নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার চাটখিল বাজারে অবরোধকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু'পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।
এসময় দলীয় কর্মীরা দুটি মোটরসাইকেলে আগুন এবং পৌর মেয়র বিএনপি নেতা মোস্তফা কামালের কার্যালয়ে হামলা ভাংচুর করে।
আজ দুপুরের দিকে সাবেক সাংসদ আ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন কামরানের সমর্থিত পৌর মেয়র মোস্তফা কামাল ও সাংসদ মাহবুব উদ্দিন খোকনের সমথিত জেলা বিএনপির সাংগঠনিক আনোয়ার হোসেন সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, পৌর মেয়র বিএনপি নেতা মোস্তফা কামালের ছোট ভাই বাচ্চু, রাজু, শাওন, তৌফিক, রাসেল, ইলিয়াস, ফয়সলসহ উভয় পক্ষে অন্তত ১৫ জন।
আহতদের মধ্যে ৪ জনকে স্থানীয় উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি এবং বাকি দের স্থানীয় ভাবে চিকিত্সা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ১৮ দলীয় জোটের ডাকা টানা অবরোধের ৪র্থ দিন অবরোধের সমর্থনে চাটখিল বাজারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিএনপির নেতা কর্মীরা। অপর পক্ষ মিছিল সমাবেশে স্থানীয় সাংসদ সাংসদ মাহবুব উদ্দিন খোকন অবরোধে কর্মসূচীতে যোগনা দেওয়ায় দলীয় কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বাক-বিতন্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং পৌর মেয়র মোস্তফা কামাল ও আনোয়ার হোসেন সমর্থকদের মধ্যে বাক-বিতন্ডা শুরু হয়। বাক-বিতন্ডার এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষ শুরু হয়।
সাবেক সাংসদ সালাহ উদ্দিন কামরান জানান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে মিছিল করতে গেলে বিভিন্ন কর্মসূচীতে বর্তমান সাংসদ মাহবুব উদ্দিন খোকন যোগ না দেওয়াকে কেন্দ্র করে দলীয় কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বাক-বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে সংঘষের ঘটনা ঘটে।
এব্যাপারে সাংসদ মাহবুব উদ্দিন খোকনের সাথে যোগাযোগের চষ্টো করে পাওয়া যায়নি।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।