আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দাদাবাবুদের মহানুভবতা



আমি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের দাদাবাবুদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। কারণ তারা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন। শুধু তাই নয়, স্বাধীনতার পর থেকেই বিভিন্নভাবে আমাদের সহযোগিতা করে আসছেন। মাঝে মাঝে তারা সহযোগিতার জন্য আমাদের সাথে চুক্তি পর্যন্ত করেছেন। এই তো সেদিন- আমাদের বাংলাদেশের মত ছোট্ট দেশের ক্ষুদ্র একদল সেনাবাহিনীর অধিনায়ক (জোর করে নেয়া পদবী) জেনারেল মইন উ আহমেদ দাদাদের বাটী বেড়াতে গেলেন।

এত ছোট একটা পদের মানুষ হওয়া সত্ত্বেও দাদাবাবুরা তাকে কত না খাতির যত্ন করলেন। মইন সাহেব, ছোট দেশের ছোট মানুষ, যদিও মনের খায়েস ছিল বলিউডের কোন নায়িকা পছন্দ করবেন, কিন্তু এত বড় সাহস তার গ্রো করেনি। শেষ পর্যন্ত তার মন কেড়ে নিল দাদাবাবুদের পালের ৬টি ঘোড়া। কি আর করা, ঘোড়াগুলি তিনি দাদাবাবুদের কাছে ভিক্ষা চাইলেন। অন্তত কলকাতার পত্রিকা পড়ে তাই জানা গেল।

আর দাদাবাবুরা চাওয়া মাত্র মইন সাহেবকে সেই দাগড়া ৬ ৬টি ঘোড়া দান করলেন। এখানে দাদাবাবুদের বিশাল মনের পরিচয় পেয়েছি নতুন করে। অতঃপর উপর্যুক্ত ঘটনার আগে থেকেই আমাদের দেশে যে চাল সংকট শুরু হয়েছে। পৃথিবীর কোন দেশ এগিয়ে না আসলেও দাদাবাবুরা দায়িত্বটা কাধে নিলেন। তারা সানন্দে চাল দেয়া শুরু করলেন তাদের দেশের প্রচলিত বাজারের চেয়েও কিছুটা কমে।

আমরা তাদের মহানুভবতার দৃষ্টান্ত দেখে পাগলপ্রায়। অন্য কোন দেশের কাছে আর ধর্না দিতে গেলাম না। যাব কেন? আমাদের দাদাবাবুরা আছেন না। এডিবি সাহায্য করতে চেয়েছিল, কিন্তু আমরা ঐসব বর্গিদের আর বিশ্বাস করি না। চাল আনার এক পর্যায়ে দাদাবাবুরা হঠাৎ করেই চালের দাম বাড়িয়ে ধরলেন ৫০০ থেকে ৬৫০ ডলারে।

কি আর করবো? আমাদের খাদ্য সংকটে তারা যে আমাদের দিচ্ছেন এই তো বেশি। ১৫০ ডলার বাড়িয়েছে, তাতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু গতকাল আবার জানলাম অতটুকু দাম বাড়িয়েও দাদাবাবুরা সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তাই আমাদের খাদ্য সংকটের কথা মাথায় রেখে, ঠান্ডা মাথায় বিবেচনা করে, আমাদের প্রতি মহানুভবতার নিদর্শন স্বরূপ নতুন করে ৩৫০ ডলার দাম বাড়িয়ে ১০০০ ডলারে উন্নিত করা হয়েছে। সত্যি, দাদাবাবুরা অনেক উদার।

চিন্তা করছি যে সামনে দাদাবাবুরা চালের পরিবর্তে আমাদের সীমানার কিছু অংশ চেয়ে বসেন কি না। চাইলে অবশ্য দিতেই হবে। কিছু করার থাকবে না। আপনাদের কি কিছু করার থাকবে?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।