আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দাদাবাবুদের ইলিশ নিয়ে তেলেসমতি



বাঙালির প্রিয় ফল আম আর প্রিয় মাছ ইলিশ। এ দুটি জিনিসের দাম বিগত কয়েক বছর ধরে সকলের নাগালের মধ্যেই ছিল। এবার ইলেশর ভরা মৌসুমেও দাম আর কমছে না। কিন্তু কয়েকদিন ধরে মেঘনা, বলেশ্বর, তেতুলিয়া, পায়রা, কচা, বিষখালীসহ দিক্ষেণের প্রায় সব নদীতেই ভাল পরিমানে মাছ ধরা পড়ছে। সমুদ্রও সদয় হয়েছে যথেষ্ট কিন্তু মাছ কই? ৪৫০ টাকার ইলিশ এখনও ৮৫০ টাকা কেজি দরে আড়তে বিক্রি হচ্ছে।

সব মাছই নাকি নিয়ে যাচ্ছেন দাদাবাবুরা! অথচ দাদাবাবুরা নিজেদের কোচা ঠিক রাখতেই ব্যস্ত। রূপির দর প্রতি ডলার প্রায় ৭০ ছুইছুই। কিন্তু আশ্চের্যর বিষয় ইলিশ রপ্তানীতে তার কোন প্রভাবই নেই। উল্টো ভারতের ইংরেজি দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমসে বুধবার প্রকাশিত ‘অ্যান আই ফর অ্যান আই: নো ওনিয়নস ফর ব্যানিং হিলসা’ শিরোনামের প্রতিবেদনে জানা গেছে পর্যাপ্ত ইলিশ না পেলে দাদাবাবুরা পিয়াজ রপ্তানী বন্ধ করে দিবে। ইতোমধ্যেই তা শুরুও করেছে।

প্রয়োজনে তারা নাকি রুই-কাতলাও বন্ধ করে দিবে । ইলিশ রপ্তানীকারকরা ডলারে যে পেমেন্ট নিচ্ছে না এটা নিশ্চিত। ১০০% পেমেন্টই হচ্ছে অবৈধ পণ্য বিনিময়ে। যার সিংহভাগই দখল করে আছে গরু ও ভয়ংকর কিছু মাদক। ইলিশ রপ্তানীকারকরা যেহেতু মাদক কিংবা গরু ব্যবসায়ী নয় তারা ক্যাশ টাকাই নেয় যেকোন সিষ্টেমে।

একসময় ১০০ রূপির বিনিময়ে ১৯০ টাকাও পাওয়া যেত । এখন পাওয়া যায় মাত্র ১১৫ টাকা। তারপরও কলকাতার সব গুদামই নাকি ইলিশে ভর্তি হয়ে গেছে! দাদাবাবুদের তেলেসমতি বোঝা আসলেই কঠিন!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।