নিপুণ লেখনীর শানিত গর্জন / লিখব আজ নিপুণ কথন ফরিদপুর এলেই আমি নস্টালজিক হয়ে যাই । আমার জন্মো, শৈশব, বেড়ে ওঠা এখানেই । কত স্মৃতি, কত ভালোলাগা!
ইদানীং শহরটাকে আর আগের মতো লাগে না । এখানে আর আগের মতো বৃষ্টি নামে না । রাস্তাগুলো সব দুই লেনের ।
উঁচু উঁচু দালানকোঠা । আধুনিকতার ছাপ সর্বত্র! মানুষগুলোও কেমন বদলে গেছে । আগের সেই পরিবেশ আর খুঁজে পাই না । ঢাকার আধুনিক বাতাস থেকে একটু মুক্তি পেতে আর স্মৃতি হাতরে ফিরতে এখানে আসা; অথচ এখানকার অলিতে গলিতেও এখন ঢাকার বাতাস! এই আধুনিকতা, এই কাঠখোট্টা ভাব, উঁচু উঁচু দালান আমার ভালো লাগে না । ভালো লাগেনা প্রিয় জিলা স্কুলের পাকা গণ্ডি, উঁচু গেট আর গেটের তালা ।
কাছের বন্ধুরা সব একেকজন একেক জায়গায়, একসাথে হওয়া হয়না ঈদ-পূজা ছাড়া । তাই, হঠাৎ বাড়িতে এলে আমার সময়টাও কাটতে চায়না একাকী!
স্কুলের সামনে গিয়ে যখন দেখি আগের মতো কিছু নেই, তখন খুব খারাপ লাগে । স্কুলের গেটে আগে চটপটি ফুচকা, মালাই আর তক্তির দোকান ছিল । একটাকা থেকে দুইটাকা ছিল আমার প্রতিদিনের হাতখরচ! একবার বাবা আমাকে ১০ টাকা দিয়েছিল, আর আমি এক সপ্তাহ পর ৭ টাকা ফেরত এনেছিলাম! বাবা যতদিন জীবিত ছিল, এই ব্যাপারটা খুব গর্বের সাথে সবার কাছে বলতো । জানিনা আমরা গরিব ছিলাম, নাকি এখনকার ছেলেরা বেশী বড়লোক! এখন তারা ফাস্ট ফুড দিয়ে টিফিন করে! হায়রে! সেইসব দিন আর ফিরে পাবো না!
এখানে এলেই ছোটবেলার সেই খোলামেলা মাঠ, সেই প্রিয় স্যারের ক্লাস, সেইসব বন্ধুদের প্রিয়মুখ খুঁজে ফিরি বারবার ।
তবুও আমি ফরিদপুর আসি । তবুও নিজেকে হারিয়ে আমি নিজের অতীত খুঁজি!
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।