অলসদের দিয়ে কী আর হয়। আলসেমি ছাড়া!
ডাচ বাংলা ব্যাংক প্রথম আলো গণিত উৎসব ২০১০-এর তৃতীয় আঞ্চলিক উৎসব হয়ে গেল আজকে ফরিদপুরে। ফরিদপুর, রাজবাড়ি, শরিয়তপুর আর মাদারীপুরের রেজিস্ট্রেশন করব ১ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮৫৭ জন এসেছিল। এবারের এটি তৃতীয় আঞ্চলিক, তবে আমার জন্য প্রথম। কারণ পিঠে ব্যথার জন্য রংপুর আর গাইবান্ধায় যাওয়া হয়নি।
কাল বিকেলে আমরা ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছি। দুইটি মাইক্রো আর পল্লবের গাড়ি নিয়ে মোট ২৩ জনের একটি বহর। পথিমধ্যে খাওয়া হয়েছে ভাঁপা পিঠা, চানাচুর আর গরম চা। একটি সিএনজি স্টেশনের পাশে। ফেরিঘাটে এসে ‘দেখা’ হলো স্পিকারের গাড়ি বহরের সঙ্গে।
আমাদের দুইটি গাড়ি সেই বহরের ফেরি ধরতে পারলেও আমরা পারিনিঅ কাজে ফরিদপুর এলজিইডির অসম্ভব সুন্দর রেস্ট হাউস, বুশরাতে আমরা পৌঁছেছি সবার শেষে। আমরা মানে আমি, খোদাদাদ খান স্যার, কায়কোবাদ স্যার, লুৎফর রহমান স্যার (ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, অস্ট্রেলিয়া), নবী, সামিন, তানিন আর রুবাই। সব জায়গায় এলজিইডির রেস্ট হাউস আছে। তবে, ফরিদপুরে মূলটা ছাড়াও এই দোতলার বাড়তিটা। এখানে ৫টি রুম।
এর পাশে একটি বাংলো রেস্ট হাউসও আছে। সেটি নাকি কেবল বিদেশি মেহমানদের জন্য।
ফরিদপুরে এই বাড়তি রেস্টহাউসের গল্প শুনলাম, সত্যাসত্যি জানিনে। এলজিইডির আগের প্রধান প্রকৌশলীর বাড়ি নাকি ফরিদপুরে। সেজন্য তিনি এই আলিশান রেস্টহাউসটি বানিয়েছেন।
সামনে একটি পুকুর। পুকুর পাড়ে বসার বেঞ্চ আছে। তবে, পুকুর পাড়ের সৌন্দর্য এর গোলাপ গাছগুলো। গোলাপ ফুটে আছে বড় বড়। শাদা গোলাপও আছে।
তবে, রাতে হাটাহাটি করা আমাদের সম্ভব হয়নি। কারণ তাইলে আমরা জমে যেতাম। আমি আর রুবাই শেষমেষ ডাবল কম্বল নিয়েছি।
শীতের বহর দেখে আমি একটু শঙ্কিত হয়েছি যে সকালে না জানি কত কুয়াশা পড়বে। তাই ভোর ৬টার দিকে উঠে দেখলাম যে আকাশ পরিস্কার।
কুয়াশা নেই!
কলার রোল আর অন্যান্য আইটেম দিয়ে নাস্তা করে আমরা ফরিদপুর জেলা স্কুলের মাঠে পৌঁছে দেখলাম শিক্ষার্থীরা আসতে শুরু করেছে। পান্নাবালা ব্যস্ত তার দলবল নিয়ে, বন্ধু সভার বন্ধুরা তাদের কাজকর্ম গুছিয়ে নিচ্ছে।
রংপুরের জেলা প্রশাসক আমাদের উৎসব শুরু প্রায় ৪০ মিনিট দেরি করে দিয়েছিলেন। কাজে একটু ভয় আমাদের ছিল। কিন্তু ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক হেলালউদ্দিন এমনভাবে আসলেন যে আমরা আমাদের উদ্ভোধনী পর্ব শুরু করেছি নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট আগে! ডিসি একটি চমৎকার বক্তৃতাও দিলেন।
সহজ ভাবে বললেন প্রযুক্তি নির্ভর সমাজের জন্য গণিতের দরকার টা কী!
অলিম্পয়াড শুরু হয়ে গেল ১০ টায়। এবারের অলিম্পিয়াড সোয়া ঘন্টার। সে সময় একটু ঘুরে ফিরে দেখা হল, স্কুলের গেইটের সামনে এককাপ চা সহ।
ফরিদপুর নিয়ে আমরা একটু আতঙ্কে থাকি যে, ৬০টি পুরস্কার দেওয়া যাবে কীনা। তবে, খাতা দেখা শেষ হওয়ার পর সমাপনী পর্বে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দীপেশ জানালো ওখানে ভালো ইমপ্রুভমেন্ট আছে।
অন্তত সব ক্যাটাগরিতে ঢাকার জন্য প্রতিযোগী পাওয়া গেছে।
গানের দলটিও অসাধারণ। আমি চেয়েছিলাম এবারের সমাপনী পর্বের ফাঁকেফাঁকে হবে উৎসবের গানের নানা অংশ বিশেষ করে ‘আয় আয় আয় গণিতের আঙ্গিনায় ...’ অংশটি গাওয়া হবে। সেটি খুব চমৎকার হয়েছে। গানের দলের জন্য অভিনন্দন।
সুন্দরবন এবার আমাদের বিশেষ শ্লোগানে, লোগোতে। সুন্দরবনের জন্য আমাদের একটি বিশেষ পর্ব ছিল, প্রথম আলোর পল্লব মোহাইমেন সেটি পরিচালনা করেছেন। দেখা গেল তাঁর বেশির ভাগ প্রশ্নের উত্তর সবাই জানে!
আজকে আপাতত এই পর্যন্ত। ফরিদপুরের অসাধারণ উৎসবের বাকী গল্প পরের পর্বে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।