ্গকিরে নতুনত্বে পাঠককে নতুন অভরিুচরি দীক্ষা দয়িছে। ে কবি তাঁর আত্মশনাক্তকরণ ও জীবনসন্ধানরে নতুন যাত্রা এভাবইে শুরু করনে:
‘কি কামে মানুষ দ্যাখে মানুষরে বুকরে ভতিরে
নীল এক আসমান Ñ তার তলে যুমনার ঢল,
যখন সে দ্যাখে তার পরানরে গহীন শকিড়ে
এমন কঠনি টান আচানক পড়ে সে চঞ্চল?
কসিরে সন্ধান করে মানুষরে ভতিরে মানুষ?’
(পরানরে গহীন ভতির-১৪)
এই জজ্ঞিাসাধ্বনরি মধ্যইে থমেে যতেে পারনে একজন কব। ি অথবা এগয়িে যতেে পারনে অনন্তকালরে পথ ধর। ে কনেনা, মানবসন্ধানরে মধ্য দয়িে শল্পিীর আত্মসন্ধান ও আত্মজজ্ঞিাসার এই প্রক্রয়িা মহৎ কবতিার চরিকালরে স্বভাবর্ধম।
(চলব)ে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।