বিজয় মেলার সমাপনি অনুষ্ঠানের একটি বক্তব্যের জের ধরে ছাত্রলীগ ক্যাডারদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেনে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম শাহিন পারভেজ। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে ছাত্রলীগ কর্মীরা উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের দরজা জানালা ভাংচুর ও বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করে ইউএনও’র অপসারণ দাবি করেছে।
জানাগেছে, সোমবার সন্ধ্যায় চাটখিলে আয়োজিত বিজয় মেলার সমাপনি অনুষ্ঠানের বক্তব্যে ইউএনও শাহিন পারভেজ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে ৭১ সালের নারী নির্যাতন, নারী ধর্ষণের বিষয়টি না উল্লেখ করাই ভালো। এ ব্যাপারে বক্তব্য দেয়ায় পূর্ববর্তী বক্তাদের সমালোচানাও করেন তিনি।
পরে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কুদ্দুছ ও ছাত্রনেতা নজরুল দেওয়ান ইউএনও’র বক্তব্যের সমালোচনা করে বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠান শেষে উত্তেজিত ছাত্রলীগ কর্মীরা ইউএনও’র বিচার ও অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের দিকে যাওয়ার সময় ইউএনও শাহিন পারভেজকে সামনে পেয়ে লাঞ্ছিত করে। তিনি আত্মরক্ষার্থে উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে প্রবেশ করলে উত্তেজিত কর্মীরা ওই অফিসের দারজা জানালা ভাংচুর করে।
এ ব্যাপারে ইউএনও এসএম শাহিন পারভেজ নোয়াখালী ওয়েবকে বলেন, তেমন কিছু হয়নি। বিজয় মেলার অনুষ্ঠানে তার দেয়া একটি বক্তব্যে ভুলবুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়।
পরে সমঝোতা বৈঠকে তা মিমাংশা করা হয়েছে। এসময় তিনি তার মুঠোফোনটি বৈঠকে উপস্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এইচ এম ইব্রাহীমকে দেন। তিনি এ বিষয়ে কোন সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে নোয়াখালী ওয়েবকে বলেন, সামন্য ভুলবুঝাবুঝি হয়েছে। তা আমরা মিমাংশা করে এখন চা চক্রে আছি। কোন ভাংচুর বা লাঞ্ছিতের ঘটনা ঘটেনি।
ইউএনও’র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলে, মিছিলকারীরা কেউ আমাদের দলের নয়। -নোয়াখালী ওয়েব নিউজ, ২১ ডিসেম্বর ২০০৯।
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।