নায়াখালী প্রতিনিধি ঃ
আজ শনিবার সকালে রামগঞ্জ-চাটখিল সড়কের ১১ নং পোলের পশ্চিমে জননী সার্ভিসের মাইজদীগামী একটি বাস (নং : ঢাকা-চ-২৭৯৭) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে প্রচন্ড ধাক্কা খেয়ে দুমড়ে মুচড়ে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলে চালক তুহিন (৩০) ও চাটখিল পৌর শহরের বেলায়েত হোসেন স্বপন (৩৫) নিহত হন এবং ৩০ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত চাটখিলের খালিশপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম (৩০) ও রামগঞ্জের ব্যবসায়ী দিলিপ (৫০) নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে মারা যান।
গুরুতর আহত অন্যরা হচ্ছেন রামগঞ্জের সমেশপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন (২০), আলীপুরের মিনু (৩০), সেতু (২০), রাশেদ (৩২), আবুল কাশেম (২৭), ফারুক হোসেন (২৭), জোৎস্না আক্তার (১৮), চাটখিলের খালিশপাড়া গ্রামের ফারুক হোসেন (২৪), শোশালিয়া গ্রামের বেলাল হোসেন (২৭), কাশেম (৩৫), চাটখিলের পত্রিকা হকার আইয়ুব আলী (৪৫), মমিনপুরের রিংকু কর্মকার (২৪), মনিরুল ইসলাম (২০), রুবেল (২২), বদলকোটের মমিন (৩৮), চাটখিলের তাফাজ্জল হোসেন (২৪), আনোয়ার হোসেন (৪৭), সুধারম থানার মাকসুদ (৩৮), সোনাইমুড়ীর আমকির নুর নাহার (৪৫) ও তুসি গ্রামের আনোয়ার হোসেন (৩০)। আহতদের ঢাকা, মাইজদী ও চাটখিলের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় সকাল ১১ টার সময় বেপরোয়া গাড়ী চালানোর কারণে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ দূর্ঘটনায় পতিত হয়। দূর্ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা চাটখিল বাজার, হালিমা দীঘিরপাড় সহ বিভিন্ন স্থানে ৭/৮ টি জননী সার্ভিসের বাস ভাঙচুর করেছে এবং প্রায় দেড় ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সন্ধা৬ টা) রামগঞ্জ-চৌমুহনী ও মাইজদী সড়কে জননী সার্ভিসের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।