বাদুড়ও যুদ্ধ করে, তবে তার মত,যেমন করে বাদর।
তবে মানুষের মত নয়।
বাদুড় ঝুলে থাকে বাদুড়ের গায়ে,যেমন থাকে বাদর।
তবে মানুষের মত নয়।
মানুষ ছিটকে পড়েছিল,বাদুড়ের আঘাতে,বাদরের বাদরামিতে।
সময়টা ছিল উনিশশত একাত্তুর।
বাদুড়ও সেদিন যুদ্ধ করেছিল,যেমন করেছিল,বাদর।
তবে রাজাকার,আলবাদর,আলশামস নামে।
মানুষও সেদিন যুদ্ধ করেছিল,যেমন করে মানুষ।
তবে মুক্তি নামে।
বাদুড়ও সেদিন কবিতা লিখেছিল,বাদরকে স্বপ্ন দেখাতে।
বাদরও সেদিন কবিতা লিখেছিল বাদুড়কে স্বপ্ন দেখাতে।
বাদুড়ের মুক্তির জন্য,বাদরের মুক্তির জন্য।
মানুষের জন্য নয়,মানুষ ভেবেছিল হয়তবা!
মানুষ সেদিন কবিতা লিখেছিল,মানুষের স্বপ্নের বাংলাদেশ দেখাতে।
বাদুড়ও সেদিন রনাঙ্গিনী হয়েছিল,বীরঙ্গনা হয়েছিল কি ? হয়তবা!
তাইতো সে যুদ্ধে গিয়েছিল,বাদুড়ের যুদ্ধে,বাদরের যুদ্ধে।
আর মানুষ যুদ্ধ করে চলে প্রতিনিয়ত তার মুক্তির জন্য।
একাত্তুরের যুদ্ধ থামে।
বাদুড় চলে যায় আঁধারে,বাদর চলে যায় আড়ালে।
ওদের যোদ্ধারা ধীরে ধীরে,আঁধার থেকে আড়াল থেকে বের হয়ে আসে।
আর ওদের পেছনে শত বাদুড়, শত বাদর।
কালো রঙ্গের বাদুড়গুলো সাদা রঙ্গের প্রলেপ মাখানো,
যেন কেহ ছাই ছিটিয়ে দিয়েছে। বাদর গুলোও নানা রঙ্গের।
মুক্তিপাগল সাদা মানুষের ভিড়ে মিলে মিশে গিয়ে নিজেদের সাদা মনের মানুষ ভাবতে বসেছে। যদিও ওদের ভালো করে লক্ষ্য করলে ঠিকই চেনা যায়।
তাইতো রং বদলের বুদ্ধি যারা ওদের শিখিয়ে দিয়েছিল,সেই বুদ্ধিজীবি বাদরদের ওরা স্মরন করে,অনেকটা মানুষদের মতই।
কারন বাদরের কিছুটা আচরন মানুষের মত বলে মনে হয়।
আর সেই সুযোগটাই এই বাদুড়গুলো নেয়,বাদরেরা নেয়।
এখন বাদরের হাতে অসংখ্য সনদ,
এখানে ওখানে শুধু বাদুড় যোদ্ধা,বাদর যোদ্ধা।
তাই দাম্ভিক স্বগোক্তিতে বাদরেরা,বাদুরেরা, মুক্তিপাগল মানুষকে কাচঁ-কলা দেখায়। ৩৮ বছর পরের পাঁকা কলা খেতে মরিয়া হয়ে উঠে।
ঘোষনা দেয়,আমরা স্বাধীনতা এনেছি, স্বাধীনতা রাখবো।
বাদুড় এবং বাদর এর পাঁকা কলাটা খুবই প্রিয়।
বাদুড় যে মুখে খায় সে মুখেই হাগু করে। বাদর যদিও তা করেনা-
তবে তার পুচ্ছদেশের চুলকানিতে ,ওই জায়গাটাকে রক্তিম করে তোলে।
মিথ্যার বেসাতি দিয়ে গড়া যে আলোর স্বপ্ন বাদুড়েরা দেখে,তা কিন্তু চিরকালই অন্ধকার।
নিজেদের মিথ্যে গড়া আলোর ভুবনে কিচির মিচির ই সায়।
তাই স্বাধীনতার ৩৮ বছরে শত শত থেকে ৭০ বা ৮০ লাখ বাদুড় বা তাদের সহযোগী বাদর হওয়া কি খুব বেশী ???
বের হয়ে আস ওই মিথ্যার বেসাত হতে।
আলোতে আস,পুড়ে যাওয়ার ভয়?
পুড়ে পুড়ে পাপ মোচন কর।
ভয় পাচ্ছ? ভয়তো পেতেই হবে।
আলোতে এলে হয়ত দেখবে-
চারিদিকে শুধু মুক্তি পাগল মানুষ।
সবাই যেন এক একজন একাত্তুর,এক একজন মুক্তিযোদ্ধা।
যেখানে বাদুড়ের গন্ধ নেই, বাদরের গন্ধ নেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।