বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নিয়ে রাজনীতি। ।
ভারতের তারা বাংলা টেলিভেশন বাংলাদেশের পতাকা পদদলিত করেছে। ,এটা বাংলাদেশের স্বাধীন পতাকার প্রতি শুধু অপমান নয় দেশের ১৫কোটি মানুষকে পদদলিত করেছে ভারত। . এনিয়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো একত্রিত হয়ে ভারতের বিরুদ্ধে নিন্দা জানানো উচিত ছিল।
আর এমন এক সময় পতাকা পদদলিত করেছে, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরের প্রাক কালে। .
এ ঘটনায় দেশের জাতীয় পত্রিকাগুলোতে তেমন স্থান পায়নি। . তবে আওয়ামীলীগের মুখপাত্র দৈনিক জনকন্ঠে বিশেষ গুরুত্ত দিয়ে সোমবার চাপানো হয়েছে. কিন্তু দুঃখের বিষয় তাদের মূল বিষয় ছিল, এটা সাথে জামায়াত-বিএনপি জড়িত। . এ ব্যাপারে রিপোর্টে শক্ত কোন সোর্স উল্লেখ করতে পারেনি। . রিপোর্টটিতে বলা হয়েছে, কলকাতার তারা টিভি মাঠে নেমেছে।
ঠিক সাকা-নিজামীদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ওদের হাতে ভারতবিরোধী ইস্যু তুলে দিতেই তারা টিভি নিজস্ব আয়োজনে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা পদদলিত করার '
এ পত্রিকাটির মূল বক্তব্য ছিল,মূলত রাজনৈতিক মাঠ গরম করার জন্য এটি করা হয়েছে। .তাদের ভাষ্য অনুযায়ী,ট্রানজিট কিংবা টিপাইমুখ বাঁধ ইস্যু নিয়ে অযথা বিরোধী দল মাঠ গরম করতে চাইছে। . এ পত্রিকাটি অতীতেও ট্রানজিট ও টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে আওয়ামীলীগের ভাষা কথা বলছে। .অথচ দেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠির ৯০ভাগ ট্রানজিট ও টিপাইমুখ
বাধেঁর বিরুদ্ধে কথা বলছে। .
জনকন্ঠের রিপোর্টটি শেয়ার করছি,
অবাক হওয়ার মতোই।
কিন্তু সমীকরণ কিংবা হিসেব একেবারেই সরল। সত্যিই তারা 'ভারত-বগিতে' পা দিয়ে রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত করতে চাইছেন। তাই ট্রানজিট কিংবা টিপাইমুখ বাঁধের পর এবার বেছে নিলেন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত ও জাতীয় পতাকা নিয়ে সাকা-নিজামীদের গাত্রদাহ নতুন নয়। সেই সুরেই এবার কলকাতার তারা টিভি মাঠে নেমেছে।
ঠিক সাকা-নিজামীদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ওদের হাতে ভারতবিরোধী ইস্যু তুলে দিতেই তারা টিভি নিজস্ব আয়োজনে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা পদদলিত করার দৃশ্য স¤প্রচার করেছে। তারা টিভিতে জোট আমলে যুবরাজখ্যাত ব্যক্তির মোটা অঙ্কের বিনিয়োগই তাদের হাতে ইস্যু তুলে দেয়ার আয়োজন নিশ্চিত করেছে। নাকি ওখানে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদেরও বিনিয়োগ এই প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করেছে।
আৰরিক অর্থেই হতবাক হওয়ার মতো কা-। শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায় ঢাকার দর্শকরা তারা টিভি চ্যানেলের গানের অনুষ্ঠানের মঞ্চের ওপর অঙ্কিত জাতীয় পতাকার ওপর দাঁড়িয়ে সঙ্গীত পরিবেশন করতে দেখেছেন।
'৭১-এর ঘাতক-রাজাকার, বাংলাদেশবিরোধী শক্তি ছাড়া ঢাকার অধিকাংশ দর্শক তাৎৰণিক চ্যানেল পাল্টে নেন। কেউ বা টেলিভিশন বন্ধ করে দেন। কিন্তু দর্শকরা যে দৃশ্য দেখেছেন তাতে তাদের রক্তৰরণ শুরম্ন হয়। পত্রিকা অফিসে ফোন করে জানান তারা টিভির বাংলাদেশের পতাকা অসম্মান ও ষড়যন্ত্রের কথা।
তারা টিভিতে এক সময় কাজ করতেন কিন্তু বর্তমানে তারা টিভি ছেড়ে দিয়েছেন এমন একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই প্রতিবেদককে বলেছেন, জোট আমলের অলিখিত যুবরাজ তারা টিভিতে বিপুল অর্থলগ্নি করেছেন।
জোট আমলে যুবরাজের সঙ্গে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী উলফার গভীর সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে উলফারও তারা টিভিতে বিনিয়োগের অভিযোগ রয়েছে। সা¤প্রতিক সময়ে উলফাপ্রধান অরবিন্দ রাজখোয়া গ্রেফতারের পর ভারতীয় পত্রিকায় সাৰাতকার দিয়ে বলেছে, "বাংলাদেশ সরকার বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ' মূলত আওয়ামী লীগ সরকারকে বেকায়দায় ফেলতেই তিনি এমন বক্তব্য দিয়েছেন বলে বিশেস্নষকদের অভিমত। তারা টিভিও বাংলাদেশী ভারতবিরোধী সেন্টিমেন্ট চাঙ্গা করতে, বর্তমান মহাজোট সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এই কুৎসিত-রম্নচিহীন অপকর্মটি করেছে বলে সংশিস্নষ্ট সূত্র মনে করছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।