জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এমপি বলেছেন, এদেশ থেকে বারবার আমার নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তারা পারেনি। জনতার হৃদয়ে আমি এবং জাতীয় পার্টির শাসনামল স্থান করে আছে। ২০ বছর আগে রাষ্ট্রপতি হিসেবে আসার পর নোয়াখালীবাসী যে সম্মান করেছেন ২০ বছর পর এসে তাঁর চেয়েও বেশি ভালোবাসা ও সম্মান পেয়েছি। এটাই তাঁর প্রমান।
কিন্তু নোয়াখালী শহর সেই এক রাস্তার শহরেই রয়ে গেছে। রাস্তার পার্শ্বের ব্যবসায়ীদের স্থায়ী বন্দোবস্তের বিষয়টিও ঝুলে রয়েছে।
রোববার বিকালে নোয়াখালী জিলা স্কুল মাঠে জেলা জাতীয় পর্টি আয়োজিত এক বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। এরশাদ নোয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজকে নতুন ক্যাম্পসে স্থানান্তর এবং সরকারিকরণ, নোয়াখালী মহিলা কলেজকে সরকারিকরণ, চৌমুহনী কলেজকে সরকারিকরণসহ তাঁর শাসনামলে নোয়াখালীতে বিভিন্ন উন্নয়নের ফিরিস্তি দেন এসময়।
এরশাদ বলেন, আমি নাকি এটা চেয়েছি, ওটা চেয়েছি না পেয়ে ক্ষুব্ধ।
এটা সত্য নয়, আমি কারো কাছে কিছু চাই না। Pic-3আমার পাওয়ার কিছু নাই, আল্লাহ'র কাছে সম্মান চাই। বিগত নির্বাচনে একটি দল ৩০০আসনে নির্বাচন করে ২৯টি আসন পেয়েছে আর জাতীয় পার্টি মহাজেট থেকে ২৯টি আসন পেয়ে নির্বাচন করে পেয়েছে ২৭টি আসন। ৩০০ আসনে প্রার্থী দিলে জাতীয় পার্টি আরো বেশি আসন পেতো। এটিই প্রমান করে জাতীয় পার্টির জনপ্রিয়তা।
আগামি নির্বাচনে একক প্রার্থীর সন্ধানে রয়েছি আমরা (জাতীয় পার্টি)। আগামীতে জাতীয় পার্টিকে ছাড়া কোন দলই সরকার গঠন করতে পারবেনা।
বিকাল সাড়ে ৫টায় নোয়াখালী সার্কিট হাউজ থেকে ঘোড়ার গাড়ি চড়ে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে জনসভাস্থলে পৌঁছেন। মুহুর্মুহু করতালির মধ্যদিয়ে এরশাদ মঞ্চে ওঠার পর তাঁর হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে প্রবীণ শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ আমানত উল্যা, এডভোকেট সামছুল ফারুকসহ বিপুল সংখ্যক পেশাজীবী জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন। পরে দলীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্যদিয়ে জনসভা শুরু হলে এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা জাতীয় পার্টি সভাপতি সালাহউদ্দিন আহমদ।
অন্যান্যের মধ্যে মহাসচিব ও সাংসদ রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা আ ন ম শাহজাহান, ভাইস চেয়ারম্যান এ আর সেলিম, যুগ্নমহাসচিব ইকবাল হোসেন রাজু ও জহিরুল ইসলাম জহির, সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম এবং জেলা নেতাদের মধ্যে মোবারক হোসেন আজাদ, ওহিদ উদ্দিন মুকুল, তালেবুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
জাপা চেয়ারম্যান সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুইটি ধারা প্রচলিত রয়েছে। বাঙালী জাতীয়তাবাদ আরেকটি বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ। জাতীয় পার্টি বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রতিনিধিত্ব করে। যা গত নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে।
আমাদের সময় টেন্ডাবাজি, চাঁদাবাজি ছিলোনা। রাস্তায় বাঁশ ফেলে টোল আদায় করা হয়নি। জিনিসপত্রের দাম গরীব মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে ছিলো। ইসলামকে রাষ্ট্র ধর্ম করেছি, মসজিদে বিদ্যুৎ বিল মওকুফ করেছি। জনগণের জন্য এবং ইসলামের জন্য যদি কিছু করে থাকি তাহলে আরেকবার সুযোগ দিন, জাতীয় পার্টির পতাকা তলে আসুন।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে আমরা ৮০-১০০টি আসন পেলে আমাদের ছাড়া কোন দলই সরকার গঠন করতে পারবেন। তাই আগামী নির্বাচনই আমাদের লক্ষ্য।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, বাংলার মাটিতে কোনদিন বঙ্গবন্ধু আসবেন না, যেমনি জিয়াউর রহমানও ফিরবেন না তেমনি এরশাদের মত সফল রাষ্ট্র নায়কেরও আর জন্ম এই মাটিতে আর হবে না। তাই আগামী দিনে জাতীয় পার্টিকে আর একটি বারের জন্য সুযোগ দিতে সকলকে এরশাদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান তিনি।
http://www.chalomannoakhali.com/news/685/
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।